প্রযুক্তি দুর্বলতায় গার্মেন্টস ইন্ডাস্ট্রি ঝুঁকির মধ্যে আছে: পলক

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

প্রযুক্তি দুর্বলতায় দেশের গার্মেন্টস ইন্ডাস্ট্রি ঝুঁকির মধ্যে আছে বলে মন্তব্য করেছেন ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) সকালে আগারগাঁও বিটিআরসি চেয়ারম্যান ও কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় সভায় তিনি এই কথা বলেন।

বিজ্ঞাপন

পলক বলেন,  জাপান, জার্মানি তারা যেভাবে রোবটিক্স আইওটি ব্যবহার শুরু করেছে- তাতে করে ভবিষ্যতে আমরা টেকনোলজি সম্পর্কে নিজেদেরকে দক্ষ করে গড়ে তুলতে না পারলে আমরা মারাত্বক অর্থনৈতিক ঝুঁকির মধ্যে পড়ব। 

তিনি বলেন, আমাদের দৈনন্দিন সকাল শুরু হয় মোবাইল নির্ভর লেনদেন দিয়ে। বিকাশ, রকেট, নগদের মাধ্যমে লেনদেন হয়। সেখানে বিটিআরসির বড় ভূমিকা আছে। বর্তমানে আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলায় আমাদের সামনে তিনটি লক্ষ্য রয়েছে। লক্ষগুলো হলো- আমাদের রফতানি আয় বৃদ্ধি করা, দেশে বৈদেশিক বিনিয়োগ বৃদ্ধি করা, তৃতীয় হচ্ছে দেশে তরুণ তরুণীদের স্মার্ট কর্মসংস্থান বৃদ্ধি করা।

বিজ্ঞাপন

তিনি আরও বলেন, আমার বিশ্বাস তিনটি লক্ষ্য পূরণের জন্য প্রধানমন্ত্রী যে নির্দেশনা দিয়েছেন সেটা আমাদের মেধা, অর্থের অপচয় রোধ করা, রাজস্ব আয় বৃদ্ধিতে বিটিআরসিকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। আপনাদের প্রতি আমার অনুরোধ বিটিআরসির বর্তমান যে অর্জনগুলো রয়েছে সেটাকে বহুগুণ বৃদ্ধি করার একটা সুযোগ রয়েছে।

বর্তমান দেশে ইন্টারনেট গ্রাহক বৃদ্ধির বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী পলক বলেন, ২০০৮ সালে গ্রাহক ছিল ৩৬ লাখ এখন সেটা দাঁড়িয়েছে ১৩ কোটিতে। ঠিক একইভাবে ব্যান্ড উইথের ব্যবহার ছিল ৭ দশমিক ৫ বিবিএস। এখন সেটা বৈপ্লবিকভাবে এখন বৃদ্ধি পেয়েছে চার হাজার ৮শত ৬৫ এমবিপিস।

২০৪১ সালে প্রধানমন্ত্রীর স্মার্ট বাংলাদেশ ঘোষণা প্রসঙ্গে পলক বলেন, সেই স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণের লক্ষ্য চারটি স্তম্ভ ঠিক করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি উপদেষ্টা সজিব ওবায়েদ জয়। প্রথমে আমাদের স্মার্ট সিটিজেন তৈরি করতে হবে; যে স্মার্ট সিটিজেন হবে প্রযুক্তি শিক্ষায় দক্ষ দেশ প্রেমিক ও অসাম্প্রদায়িক। দ্বিতীয় হলো-স্মার্ট ইকোনমি করতে হবে; ক্যাশলেস ডিজিটাল লেনদেন ব্যবস্থা করা। স্মার্ট গভর্মেন্টের ব্যবস্থা যেখানে পেপার লেস ব্যবস্থা। অর্থাৎ যখন যেখানে দরকার সেখানে থাকবে সরকার।

তিনি আরও বলেন, সরকারি সেবা নেওয়ার জন্য সরকারি অফিসে যেতে হবে না। সরকারের সেবা জনগণের হাতের মুঠোয় থাকবে। সেটা হবে পার্সোনাল লাইফ। এইজন্য আমরা এআই, আইএলটি, মেশিন লার্নিংসহ যত ধরনের টেকনোলজি আছে সেই গুলো আমাদের ব্যবহার করতে হবে।

তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী চান বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের একটি অন্তর্ভুতিমূলক স্মার্ট সোসাইটি। যে সোসাইটিতে কোন গ্রামের কোন দূরত্ব থাকবে না। যেই সোসাইটিতে নারী পুরুষের বৈষম্য থাকবেনা; ধনী গরীবের বৈষম্য থাকবে না। রাষ্ট্রের সকল সম্পদের প্রতি অধিকার ও অংশগ্রহণ থাকবে। এই স্মার্ট বাংলাদেশের লক্ষ্য পূরণের জন্য আমাদের বিটিআরসিকে নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা হলে চলবেনা। আমাদের উদ্ভাবনী ও সৃজনশীল কৌশল নিয়ে সামনে আগাতে হবে।

প্রতিমন্ত্রী পলক বলেন, অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলায় বিটিআরসিকে রাজস্ব আদায়ের জোর দেওয়ার তাগিদ দিয়েছেন। যাদের কাছে পাওনা আছি সেগুলো আদায় করতে হবে। নতুন নতুন খাত বৃদ্ধি করার কথাও বলা হয় এইসময়। লোকাল পর্যায়ের ইনভেস্টমেন্ট বাড়াতে হবে।