ক্রীড়া খাতে বাড়ল বাজেটের আকার

  • স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

বর্তমান সরকারের যুব ও ক্রীড়ামন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বে আছেন বিসিবি প্রধান নাজমুল হাসান পাপন। তিনি এই দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকেই ক্রীড়া ক্ষেত্রে নতুন অর্থবছরে বাজেটের আকার কেমন হয়; তা নিয়ে কৌতূহল ছিল ক্রীড়া প্রেমীদের। নিরাশ করেননি পাপন। নিজের প্রথম মেয়াদেই ক্রীড়া ক্ষেত্রে বাড়িয়েছেন বাজেটের আকার। বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট ঘোষণা করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। যেখানে দেখা গেছে গত বছরের তুলনায় এবার বাজেট বেড়েছে ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের।

২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণায়ের পরিচালন ও উন্নয়ন ব্যয় ধরা হয়েছে সর্বমোট ২ হাজার ২১১ কোটি ৯৫ লাখ টাকা। এর মধ্যে উন্নয়ন খাতে ১ হাজার ২৩৪ কোটি ৮ লাখ টাকা এবং পরিচালন খাতে ৯৭৭ কোটি ৮৭ লাখ টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে। যা গত ২০২৩-২৪ অর্থবছরে উন্নয়ন খাতে ছিল ৬০১ কোটি ৬৯ লাখ টাকা এবং পরিচালন খাতে ছিল ৯২১ কোটি ৬৫ লাখ ৬৬ হাজার টাকা।

বিজ্ঞাপন

অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে এবারের প্রস্তাবিত বাজেটের আকার গত বছরের সংশোধিত বাজেটের তুলনায় বেড়েছে ৬৮৮ কোটি ৬০ লাখ ৩৪ হাজার টাকা বেশী।

আজ জাতীয় সংসদে বিকাল ৩ টা থেকে ‘সুখী, সমৃদ্ধ, উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে অঙ্গীকার’ শীর্ষক বাজেট বক্তব্য উপস্থাপন শুরু করেন অর্থমন্ত্রী। এ সময় যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত বাজেট বক্তৃতায় তিনি বলেন, ‘সরকার ক্রীড়ার মানোন্নয়ন এবং খেলাধুলার সুযোগ বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিভিন্ন ক্রীড়া ক্লাবে ক্রীড়া সামগ্রী ও আর্থিক অনুদান প্রদানসহ আধুনিক স্টেডিয়াম, জিমনেসিয়াম, সুইমিংপুলসহ বিভিন্ন অবকাঠামো নির্মাণ ও উন্নয়ন করে আসছে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ক্রীড়া অবকাঠামো নির্মাণ ও উন্নয়নের জন্য ১৩টি প্রকল্প চালু রয়েছে, যার মধ্যে মাঠ পর্যায়ে খেলাধুলা উৎসাহিত করার লক্ষ্যে অন্যতম হচ্ছে ‘উপজেলা শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণ প্রকল্প’। এরই ধারাবাহিকতায় আগামী বাজেটে বিভিন্ন ক্রীড়া অবকাঠামো নির্মাণসহ যুব ও ক্রীড়া উন্নয়নে ২০টি প্রকল্প গ্রহণের প্রস্তাব করা হয়। পাশাপাশি দক্ষ খেলোয়াড় তৈরির লক্ষ্যে দক্ষ ও অভিজ্ঞ প্রশিক্ষক দ্বারা ক্রীড়া প্রতিভা অন্বেষণের মাধ্যমে বিভিন্ন বিভাগ থেকে প্রতিভাবান খেলোয়াড় খুঁজে দীর্ঘমেয়াদী প্রশিক্ষণ প্রদান করা হচ্ছে। এছাড়া, দেশীয় ও আন্তর্জাতিক খেলাধুলার আয়োজন ও অংশগ্রহণের জন্য ক্রীড়া ফেডারেশন, এসোসিয়েশন ও সংস্থাসমূহকে নিয়মিত আর্থিক অনুদান ও ক্রীড়া সামগ্রী প্রদান করা হচ্ছে।’