ফ্রেঞ্চ ওপেন
১ম রাউন্ড
বেলা ৩টা, সনি স্পোর্টস ২ ও ৫
কাবাডি
বঙ্গবন্ধু কাপ
বিকেল ৪টা, টি স্পোর্টস
৩য় টি-টোয়েন্টি
ইংল্যান্ড-পাকিস্তান
রাত ১১-৩০ মি., সনি স্পোর্টস ৫
১ম রাউন্ড
বেলা ৩টা, সনি স্পোর্টস ২ ও ৫
বঙ্গবন্ধু কাপ
বিকেল ৪টা, টি স্পোর্টস
ইংল্যান্ড-পাকিস্তান
রাত ১১-৩০ মি., সনি স্পোর্টস ৫
দুই আসর পর জাতীয় ক্রিকেট লিগ টাইটেল স্পনসর পেয়েছে বিসিবি। তার সপ্তাহ না ঘুরতেই এবার স্পনসর পেল প্রথম থেকে তৃতীয় বিভাগ লিগও। বিসিবির সঙ্গে এক বছরের জন্য ১ কোটি টাকার চুক্তি করেছে মেঘনা ব্যাংক।
বিষয়টি আজ মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে ঘোষণা করেন বিসিবি পরিচালক এবং মার্কেটিং বিভাগের প্রধান ফাহিম সিনহা। তিন বিভাগের টুর্নামেন্টের জন্য মেঘনা ব্যাংকের বিসিবির সঙ্গে চুক্তিটা ১ কোটি টাকার। আজ সংবাদ সম্মেলনে বিসিবিকে সে চেক তুলে দেন মেঘনা ব্যাংকের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর কিমিওয়া শাহাদত এবং মার্কেটিং বিভাগের প্রধান মোয়াজ্জিম হোসেন জুয়েল।
তিন বিভাগের মধ্যে তৃতীয় বিভাগের খেলা শুরু হবে সবার আগে। আগামী ২৫ অক্টোবর শুরু হবে এই টুর্নামেন্ট। এই টুর্নামেন্টে মোট ২০টি দল অংশ নেবে। মোট ১২৪টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। দ্বিতীয় বিভাগেও খেলা হবে ১২৪টি, দলও সমানই থাকছে। এই টুর্নামেন্ট শুরু হবে ২০ নভেম্বর। প্রথম বিভাগের দলও ২০, ম্যাচ সংখ্যা ১২৪। এই টুর্নামেন্টের পর্দা উঠবে আগামী ১২ জানুয়ারি।
বিসিবির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছিল প্রথম বিভাগ ক্রিকেটে এবারই প্রথম স্পনসর পাওয়া গেছে। যদিও পরে জানা গেছে এই টুর্নামেন্ট প্রথম স্পনসর পেয়েছে আশির দশকে, যা ২০০১ সাল পর্যন্ত চালু ছিল। এর পর থেকেই টুর্নামেন্টটা চলেছে বিসিবির অর্থায়নে। অন্তত দুই দশক পর এবার প্রথম থেকে তৃতীয় শ্রেণীর ক্রিকেটে স্পনসর ফিরল এবার।
মিতভাষী হিসেবে বেশ পরিচিতি আছে পেসার হাসান মাহমুদের। সে স্বভাবটা সংবাদ সম্মেলনে এলে ফুটে ওঠে আরও। আজ সংবাদ সম্মেলনে এলেন তিনি। প্রশ্নের জবাব দিলেন অল্প ভাষায়, তবে ঠিক জায়গা ধরেই বললেন তা।
পেসার কম নিয়ে খেলছে বাংলাদেশ?
আমার মনে হয় সবার দায়িত্ব সেম, উইকেট নেওয়া, সেটা একটা পেসার দুইটা পেসার যাই হোক। যেহেতু আমাকে নেওয়া হয়েছে, সেহেতু আমার দায়িত্ব হচ্ছে কীভাবে উইকেট টেকিং ডেলিভারি করা যায়। পার্টনারশিপ বোলিং করা যায়। আমার কাছে এটাই গুরুত্বপূর্ণ। ওটা চিন্তা করা গুরুত্বপূর্ণ নয় যে একটা পেসার খেললে ভালো হতো না দুইটা। এটা সম্পূর্ণ তাদের বিষয়। আমার মনে হয় তাইজুলও ভালো বল কর।
পেস বোলিং জুটি প্রসঙ্গে–
আমি ফিল্ডার অনুযায়ী বল করি। অপর দিক থেকে কেউ যদি মেইডেন ওভার নিতে চায়, বেস্ট বলটাই করতে হবে সবসময়। তো দুজনে কথা বলেই বল করা হয় আসলে, কীভাবে রান আটকানো যায়। বাউন্ডারি না দিয়ে, বাজে বল না করে বল করা যায়। স্পিন একপাশে, পেস একপাশে হলেও সমস্যা নেই। করা যায়। (দুই পাশে পেসার) না, এ নিয়ে চিন্তা থাকে না।
টেস্ট ক্রিকেটে ভালো পারফর্ম করছেন। এই ফরম্যাটটা ভালো বুঝছেন কি না?
