বদলে যাবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফরম্যাট?
ক্যালেন্ডারের তারিখ জানাচ্ছে সময়ের হিসেবে ৭৫ দিনেরও কম হাতে। টুর্নামেন্ট শুরুর কথা ১৯ ফেব্রুয়ারি। শেষ হবে ৯ মার্চ। কিন্তু সেই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আদৌ হবে কিনা বা কোথায় হবে– কিছুই পরিস্কার নয় এখনো।
পিসিবি, বিসিসিআই এবং আইসিসি-এই তিন পক্ষের কেউ এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে সহমত হতে পারেনি। তাই এই টুর্নামেন্টকে ঘিরে কোনো সিদ্ধান্তও হয়নি। টুর্নামেন্ট অনিশ্চিত ছিল, সেই অনিশ্চিত রইলো। অথচ পূর্বনির্ধারিত সূচি মানলে ১১ ডিসেম্বর এই টুর্নামেন্টের সূচি প্রকাশের দিনক্ষণ ছিল। টুর্নামেন্টের ভেন্যুই এখন পর্যন্ত ঠিক হয়নি, সূচি হবে কিভাবে?
ভারতীয় ক্রিকেট দল পাকিস্তানে খেলতে আসবে না। সেটা স্পষ্ট তারা জানিয়ে দিয়েছে। একটা বিষয় নিশ্চিত এই টুর্নামেন্ট যদি হয় তাহলে সেটা অবশ্যই হাইব্রিড পদ্ধতিতে হবে। অর্থাৎ ভারতের সবগুলো ম্যাচ হবে সংযুক্ত আরব আমিরাতে নয়তো শ্রীলঙ্কায়। আর যদি ভারত ফাইনালে উঠে তাহলে ফাইনালও ওই দুই ভেন্যুর একটিতে।
বাস্তবতা মেনে পাকিস্তান এই হাইব্রিড পদ্ধতি মেনে নিচ্ছে। কিন্তু সেই সঙ্গে বাড়তি যে শর্ত তারা জুড়ে দিয়েছে তাতেই সমস্যা আরো বেড়েছে। পাকিস্তান সাফ জানিয়ে দিয়েছে, যেহেতু ভারতীয় ক্রিকেট দল পাকিস্তান সফরে আসছে না। তাই ভারতের মাটিতে কোনো টুর্নামেন্ট হলে তখনো যেন এই হাইব্রিড পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়। তখন পাকিস্তানের ম্যাচগুলো যেন হয় নিরপেক্ষ কোনো ভেন্যুতে। পাকিস্তান এই শর্ত আবার একেবারে দলিল আকারে চায়। পাকিস্তানের এই শর্তে বিসিসিআই রাজি নয়। আর আইসিসি আপাতত নিরব। এভাবেই ঝুলে গেছে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ভাগ্য।
সমস্যা হলো টিভি সম্প্রচার কর্তৃপক্ষ বা ব্রডকাস্টারদের দাবি আবার ভিন্ন। ভারত যে ম্যাচে খেলে বা ভারতের মাটিতে যে কোনো ম্যাচের সম্প্রচার মূল্য অনেক বেশি। বিনিয়োগে লাভ বেশি। তাই ব্রডকাস্টার কর্তৃপক্ষের ভোট বিসিসিআই এর বাক্সে।
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি শুরু হতে ৭৫ দিনও বাকি নেই। অথচ এখনো নানান অনিশ্চয়তার চাদরে এই টুর্নামেন্টের ভবিষৎ ক্রমশ অন্ধকার। ব্রডকাস্টার, মার্কেটিং, বিজ্ঞাপন এমনসব স্টেকহোল্ডারদের টুর্নামেন্ট শুরুর অন্তত ৯০দিন আগে সব পরিকল্পনা চুড়ান্ত করতে হয়। কিন্তু সেই ডেডলাইন অনেক আগেই শেষ। অথচ টুর্নামেন্টের কোনো নিশ্চয়তা নেই। এমন পরিস্থিতিতে এই স্টেকহোল্ডাররা এখন ভিন্ন আরেকটি পরিকল্পনা কষছেন। ওয়ানডে ফরমেটের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিকে তারা টি-টোয়েন্টিতে রূপ দেওয়ার দাবি তুলতে পারেন। ওয়ানডের তুলনায় টি-টোয়েন্টির স্লট বিক্রি এবং মার্কেটিং দ্রুতলয়ে হয়। লাভও বেশি!