বিশ্বকাপে নিজেদের সবশেষ ম্যাচে জয় পাক, সেটা হয়তো চেয়েছিলেন পাকিস্তানের সবাই। কিন্তু এভাবে হোক, তা নিশ্চয়ই কেউ চাননি! দুই গ্রুপের বৈতরণী পার হয়ে গেলে জয় দিয়ে শেষ করার সুযোগ তো একমাত্র চ্যাম্পিয়ন দলেরই থাকে! কিন্তু বাবর আজমের দল হলো তার ঠিক উল্টোটা। বনে গেল গ্রুপ পর্ব থেকে বাদ পড়া ১২ দলের একটা। শেষ ম্যাচে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে তাদের ৩ উইকেটের জয়টাকে তাই সান্ত্বনার জয় ছাড়া আর কিছুই বলা যাচ্ছে না।
পাকিস্তানের শুরুটা অবশ্য দুর্দান্ত হয়েছিল। দ্বিতীয় ওভারেই পাকিস্তান তুলে নিয়েছিল আইরিশদের ৩ উইকেট, দলের রান ছিল তখন মোটে ৪। এরপর শীর্ষ পাঁচ ব্যাটারের কেউই ২ অঙ্কে যেতে পারেননি। তবু আয়ারল্যান্ড ১০৬ পর্যন্ত গেছে গ্যারেথ ডেলানির ১৯ বলে ৩১ আর জশ লিটলের ২২ রানে ভর করে।
জবাবে পাকিস্তান শুরু করেছিল ভালোই। তবে পঞ্চাশ পেরোনোর পরই দশ রানের ব্যবধানে ৪ উইকেট খুইয়ে কাঁপতে থাকে বাবর আজমের দল। সেখান থেকে দলকে রক্ষা করলেন বাবর নিজেই। ৩২ রানের অপরাজিত ইনিংসটা হয়তো তার সেরা নয়, কিন্তু পরিস্থিতি বিচারে তিনি একে মনে রাখবেন অনেক দিন। শেষ দিকে পরিস্থিতিটা আরও কঠিন হতে দেননি শাহিন আফ্রিদি। দুই ছক্কায় ম্যাচটা শেষ করেন ৭ বল বাকি থাকতেই।
আইরিশদেরও বিশ্বকাপ বহু আগে শেষ হয়ে গিয়েছিল। পাকিস্তান নিজেদের অন্তত এই বলে সান্ত্বনা দিতে পারে যে, তারা তো শেষ ম্যাচে জয় পেয়েছে, আইরিশরা যে এই সান্ত্বনাটাও নিজেদের দিতে পারছে না!
ক্যারিয়ারের পড়ন্ত বেলায় এসেও ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো সিংহাসন ধরে রেখেছেন একটা জায়গায়। সর্বোচ্চ আয় করা ফুটবলার এখনও তিনিই রয়ে গেছেন। সম্প্রতি ফোর্বসের প্রকাশিত এক তালিকায় উঠে এসেছে এই খবর। এই তালিকায় রোনালদোর ঠিক পেছনেই আছেন লিওনেল মেসি।
গত রাতে প্রকাশিত এই তালিকায় দেখা যায় বছরে রেকর্ড ২৮ কোটি ৫০ লাখ ডলার আয় করেছেন রোনালদো। যা বাংলাদেশি অর্থে দাঁড়ায় ৩ হাজার ৪১৬ কোটি ৩৯ লাখ টাকা।
মেসি আছেন এই তালিকার দুইয়ে। এর আগের ঘোষিত তালিকাতেও মেসি ছিলেন দুইয়েই। তিনি গেল বছর আয় করেছেন ১৩ কোটি ৫০ লাখ ডলার। যা বাংলাদেশি টাকায় ১ হাজার ৬১৮ কোটি ২৯ লাখ টাকা।
এদিকে তিনে আছেন নেইমার। গেল বছরের অক্টোবর থেকে নেইমার ছিলেন মাঠের বাইরে। এসিএলের চোট তাকে ছিটকে দিয়েছিল। তা সেরে এখনও মাঠে ফেরেননি তিনি। তবে না খেলেও তিনি গেল বছর আয় করেছেন ১১ কোটি ডলার, বা বাংলাদেশি টাকায় ১ হাজার ৩১৮ কোটি ৬০ লাখ টাকা।
