উইম্বলডনের ফাইনালে জ্যাসমিন পাওলিনিকে হারিয়েছেন বারবারা ক্রেইচিকোভা। তুলে নিয়েছেন ৬-২, ২-৬, ৬-৪ গেমের এক জয়। তাতে উইম্বলডনের নতুন নারী চ্যাম্পিয়ন বনে গেলেন ক্রেইচিকোভা।
আজ অল ইংল্যান্ড ক্লাবে ম্যাচের শুরু থেকেই দাপট ছিল চেক এই খেলোয়াড়ের। প্রথম সেটে জেতেন ক্রেইচিকোভা। ৬-২ গেমে উড়িয়ে দেন পাওলিনিকে।
পরের গেমেই অবশ্য পাওলিনি ফিরে আসেন দারুণভাবে। প্রথম সেটের জবাব দেন তিনি ৬-২ গেমে জিতে।
তবে শেষ সেটে আবারও আধিপত্যটা ফিরিয়ে আনেন ক্রেইচিকোভা। তৃতীয় সেটে ৬-৪ গেমে হারিয়ে জিতে নেন উইম্বলডনের শিরোপা।
এটা ক্রেইচিকোভার ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় গ্র্যান্ড স্ল্যাম। এর আগে ফ্রেঞ্চ ওপেনে শিরোপা জিতেছিলেন তিনি ২০২১ সালে। এদিকে জ্যাসমিন পাওলিনি এ নিয়ে টানা দুই গ্র্যান্ড স্ল্যাম ফাইনাল হারলেন। গেল মাসে ফ্রেঞ্চ ওপেনের ফাইনালে তিনি হারেন পোলিশ খেলোয়াড় ইগা শোয়ানটেকের কাছে।
একটা সফরে যাচ্ছেন, ঠিক এই সময় যদি আপনার দলের অধিনায়ক চোটে পড়েন, এর চেয়ে বড় দুঃসংবাদ আর কীইবা হতে পারে? দক্ষিণ আফ্রিকা আজ শুনেছে ঠিক তেমন কিছুই। চোটের কারণে টেম্বা বাভুমা ছিটকে গেছেন অন্তত প্রথম টেস্ট থেকে।
আবুধাবিতে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে খেলছিলেন বাভুমা। সেখানেই তিনি ব্যথা পান কনুইয়ে। সেই চোটই এবার তাকে মিরপুর টেস্ট থেকে ছিটকে দিয়েছে।
তার বিদায়ের ফলে বাংলাদেশে টেস্ট খেলার অভিজ্ঞতা আছে এমন ক্রিকেটার আর রইল না দক্ষিণ আফ্রিকা শিবিরে। ২০১৫ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বাংলাদেশ সফরে খেলেছিলেন তিনি, এরপর থেকে দলটা আর আসেনি বাংলাদেশে।
তার বদলে দক্ষিণ আফ্রিকা তাদের স্কোয়াডে এনেছে ডেভাল্ড ব্রেভিসকে। তার এখনও অভিষেক হয়নি সাদা পোশাকে। এদিকে দলটাকে প্রথম টেস্টে নেতৃত্ব দেবেন এইডেন মার্করাম।
আগামী ২১ অক্টোবর সিরিজের প্রথম ম্যাচে মাঠে নামবে দুই দল। ম্যাচটা হবে মিরপুরে। এরপর আগামী ২৯ অক্টোবর চট্টগ্রামে শুরু হবে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট।
বাংলাদেশ সফরের দক্ষিণ আফ্রিকা দল
টেম্বা বাভুমা (অধিনায়ক), ডেভিড বেডিংহাম, ম্যাথু ব্রিটজকে, ডেভাল্ড ব্রেভিস, টনি ডি জর্জি, কেশব মহারাজ, এইডেন মার্করাম, উইয়ান মুল্ডার, সেনুরান মুথুসামি, লুঙ্গি এনগিডি, ডেন প্যাটারসন, ডেন পিট, কাগিসো রাবাদা, ট্রিস্টান স্টাবস, রায়ান রিকেলটন, কাইল ভেরেইনা।