আমি উপভোগ করছি। তবে লাল সাদা যাই বল হোক আমার কাজ দলকে জেতানো, পারফর্ম করা। ওটার জন্য লাল বলে অনুশীলন করি। লাইন লেন্থ সুইং নিয়ে প্রতিদিন কাজ করি।
দ্রুত ৫-৬ উইকেট তুলে নিয়ে এরপর বড় জুটি গড়ে ওঠে। তখন কী হয়?
আসলে টেস্টে এমনটা হয়, অহরহ হতে থাকে, আমরাও দেখি, আমাদেরও বিরক্তি চলে আসে। আমরা তখন চাই রান কম দিতে, বেসিকটা ধরে রাখতে হবে। আপনার চেষ্টা করতে হবে ব্যাটারকে প্রেসারে রাখা।দুই পাশ থেকে জুটি গড়ে বোলিং করা। এটাই আপনার হাতে আছে। এটাই আরকি!
৩ বছরে টেল এন্ডারদের বিপক্ষে বোলিং সবচেয়ে বাজে বাংলাদেশের–
তাদের রানগুলোও গুরুত্বপূর্ণ তাই তাদের উইকেটটাও গুরুত্বপূর্ণ। ব্যাটসম্যানদের বিপক্ষে যে প্ল্যানে বল করা হয়, তাদের বিপক্ষেও প্লান থাকে। কিন্তু কখনও কখনও হয়ে যায়... ওরা রান করে ফেলছে, আমরা চেষ্টা করছি হচ্ছে না... চেষ্টা থাকতে হবে।
পার্ট টাইমার–
অকেশনাল দিয়ে বল করানোর চেয়ে তো মেইন বোলার দিয়ে বল করানো ভালো না? তারা উইকেট টেকিং ডেলিভারি অকেশনাল থেকে বেশি করতে পারে! অধিনায়ক যা করে ভালোর জন্যেই করে।
শুরু থেকে ভালো বোলিং করছেন, বোলিংয়ে ভালো করলেও আমাদের ব্যাটিংলাইন আপ খারাপ করছে। বোলার হিসেবে কতটা হতাশার?
খারাপ লাগাটা স্বাভাবিক। তবে মন থেকে বিশ্বাস করি আমরা আবার একটা সময় ঘুরে দাঁড়াব। চিন্তা করি এর পরের দিন ভালো হবে। নিজেদের ব্যাটাররা ভালো খেলার আশা সবারই, স্কোর করব, সবাই মিলে একটা রান দাঁড় করাব। যেটাতে আমরা ম্যাচ জিততে পারব। এভাবে চিন্তা করে আগানো উচিত।
আমাদের উইকেট পড়ে যাচ্ছে, ব্যাটিংয়ের এ হাল কেন?
আউট হওয়াটা তো আমাদের নিয়ন্ত্রণে নাই। আমার মনে হয় যে আরও মনোযোগ দিয়ে ব্যাট করা, সেট হয়ে ব্যাটিং করাটা আরকি…
কালকের লক্ষ্য–
জয় মুশি অনেক ভালো একটা সময় পার করছে। কালকে ইন শা আল্লাহ চেষ্টা থাকবে যত লম্বা সময় ব্যাট করতে পারে, জুটিটা যত বড় করতে পারে, পরের ব্যাটারদেরও একই ইন্টেনশন নিয়ে ব্যাট করা উচিত, যে আমরা কত বড় পার্টনারশিপ করতে পারব।
কত রানের লক্ষ্য সেফ?
আমার মনে হয় ২০০ রানের বেশি লক্ষ্য দিলে অবশ্যই আমরা পারব ইন শা আল্লাহ।
৪০০ করা সম্ভব বিশ্বাস করেন?
