অধিনায়ক তাসকিনেও ভাগ্য খুলেনি ঢাকার

  • স্পোর্টস ডেস্ক বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

পয়েন্ট টেবিলের তলানির দুই দলের লড়াই। কে কাকে ছাড়িয়ে এক ধাপ উপরে উঠে আরেক দলকে নিচে ঠেলে দিবেন তাই ছিল দেখার। আর এই লড়াইটাও হয়েছে ওই ধাঁচের। দুর্দান্ত ঢাকার ১২৫ রানের টার্গেট টপকাতে গিয়ে রীতিমতো যায় যায় অবস্থা সিলেট স্ট্রাইকার্সের ব্যাটারদের। অবশ্য শেষ পর্যন্ত জয় মিলেছে তাদেরই। ৬ বল আগে ৫ উইকেট হাতে রেখে কষ্টার্জিত এক জয় তুলেছে সিলেট। তাতে ঢাকাকে আরেকটু পেছনে ফেলে টেবিলের ৬ নম্বর স্থানটাকে আরও পোক্ত করেছে সিলেট। তাতে প্লে অফে খেলার সম্ভাবনাও টিকে আছে দলটির।

জয় দিয়ে আশার শুরু করার পর টানা পাঁচ ম্যাচে হেরেছে ঢাকা। তাই একরকম বাধ্য হয়েও অধিনায়কত্বে বদল আনে ফ্র্যাঞ্চাইজটি। মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের বদলে প্রথমবারের মতো নেতৃত্ব দিতে দেখা যায় তাসকিন আহমেদকে। যদিও তাতে ভাগ্য ফেরেনি দলটির। তাদের দেওয়া সহজ লক্ষ্যে শুরুতে ভালো ব্যাটিং না করলেও নাজমুল শান্তর ৩৩ অধিনায়ক মিঠুনের ১৭ ও শেষ দিকে বেনি হাওয়েল-রায়ান বার্লের ৫৫ রানের জুটিতে পাঁচ উইকেটের জয় তুলে নেয় সিলেট। টুর্নামেন্টে এটি সিলেটের দ্বিতীয় জয়।

বিজ্ঞাপন

এর আগে, বুধবার রাতের ম্যাচে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতে সাব্বির হোসেন ৪ রান করে ফিরলেও দলকে বিপদে পড়তে দেননি মোহাম্মদ নাঈম। সাইফের সঙ্গে জুটি গড়ে দলকে বড় সংগ্রহের পথে রাখেন এই ওপেনার।

দুজনেই ছিলেন বেশ আক্রমণাত্মক। দু’জনের দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে জমা হয় ৭৮ রান। সাইফ যখন ৩২ বলে ৪১ রান করে সাজঘরের পথ ধরছেন ১০.১ ওভারে তখন ঢাকার রান ৮২। এরপর দলকে শক্ত অবস্থানে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্বটা ছিল বাকিদের ওপর। তবে সেই দায়িত্বটা না নিয়েই ২৯ বলে ৩৬ রান করে সাজঘরের পথ ধরেন নাঈম।

এরপর শুরু হয় ঢাকার ব্যাটিং ধস। রাজা সামিত প্যাটেলরা চেপে ধরেন ঢাকার ব্যাটারদের। সেই চাপে রান আসেনি খুব একটা। উইকেটও পড়েছে নিয়মিত বিরতিতেই। অলআউট না হতে হলেও দলীয় সংগ্রহটা বাড়েনি খুব একটা। ঢাকার সংগ্রহ দাঁড়ায় ৮ উইকেটে ১২৪ রান।

সংক্ষিপ্ত স্কোরকার্ড:
দুর্দান্ত ঢাকা: ১২৪/৮; (নাঈম ৩৬, সাইফ ৪১; রাজা ৩/২০, প্যাটেল ২/১৯)
সিলেট স্ট্রাইকার্স: ১২৯/৫ (১৯ ওভার); (শান্ত ৩৩, হাওয়েল ৩০*, বার্ল ২৯*; শরিফুল ৩/২৭, কাদির ২/১৬)
ফল: সিলেট স্ট্রাইকার্স ৫ উইকেটে জয়ী।