অসহায় শত পরিবারের পাশে মেরিনার ইয়াংস
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ আতঙ্কে গোটা দেশ। বন্ধ অফিস-আদালত। খেলার মাঠেও নেই ব্যস্ততা। মানুষ ঘরবন্দী। এ অবস্থায় সবচেয়ে বিপাকে নিম্নবিত্ত মানুষ। কাজ নেই। ঘরে খাবারও নেই তাদের। এমন দুঃসময়ে অনেকেই পাশে দাঁড়িয়েছেন তাদের। এই দলে আছে ঢাকার মেরিনার ইয়াংস ক্লাবও।
প্রাণঘাতী ভাইরাস যখন জীবন যাত্রা স্থবির করে দিয়েছে তখন আর্ত মানুষদের পাশে দাঁড়িয়েছে মেরিনার ইয়াংস ক্লাব। রাজধানীর মতিঝিলের আরামবাগ এলাকার দুস্থ পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে ক্লাবটির কর্তৃপক্ষ।
শুরুতেই প্রথম দফায় ওই এলাকার একশ অসহায় পরিবারকে খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দেন তারা। সামনে রয়েছে আরও পরিকল্পনা।
মেরিনার ইয়াংস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক হাসান উল্লাহ খান রানা বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘দেখুন, গত ৪০ বছর ধরে আমরা মতিঝিলের আরামবাগ এলাকার দুই মসজিদে পবিত্র শবে বরাতে আখেরি মোনাজাত শেষে খাবার বিতরণ করে আসছি। শুরু থেকেই পুরো আয়োজনটি হয় ঢাকা মেরিনার ইয়াংস ক্লাবের তত্ত্বাবধানে। প্রথম থেকেই আমাদের এ আয়োজনে বড় অঙ্কের অর্থের যোগান দিয়ে আসছেন কিউট কোম্পানির চেয়ারম্যান কাজী মাহতাবউদ্দিন আহমেদ। তিনি আমাদের ছেড়ে চলে গেলেও কিউটের পক্ষ থেকে সেই সহযোগিতা অব্যাহত আছে। শরীফ মেটালের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক ভাই একটি অংশ বহন করে আসছেন নিয়মিত। প্রথম দিকে এ আয়োজনটি ছিল ৩০০ জনের জন্য। আর সর্বশেষ গত বছর তা দাঁড়ায় ২৬০০ জনের।’
এবার করোনাক্রান্তিতে সেই অর্থ আর্ত মানবতার পেছনে খরচ করছে ক্লাবটি। হাসান উল্লাহ খান রানা বলেন, ‘এবার তালিকা করে মতিঝিল আরামবাগ এলাকার পরিচিত কর্মজীবি ও দিনমজুরদের বাড়িতে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় পাঠিয়েছি শুকনো খাদ্য সামগ্রী দিয়ে তৈরি উপহার সামগ্রীর একটি ব্যাগ। খোঁজ নিয়েছি তাদের।’
করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার এমন দুঃসময়ে প্রথম দফায় ১০০ পরিবারকে সাহায্য করেছে মেরিনার ইয়াংস ক্লাব। সামনে পুরো রোজার মাসজুড়ে আরও কয়েক দফায় নতুন কয়েকশত পরিবারকে এমন উপহার পাঠাবে ক্লাবটি।