উপ-পরিচালক মনজুরের বদলির ঘটনায় উত্তাল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম
আড়ং এর ফেসবুক পেজে ব্যবহারকারীরা কঠোর প্রতিবাদ জানাতে থাকেন।
চলছে ভিভোর ভি সিরিজের এ বছরের শেষ স্মার্টফোন ভিভো ভি৪০ লাইটের ফার্স্ট সেল পর্ব। আল্ট্রা স্টাইলিশ ডিজাইন, ৮০ ওয়াটের ফ্ল্যাশ চার্জ ও এআই ক্যামেরা ফিচার নিয়ে ইতোমধ্যেই সাড়া ফেলেছে নতুন এ ডিভাইসটি। সবচেয়ে বেশি নজড় কেড়েছে টাইটানিয়াম সিলভার কালারের ভিভো ভি৪০ লাইট। পাশাপাশি এমারেল্ড গ্রিন নামের আরেকটি কালারে পাওয়া যাচ্ছে স্মার্টফোনটি। এতে রয়েছে অরা লাইট পোর্ট্রেট ও এআই ফিচার সমৃদ্ধ ক্যামেরা।
স্মার্টফোনটিতে রয়েছে কোয়ালকম স্ন্যাপড্রাগন ৬৮৫, যার আন-তু-তু টেস্ট স্কোর ৩,৭০,০০০ এর বেশি। ড্রপ টেস্ট স্কোর ৩২ হাজার হওয়ায় হাত থেকে পড়ে গেলেও বেশ নিশ্চিন্তে থাকা যাবে। পাশাপাশি ভলিউম বাটনটি প্রেস টেস্ট স্কোর দেড় লাখ, পাওয়ার বাটন প্রেস টেস্ট স্কোর পাঁচ লাখ। এমনকি এক্সট্রিম এনভায়রনমেন্ট টেস্টেও ভালো পারফরমেন্স করেছে ভিভো ভি৪০ লাইট।
উন্নত সাউন্ড কোয়ালিটি নিশ্চিত করতে স্মার্টফোনটিতে রয়েছে ডুয়েল অডিও স্পিকারের সঙ্গে ৩০০ শতাংশ অডিও বুস্টার। পাওয়া যাচ্ছে দুটি ভ্যারিয়েন্টে: ৮ জিবি র্যাম + ৮ জিবি এক্সটেন্ডেড র্যাম + ১২৮ জিবি স্টোরেজের দাম ২৮,৯৯৯ টাকা, এবং ৮ জিবি র্যাম + ৮ জিবি এক্সটেন্ডেড র্যাম + ২৫৬ জিবি স্টোরেজের দাম ৩১,৯৯৯ টাকা।
হাই-টেক লুক ও স্লিম ডিজাইনের ডিভাইসটিতে আছে মেটালিক হাই-গ্লস ফ্রেম ও স্মুদ ফিনিশ। ৮০ ওয়াট ফ্ল্যাশচার্জ প্রযুক্তি মাত্র ৩০ মিনিটে ৮০ শতাংশ পাওয়ার-আপ করবে ডিভাইসটির ৫০০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ার শক্তিশালী ব্যাটারিকে। রয়েছে ৪ বছরের ব্যাটারি হেলথের নিশ্চয়তা।
ভিভো ভি৪০ লাইটের ফ্রন্টে ৩২ মেগাপিক্সেল সেলফি ক্যামেরা, আর পেছনে আছে ৫০ মেগাপিক্সেল মেইন ক্যামেরা ও ২ মেগাপিক্সেল বোকেহ ক্যামেরা। এর আইপি৬৪ ডাস্ট অ্যান্ড ওয়াটার প্রযুক্তি ধুলো ও পানি থেকে ডিভাইসকে রাখে সুরক্ষিত।
চলতি বছরের শেষ ভি সিরিজের স্মার্টফোন নিয়ে এলো ভিভো। সাথে সুখবরও। ভি সিরিজের নতুন স্মার্টফোন ভিভো ভি৪০ লাইটের সাথে থাকছে আকর্ষণীয় উপহার। টাইটেনিয়াম সিলভার ডিজাইন, ৮০ ওয়াটের ফ্ল্যাশ চার্জ এবং ক্যামেরায় এআই অরা লাইট পোর্ট্রেট থাকছে স্মার্টফোনটিতে।
১০ নভেম্বর থেকে ১৬ নভেম্বর পর্যন্ত চলবে ফার্স্ট সেলে পর্ব। এই সময়ের মধ্যে ভিভো ভি৪০ লাইট কিনলে উপহার হিসেবে থাকছে ১ হাজার ৯৯৯ টাকা মূল্যের রিরো ব্র্যান্ডের ওয়্যারলেস ইয়ারফোন এল১৫ টিডব্লিউএস, পোস্ট কার্ড এবং ৪ বছরের ব্যাটারি রিপ্লেসমেন্ট সুবিধা।
ব্যাক সাইডে কুশন-কাট ডায়মন্ড শেইপের ক্যামেরা মডিউল ডিজাইন, চারপাশে মেটালিক হাই-গ্লস ফ্রেম থাকছে স্মার্টফোনটিতে। টাইটেনিয়াম সিলভার রঙের স্মার্টফোনটিতে রয়েছে এক্সক্লুসিভ কালার চেঞ্জিং প্রযুক্তি।