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের ১১তম আসরের ড্রাফটের আর খুব বেশি সময় নেই। এর আগে খেলোয়াড়দের মূল্য ও ক্যাটাগরি প্রকাশ করা হয়েছে। ৬ ক্যাটাগরিতে আছেন ১৮৮ খেলোয়াড়। তবে এই তালিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অভিজ্ঞ ক্রিকেটার ইমরুল কায়েস।
আজ শুক্রবার ইমরুল এক ফেসবুক পোস্টে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। তার প্রশ্ন, গ্রেডিংটা আসলে কোন নীতির ওপর ভিত্তি করে করা হয়েছে। তিনি নিজের উদাহরণও টেনেছেন।
তিনি বলেছেন, ‘বিপিএলের প্লেয়ার্স ড্রাফটের আগে ক্রিকেটারদের গ্রেডিং দেখে চিন্তা করছি গ্রেডিংটা আসলে কিসের ভিত্তিতে করা হয়। জাতীয় দল, সারা বছরের ঘরোয়া পারফরম্যান্স, বিপিএলের পারফরম্যান্স নাকি শুধু নাম দেখে করা হয়। বছরজুড়ে ক্রিকেটের আশেপাশে না থাকা ক্রিকেটারের জায়গা হলো ‘বি’ গ্রেডে। অথচ গত বিপিএলে দুর্দান্ত পারফর্ম করা ক্রিকেটাররা ‘সি’ গ্রেডে। তবে কি শুধু নাম কিংবা চেহারা দেখেই বিপিএলের ড্রাফটের গ্রেড নির্ধারণ করা হয়?’
এরপর বিপিএলের পারফর্ম্যান্স দিয়ে জাতীয় দল থেকে বাদ পড়া, ও এরপর পারফর্ম করেও না ফিরতে পারা নিয়েও হতাশা ব্যক্ত করেন তিনি। তার ভাষ্য, ‘বিপিএলের ২০১৮-১৯ মৌসুমে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের হয়ে আমি ভালো করতে পারিনি। যে কারণে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সিরিজের পর আমাকে জাতীয় দল থেকে বাদ দেওয়া হয়। পরবর্তীতে বিসিবির একজন কর্মকর্তার সঙ্গে যখন কথা হলো তখন বাদ দেওয়ার কারণ হিসেবে তিনি জানালেন, বিপিএলে আমার পারফরম্যান্স তুলনামূলক ভালো ছিল না। যেহেতু প্রত্যাশা অনুযায়ী পারফর্ম করতে পারিনি তাই আমি কোনো সংকোচ ছাড়াই এমন সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছিলাম’’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘জাতীয় দলে ফিরতে আমি কঠোর পরিশ্রম করতে থাকি। ২০১৯-২০ মৌসুমে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের হয়ে ১৩ ম্যাচে ৪৪২ রানও করেছিলাম। কিন্তু এমন পারফরম্যান্সের পরও আমাকে জাতীয় দলে ডাকা হয়নি। এমনকি জাতীয় দলের কোন ক্যাম্পেও রাখা হয়নি। তবে কি বিপিএলে পারফর্ম না করলেই বাদ? কিন্তু পারফর্ম করলে, সেটাও তো বিবেচনায় নেওয়া হচ্ছে না। আমাদের ক্রিকেটের দুর্দিন কি তবে শেষ হবে না?’