এই তালিকায় শীর্ষ পাঁচে ইউরোপীয় লিগের একজনই আছেন। তিনি কিলিয়ান এমবাপে। তার বাৎসরিক আয় ৯ কোটি ডলার। শীর্ষ দশে ইউরোপীয় লিগে খেলা ফুটবলার আর আছেন ম্যানচেস্টার সিটির আর্লিং হালান্ড ও কেভিন ডি ব্রুইনা, রিয়াল মাদ্রিদের ভিনিসিয়াস জুনিয়র ও লিভারপুলের মোহামেদ সালাহ।
অনেক নাটকের পর বাংলাদেশ কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহেকে কোচের পদ থেকে সরিয়ে দিয়েছে। গতকাল সন্ধ্যার দিকে তার এই বরখাস্তের আদেশ কার্যকর হয়েছে। তবে তাকে এভাবে বিদায় করাটাকে দুঃখজনক বলে আখ্যা দিয়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালক নাজমুল আবেদীন ফাহিম।
তিনি বুধবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জানিয়েছেন এ কথা। এর আগে গত মঙ্গলবার ২০২৩ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপ চলাকালে একজন খেলোয়াড়ের ওপর ‘হামলা’ করা ও নিয়ম বহির্ভূত ছুটি কাটানোর অভিযোগে বিসিবি হাথুরুসিংহেকে বরখাস্ত করে।
সে কারণে হাথুরুসিংহেকে ৪৮ ঘণ্টার জন্য সাসপেন্ড করা হয় এবং সেই সময়সীমা শেষ হলে তাকে ‘তাৎক্ষণিকভাবে’ বরখাস্ত করা হবে। বিসিবি তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশও পাঠিয়েছে। ফিল সিমন্স ইতোমধ্যে অন্তর্বর্তীকালীন প্রধান কোচ হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন এবং তিনি আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করবেন।
ফাহিম এই বিষয়ে বলেন, ‘হাথুরুসিংহের মেয়াদকালে অনেক বিষয়ের সমন্বয় ঘটেছে। তার কিছু অর্জন আছে, আবার কিছু অসদাচরণও রয়েছে। আমরা তার বিষয়ে কিছু সমস্যার কথাও শুনেছি। এমনভাবে তাকে চলে যেতে দেখাটা দুঃখজনক, বিশেষ করে আমি নিজেও একজন কোচ ছিলাম।’
হাথুরুর অধীনে টেস্টে নিউজিল্যান্ড, পাকিস্তানের বিপক্ষে জয় আছে। আবার ওয়ানডে বিশ্বকাপে মুখ থুবড়ে পড়ার রেকর্ডও আছে। সব মিলিয়ে তার আমল কেমন ছিল? ফাহিমের অভিমত, ‘আমরা দেখেছি, কিছু বড় আইসিসি টুর্নামেন্টে আমরা তার অধীনে প্রত্যাশিত ফলাফল অর্জন করতে পারিনি। সুতরাং, এটি আসলে মিশ্র অভিজ্ঞতা।’
গেল বছর ফেব্রুয়ারিতে দ্বিতীয় দফায় বাংলাদেশ দলের কোচ হিসেবে ফিরে আসেন হাথুরুসিংহে। বিসিবির নতুন সভাপতি ফারুক আহমেদের নিয়োগের পরপরই তিনি বলেছিলেন, শ্রীলঙ্কার এই কোচকে আর বাংলাদেশ দলের প্রধান কোচ হিসেবে রাখা উচিত নয়। তার দায়িত্ব নেওয়ার প্রায় দুই মাস পর এই বক্তব্যেরই প্রতিফলন দেখা গেল গত মঙ্গলবার।
তিনি সাকিব আল হাসানের প্রিয় কোচ-মেন্টর। কোন সমস্যায় পড়লেই তিনি ছুটে আসেন তার কাছে। সেই সাকিবের দুঃসময়ে পাশে দাঁড়ালেন কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিন। ক্যারিয়ারের শেষ টেস্টে খেলতে সাকিব দেশে ফিরতে পারেননি। এনিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নিজের মতামত জানালেন সালাউদ্দিন।