মাত্র আধা ঘণ্টায় ৫ হাজার মিলিঅ্যাম্পিয়ার ব্যাটারি ৮০% চার্জ করতে পারবে ভিভো ভি৪০ লাইট। সাথে রয়েছে ৪ বছরের ব্যাটারি হেলথ সুবিধা। ওভার নাইট চার্জিং প্রোটেকশনও রয়েছে স্মার্টফোনটিতে।
৬.৬৭ ইঞ্চি অ্যামোলেড ডিসপ্লেটির রিফ্রেশ রেট ১২০ হার্জ। ১৮০০ নিটস লোকাল পিক ব্রাইটনেস, ২৪০০×১০৮০ রেজুলেশন ও ৩৯৪ পিপিআই পিক্সেল ডেনসিটির স্ক্রিনটি মূলত মাল্টি টাচ ক্যাপাসিটিভ। ইন-ডিসপ্লে অপটিক্যাল ফিঙ্গার প্রিন্ট সেন্সর পাওয়া যাবে ভিভো ভি৪০ লাইটে।
স্মার্টফোনটির পুরুত্ব মাত্র ৭.৭৯ মিলিমিটার এবং ওজন মাত্র ১৮৮ গ্রাম। তাই এটি স্লিম এবং ফ্যাশনেবল হওয়ার পাশাপাশি এক হাতে ব্যবহার উপযোগী। সাথে রয়েছে স্ন্যাপড্রাগন ৬৮৫ প্রসেসর এবং ফা এবং আইপি৬৪ ডাস্ট অ্যান্ড ওয়াটার রেজিস্ট্যান্স ও ওয়েট-হ্যান্ড টাচ প্রযুক্তি।
স্মার্টফোনটির ক্যামেরা এআই ইরেজ ফিচার দিয়েছে ভিভো। এতে কেবল ছবি থেকে অনাকাঙ্ক্ষিত অংশ মুছে ফেলবে তা নয়, পাশাপাশি স্বয়ংক্রিয়ভাবে ব্যাকগ্রাউন্ডের সঙ্গে মিল রেখে এডিটও করে দেবে স্মার্টফোনটি। সাথে রয়েছে এআই ফটো এনহ্যান্সমেন্ট ফিচার, যা ছবিকে করবে আরও স্পষ্ট। পোর্ট্রেট ফটোগ্রাফি তোলার জন্য এতে রয়েছে ভিভোর ভি সিরিজ স্পেশাল এআই অরা লাইট।
ভিভো ভি৪০ লাইটের সামনে ৩২ মেগাপিক্সেল সেলফি ক্যামেরা, ব্যাকসাইডে ৫০ মেগাপিক্সেল মেইন ক্যামেরা ও ২ মেগাপিক্সেল বোকেহ ক্যামেরা। দুইটি ভ্যারিয়েন্টে পাওয়া যাবে ডিভাইসটি। ৮জিবি র্যাম, ১২৮জিবি স্টোরেজের দাম ২৮ হাজার ৯৯৯ টাকা। অন্যদিকে ৮জিবি র্যাম, ২৫৬জিবি স্টোরেজের স্মার্টফোনটির দাম ৩১ হাজার ৯৯৯ টাকা। ভিভোর যেকোনো অথোরাইজড শোরুম এবং ইস্টোরে পাওয়া যাচ্ছে ভিভো ভি৪০ লাইট।
গ্রামীণফোনকে (জিপি) ৮৫০ মেগাহার্টজ ব্যান্ডে তরঙ্গ দেওয়া হলে রবি আজিয়াটা, বাংলালিংক ও রাষ্ট্রায়ত্ব টেলিটকে কল ড্রপ, ডেটার গতি কম ও ভয়েস কলের মান নেমে যাবে।
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) সম্প্রতি অনুষ্ঠিত প্রুফ অব কনসেপ্ট (পিওসি) পরীক্ষায়ও দেখা গিয়েছে, গ্রামীণফোনকে এই ব্যান্ডে তরঙ্গ বরাদ্দ দিলে তিনটি অপারেটরই নেটওয়ার্ক সমস্যায় পড়বেন। এজন্য টাওয়ারে ফিল্টার বসাতে হবে এই তিন অপারেটরকে। এরপরেও গ্রাহকদের ভোগান্তি দূর হবে না।
রবি, বাংলালিংক ও টেলিটক ফিল্টার বসালে টাওয়ারের কাভারেজ এরিয়া কমে যাবে। শুধু একটি বা দুটি নয়, এই তিন অপারেটরের হাজার হাজার টাওয়ারে ফিল্টার বসাতে হবে। এতেও সমস্যার সমাধান হবে না। তাছাড়া ফিল্টার বসানো অনেক ব্যয়বহুল একটি কাজ।
অন্যদিকে এই ব্যান্ড অত্যন্ত মূল্যবান হওয়ায় এর সঠিক ব্যবহারের কথাও বলা হচ্ছে কোনো একটি অপারেটরের পক্ষ থেকে।
ফিশিং, র্যানসমওয়্যার ও তথ্য চুরির মতো সাইবার অপরাধ মোকাবেলায় ইন্টারপোলের বিশ্বব্যাপী সিনার্জিয়া টু নামের অপারেশনে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছে গ্লোবাল সাইবার সিকিউরিটি প্রতিষ্ঠান ক্যাসপারস্কি।