৩ সেশন ব্যাট করতে পারলে৪০০র কাছাকাছি যেতে পারব বলে আমি মনে করি। সম্ভব।
চেন্নাই টেস্টের দ্বিতীয় দিনটা যেন ফিরে এল মিরপুর টেস্টের দ্বিতীয় দিনে। রবিচন্দ্রন অশ্বিন আর রবীন্দ্র জাদেজার জায়গাটা এখানে নিলেন কাইল ভেরেইনা, সঙ্গে কখনও ভিয়ান মুলডার, কখনওবা ড্যান পিয়েট। লেজের ব্যাটারদের নিয়ে ভেরেইনা করলেন সেঞ্চুরি, আর সেটাই দক্ষিণ আফ্রিকাকে এনে দিল চালকের আসনে।
এমন পরিস্থিতি শেষ অনেক দিনের পরিচিত দৃশ্য বাংলাদেশের। বছর শুরুতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দ্রুত ৫-৬ উইকেট তুলে নিয়েও বোলারদের ধুঁকতে হয়েছে লেজের ব্যাটারদের নিয়ে। এবার দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষেও একই দৃশ্য।
এমন পরিস্থিতিতে কী করেন বোলাররা? হাসান মাহমুদ জানালেন, ‘আসলে টেস্টে এমনটা হয়, অহরহ হতে থাকে, আমরাও দেখি, আমাদেরও বিরক্তি চলে আসে। আমরা তখন চাই রান কম দিতে, বেসিকটা ধরে রাখতে হবে। আপনার চেষ্টা করতে হবে ব্যাটারকে প্রেসারে রাখা।দুই পাশ থেকে জুটি গড়ে বোলিং করা। এটাই আপনার হাতে আছে। এটাই আরকি!’
টেল এন্ডারদের বিপক্ষে পরিকল্পনাটা থাকে ব্যাটারদের মতোই, পরিষ্কার জানালেন হাসান, ‘তাদের রানগুলোও গুরুত্বপূর্ণ তাই তাদের উইকেটটাও গুরুত্বপূর্ণ। ব্যাটসম্যানদের বিপক্ষে যে প্ল্যানে বল করা হয়, তাদের বিপক্ষেও প্লান থাকে। কিন্তু কখনও কখনও হয়ে যায়... ওরা রান করে ফেলছে, আমরা চেষ্টা করছি হচ্ছে না... চেষ্টা থাকতে হবে।’
এমন পরিস্থিতিতে খণ্ডকালীন বোলাররা অনেক সময় নিয়মিতদের চেয়ে বেশি সফল হন। তবে এই তত্ত্বে বিশ্বাস নেই হাসানের। তার কথা, ‘অকেশনাল দিয়ে বল করানোর চেয়ে তো মেইন বোলার দিয়ে বল করানো ভালো না? তারা উইকেট টেকিং ডেলিভারি অকেশনাল থেকে বেশি করতে পারে! অধিনায়ক যা করে ভালোর জন্যেই করে।’
বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসের ব্যাটিং ব্যর্থতা আজ দুপুরে দলকে ইনিংস ব্যবধানে হারের চোখরাঙানিই দিচ্ছিল। দক্ষিণ আফ্রিকা ২০২ রানের লিড নিয়েছিল, প্রথম ইনিংসের মতো আবারও মুখ থুবড়ে পড়লে ইনিংস ব্যবধানে হারতে হতো।
৪ রানে ২ উইকেট খুইয়ে সে শঙ্কা আরও বাড়িয়েই দিয়েছিল দল। তবে মাহমুদুল হাসান জয় আর মুশফিকুর রহিমের ব্যাটে চড়ে সে শঙ্কা কিছুটা হলেও কমিয়েছে।
এখনও বাংলাদেশ ১০১ রানে পিছিয়ে আছে। তবে এই টেস্টে যদি জিততেই হয়, তাহলে বড় ইনিংস চাই কাল সকালে। হাসান চাইলেন সেটাই। তিনি বলেন, ‘জয়-মুশি অনেক ভালো একটা সময় পার করছে। কালকে ইন শা আল্লাহ চেষ্টা থাকবে যত লম্বা সময় ব্যাট করতে পারে, জুটিটা যত বড় করতে পারে, পরের ব্যাটারদেরও একই ইন্টেনশন নিয়ে ব্যাট করা উচিত, যে আমরা কত বড় পার্টনারশিপ করতে পারব।’
ব্যাটাররা যদি তার সে চাওয়া পূরণ করতে পারেন, তাহলে পরের ইনিংসে লিড পাবে বাংলাদেশ। সেক্ষেত্রে কত রান নিরাপদ হতে পারে? হাসান জানালেন, ‘আমার মনে হয় ২০০ রানের বেশি লক্ষ্য দিলে অবশ্যই আমরা পারব ইন শা আল্লাহ।’
তবে প্রথম ইনিংসের ব্যর্থতার পর সেটা কি আদৌ বিশ্বাস করেন হাসান? জবাবে তিনি জানালেন, তিনি আশাবাদীদের দলেরই একজন। বললেন, ‘৩ সেশন ব্যাট করতে পারলে ৪০০র কাছাকাছি যেতে পারব বলে আমি মনে করি, খুব সম্ভব।’