শুধু সাকিব নয়, সালাউদ্দিনের ফেসবুক স্ট্যাটাসে এসেছে মাশরাফি বিন মুর্তজা ও তামিম ইকবালের নামও। সবারই পাশে থাকলেন এই কোচ। তার সেই ফেসবুক স্ট্যাটাস তুলে ধরা হলো বার্তা২৪.কমের পাঠকদের জন্য।
‘‘দেশের প্রতি দেশের মানুষের প্রতি কখনই এতো রাগ বা কষ্ট লাগেনি, আজ কেন যেন লাগছে। আমরা মানুষ কি কখনও নিজেরা ভুল করি না? কেউ অনুতপ্ত হলে তাঁকে একটা সুযোগ দেয় উচিত, কিন্তু আমরা কেমন যেন হয়ে যাচ্ছি মানুষ হিসেবে। দয়া মায়া জিনিসটা আমাদের মধ্য থেকে উঠে গেছে।
একটা মানুষ দেশের জন্য ১৭টা বছর কিছু না কিছু করেছে। আজ ক্রিকেট বিশ্ব আমাদের একটু সম্মান করে কাদের জন্য, তারা ক্রিকেট মাঠে নামতে পারবে না, এই কান্না তো সবাই দেখবে না, রাজনীতি করছে বলে এরা খুনি? এদের সাথে মিশেছেন, এরা কত মানুষের ভাত-কাপড়ের ব্যবস্থা করে দিচ্ছে জানেন আপনি? এরা কত অসহায় মানুষের চিকিৎসা করিয়েছে সেটা কি জানেন?
তারা স্ট্যাটাস না দেওয়ার কারণে আজ শত্রু। যখন মাশরাফি ৫টা অপারেশন করে দেশের জন্য লড়াই করছে তা কি দেখছেন? সাকিব যে আঙুলে চিড় নিয়ে বোলিং করে গেছে, তামিম এক হাতে ব্যাটিং করে গেছে কাদের জন্য?
দেশ কে সবাই কম-বেশি ভালোবাসে, এদের ভালোবাসাটা হয়তো দেখা যায়ও না , এদের কাছ থেকে দেখেছি, এরা মানুষের উপকার ছাড়া কারো ক্ষতি করেনি। এরা খুনি না।
খুব কষ্ট পাচ্ছি এদেরকে মাঠ থেকে বিদায় নিতে দেখতে পাবো না। মানুষ কে মাফ করুন। আল্লাহ আমাদের অনেক অপরাধ মাফ করে দিবেন। আমরা সবাই কম বেশি অপরাধী। কাউকে সম্মান দিলে আপনি ও সম্মানিত হবেন।’’
টানা দুই বিপিএলে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নদের ডেরায় খেলবেন তাওহীদ হৃদয়। গেল বার খেলেছিলেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সে, এবারের তিনি খেলবেন আরেক ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ফরচুন বরিশালের হয়ে।
শেষ কিছু দিনে দারুণ ছন্দে থাকা হৃদয় আবুধাবিতে অনুষ্ঠেয় টি-টেন লিগের আসছে আসরে খেলবেন বাংলাদেশ ব্যাটার তাওহীদ হৃদয়। তিনি খেলবেন বাংলাদেশ টাইগার্সের হয়ে, যে দলের আইকন ক্রিকেটার আবার সাকিব আল হাসান।
শুধু আইকন নয়, দলের অধিনায়কও সাকিব। এছাড়াও আরেক তারকা ক্রিকেটার রশিদ খানও আছেন একই দলে। গতকাল আবুধাবি টি-টেনের প্লেয়ার্স ড্রাফট থেকে হৃদয়কে দলে টেনেছে দলটা।
এই দলে সাকিব-রশিদ-তাওহীদ বাদেও লিয়াম লিভিংস্টোন, ইফতিখার আহমেদ, দীনেশ কার্তিকরা আছেন। গেল মৌসুমের দল থেকে বাংলা টাইগার্স রেখে দিয়েছে জশ লিটল, দাসুন শানাকা আর হজরতউল্লাহ জাজাইকে।