এই যৌথ উদ্যোগে বিশ্বের ৯৫টি ইন্টারপোল সদস্য দেশের বেসরকারি খাতের অংশীদার ও আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা অংশগ্রহণ করে। এতে ১০০ জনেরও বেশি সন্দেহভাজনকে চিহ্নিত ও ৪১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
২০২৩ সালের সাফল্যের উপর ভিত্তি করে ২০২৪ সালের এপ্রিল থেকে আগস্ট পর্যন্ত ইন্টারপোলের সিনার্জিয়া টু অপারেশনে ইউরোপ, আফ্রিকা এবং এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ফিশিং, ম্যালওয়্যার ও র্যানসমওয়্যার নেটওয়ার্ক ধ্বংস করতে কাজ করে। ক্ষতিকর সার্ভার ও বটনেটের ডেটা শেয়ার করে এই অপারেশনে ইন্টারপোলকে সহায়তা করেছে ক্যাসপারস্কি।
প্রায় ৩০,০০০ সন্দেহজনক আইপি এড্রেস ও সার্ভার পাওয়া গেছে এবং তাদের মধ্যে ৭৫% এরও বেশি নিষ্ক্রিয় বা বন্ধ করা হয়েছে। মূল অপারেশনের মধ্যে হংকং ১,০৩৭টি সার্ভার বন্ধ করে দিয়েছে, মঙ্গোলিয়া ২১টি বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছে এবং ৯৩ জন সন্দেহভাজনকে চিহ্নিত করেছে, ম্যাকাও ২৯১টি সার্ভার নিষ্ক্রিয় করেছে, মাদাগাস্কার ১১টি ডিভাইস জব্দ করেছে এবং এস্তোনিয়া ৮০ গিগাবাইট সার্ভার ডাটা জব্দ করেছে। এই অপারেশনটি সাইবার হুমকির বিরুদ্ধে একটি সম্মিলিত বৈশ্বিক প্রচেষ্টার অংশ।
ইন্টারপোলের সাইবার ক্রাইম বিভাগের পরিচালক নিল জেটন বলেন, “সাইবার অপরাধ যেহেতু একটি বৈশ্বিক সমস্যা, তাই এর বৈশ্বিক সমাধানও প্রয়োজন যা এই অপারেশনে অংশ নেয়া সদস্য দেশগুলোর অংশগ্রহণ থেকে স্পষ্ট হয়েছে। একসাথে কাজ করে আমরা কেবল ক্ষতিকর সিস্টেম ধ্বংসই করিনি, একইসাথে লাখ লাখ মানুষকে সাইবার হামলা থেকে সুরক্ষা দিয়েছি। আমাদের পৃথিবীকে নিরাপদ করতে প্রতিনিয়ত পরিবর্তনশীল এই হুমকির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সদস্য দেশগুলোকে ঐক্যবদ্ধ করতে পেরে ইন্টারপোল গর্বিত।”
ক্যাসপারস্কির পাবলিক অ্যাফেয়ার্স বিভাগের ভাইস প্রেসিডেন্ট ইউলিয়া শ্লিচকোভা বলেন, “বিশ্বব্যাপী সাইবার অপরাধের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে যৌথ প্রচেষ্টার অংশ হতে পেরে ক্যাসপারস্কি অত্যন্ত আনন্দিত। বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার এমন যৌথ প্রচেষ্টা কেবল প্রতিটি দেশের সাইবার প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকেই শক্তিশালী করবে না বরং বিশ্বব্যাপী সাইবার নিরাপত্তা উন্নত করতে সহায়তা করবে। এই অংশীদারিত্বের মাধ্যমে আমরা সাইবার নিরাপত্তায় একটি উল্লেখযোগ্য মানদন্ড স্থাপন করছি এবং নিরাপদ ডিজিটাল বিশ্বের জন্য একটি মডেল তৈরি করছি।”
ক্যাসপারস্কি ২০২৪ অলিম্পিকে জালিয়াতি রোধে এবং সহযোগিতামূলক প্রচেষ্টা ও উদ্ভাবনের মাধ্যমে বৈশ্বিক সাইবার নিরাপত্তা উন্নত করতে ইন্টারপোলের সাথে কাজ করছে।