সেই ‘অন্ধকার’ দিনের কথা মনে করে এখনো শিউরে ওঠেন পন্ত

  • স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

২০২২ সালের ৩০ ডিসেম্বর, ভারতীয় ক্রিকেটার ঋষভ পন্তের জীবনে সেটি ছিল অন্ধকারাচ্ছন্ন এক দিন। প্রাণঘাতী সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হন তিনি। সেই বাজে অভিজ্ঞতাকে স্মরণ করে এবার নিজেই কথা বললেন ভারতীয় এই ব্যাটার।

দীর্ঘদিন পর আসন্ন আইপিএলের মাধ্যমে আবারও মাঠের ক্রিকেটে ফেরত আসছেন পন্ত। এই বিষয়ে আলাপচারিতার সময় তার সেই মর্মান্তিক গাড়ি এক্সিডেন্টের কথা বলেছেন তিনি। দুর্ঘটনাটি ঘটার ঠিক পরেই যে চিন্তাটি তার মাথায় এসেছিল তা হলো, এই পৃথিবীতে তার সময় শেষ।

বিজ্ঞাপন

তবে এই অভিজ্ঞতা থেকে তিনি সবচেয়ে বড় যে শিক্ষাটি পেয়েছেন তা হচ্ছে সর্বদা আত্মবিশ্বাস রাখা। ব্যক্তিগত গাড়ি চালানো অবস্থাতে এই দুর্ঘটনায় পড়েছিলেন পন্ত। সেই আতঙ্ক মনে পুষে রেখে আর গাড়ি চালাবেন কিনা এই বিষয়ে জিজ্ঞেস করা হয় তাকে।

‘জীবনে প্রথমবার আমি এটি (গাড়ি চালানো) ছেড়ে দেওয়ার কথা ভেবেছিলাম। আমি তখন অনুভব করছিলাম যে এই পৃথিবীতে আমার সময় শেষ হয়ে গেছে।‘- এমনটাই বলেছেন পন্ত।

২০২৩ সালের ২৪ আগস্ট বেঙ্গালুরুতে এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, যখন দুর্ঘটনাটি ঘটেছিল যখন তিনি তার পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে দিল্লি থেকে রুরকি যাচ্ছিলেন। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তায় মিডিয়ান ডিভাইডারে তার গাড়িটি যেয়ে আঘাত করে।

দুর্ঘটনার ঠিক পরের মুহূর্তের বিবরণ দিতে গিয়ে পন্ত বলেন, ‘আমার ডান হাঁটু স্থানচ্যুত হয়ে ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে গেছিল। আশেপাশে কেউ ছিল কিনা আমি তা জিজ্ঞাসা করছিলাম যাতে কেউ আমার পা সঠিক পজিশনে ফিরিয়ে আনতে সহায়তা করতে পারেন কিনা। একজন আমার হাঁটুকে জায়গামতো ফিরিয়ে আনতে সহায়তা করেছিলেন।‘

পন্ত অসহনীয় ব্যথায় ছিলেন এবং পরে বুঝতে পেরেছিলেন যে পা না হারিয়ে দুর্ঘটনা থেকে বেরিয়ে আসতে পেরে তিনি কতটা ভাগ্যবান। কারণ স্নায়ুর কোনো ক্ষতি হলে তার অঙ্গচ্ছেদের সম্ভাবনাও ছিল। এ সম্পর্কে তিনি বলেছেন, ‘জীবনে এই প্রথম এমন অনুভূতি পেলাম। দুর্ঘটনার সময় আমি এইদিকে ভাগ্যবান ছিলাম কারণ আমার ক্ষতির পরিমাণ আরও গুরুতর হতে পারত।‘

দেরাদুনের একটি হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসার পর পন্তকে হেলিকপ্টারে করে মুম্বাইয়ে নিয়ে যাওয়া হয়, যেখানে তিনি বিসিসিআইয়ের বিশেষজ্ঞ পরামর্শদাতার তত্ত্বাবধানে ছিলেন। ডান হাঁটুর তিনটি লিগামেন্ট পুনর্গঠনের জন্য অস্ত্রোপচারের পর বেঙ্গালুরুর ন্যাশনাল ক্রিকেট একাডেমিতে পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যান পন্ত।