পাকিস্তানের দুঃসময় যেন চলছেই। বাংলাদেশের কাছে হোয়াইটওয়াশ হওয়ার পর দলটা ইংল্যান্ডের বিপক্ষেও প্রথম ম্যাচে হেরে বসেছে। ইংলিশদের কাছে হেরেছে আবার বিব্রতকর এক রেকর্ড গড়ে।
এর আগেই আরও একটা দুঃসংবাদ পেয়ে গেছে শান মাসুদের দল। এই দুঃসংবাদ এসেছে মাঠের বাইরে থেকে। লেগ স্পিনার আবরার আহমেদ অসুস্থ হয়ে ভর্তি হয়েছেন হাসপাতালে।
আবরার প্রথম ইনিংসে বোলিং করে আর সব পাকিস্তানী বোলারের মতোই খরুচে ছিলেন। ৩৫ ওভার বল করে তিনি ১৭৪ রান বিলিয়েছেন, তবু উইকেটের দেখা পাননি।
তবে টানা তিন দিন বোলিং-ফিল্ডিংয়ের ধকলটা নিতে পারেননি তিনি। চতুর্থ দিন মাঠে নামতে পারেননি তিনি। অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছে তাকে। বেশ কিছু পরীক্ষাও করানো হয়েছে তার। বিষয়টি জানিয়েছে পাক ক্রিকেট বোর্ড।
আজ পঞ্চম দিনে পাকিস্তান তাকে ছাড়াই খেলতে নেমেছে। অলআউটও হতে হয়েছে নবম উইকেট পতনের পর, কারণ তিনি মাঠে আসতে অপারগ। তার অবস্থা যে খুব একটা সুবিধের নয়, তার আঁচ মিলছে এ থেকেই।
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে কাছে গিয়েও হেরেছিল বাংলাদেশ, নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে যা দলের প্রথম হার। এরপর ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে সবশেষ ম্যাচে রীতিমতো উড়ে গেছে নিগার সুলতানা জ্যোতির দল। এর ফলে দল বিশ্বকাপ থেকে বিদায়ের খুব কাছাকাছি চলে গেছে।
এমন হারের পর অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি এসেছিলেন সংবাদ সম্মেলনে। তিনি জানালেন দলের হারের কারণ। তবে তা ছাপিয়ে দলের শিক্ষাও হয়েছে অনেক, অভিমত তার।
গতকাল পাওয়ারপ্লের শুরুর দিকে বাংলাদেশ ভালো একটা শুরু পেয়েছিল। দিলারা আক্তার ভালো সূচনা এনে দিয়েছিলেন দলকে। শুরুর দশ ওভারে দলের রান ছিল ৫৮, ২ উইকেট খুইয়ে। তবে শেষ দশ ওভারে বাংলাদেশ রান তুলেছে মোটে ৪৫।
কেন শেষ দিকে রান তোলা সম্ভব হয়নি, তার কারণ জানালেন নিগার। বললেন, ‘আমাদের শুরুটা খুব ভালো ছিল। তবে মাঝের সময়টায় আমরা অনেক বেশি ডট খেলেছি এবং পরে তাদেরকে অনেক উইকেট বিলিয়ে দিয়েছি। মাঝের ওভারগুলোয় তাদের বোলাররা সত্যিই অনেক ভালো বল করেছে এবং আমাদেরকে শট খেলার জায়গা দিচ্ছিল না। সিঙ্গেল নেওয়ার অনেক সুযোগও আমরা হাতছাড়া করেছি, যা চাপ তৈরি করেছে আমাদের ওপর।'
এই বিশ্বকাপ দিয়ে দলে অভিষেক হয়েছে, এমন খেলোয়াড় আছেন দলে। এছাড়াও দলে আরও অনেক খেলোয়াড় আছেন, যাদের এটাই প্রথম বিশ্বকাপ। যার ফলে অভিজ্ঞতার ঘাটতি আছে বেশ। গতকাল এই ম্যাচ দিয়ে শিক্ষণীয় অনেক কিছু পেয়েছে অনভিজ্ঞ এই দল, বিশ্বাস নিগারের।
তিনি বলেন, ‘শিক্ষণীয় অনেক কিছুই আমরা সামনে বয়ে নিতে পারি। বিশেষ করে, এই ধরনের টুর্নামেন্টে কীভাবে ইতিবাচক থাকতে হয়। আমাদের দলটা এই ধরনের টুর্নামেন্টে খুব বেশি অভিজ্ঞ নয়। আমাদের জন্য জরুরি হলো ব্যাটিং ইউনিট হিসেবে আমাদের আরও বেশি তাড়না দেখানোয় মনোযোগ দেওয়া। আমাদের বোলাররা প্রতিটি ম্যাচেই তাদের কাজ করতে পেরেছে। ব্যাটিং ইউনিট হিসেবে আমাদের দায়িত্ব আরও শক্তিশালী হওয়ার।’