এক দশকে ১২ টেস্ট, ক্ষোভ ঝাড়লেন ল্যানিং

  • স্পোর্টস ডেস্ক বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

গত বছর দীর্ঘ ক্রিকেট ক্যারিয়ারের ইতি টেনেছেন অস্ট্রেলিয়া নারী দলের সফলতম অধিনায়ক মেগ ল্যানিং। ২০১১ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পা রাখার পর বিদায় বলার আগে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টিতে ১০০ টির ওপর ম্যাচ খেললেও টেস্ট খেলেছেন মাত্র ৬টি। খেলছেন না বলে খেলতে পেরেছেন বলাটাই শ্রেয়। কেননা, নারী ক্রিকেটে সব মিলিয়ে গত এক দশকে টেস্ট ম্যাচের সংখ্যায় ছিল মাত্র ১২টি।

নারী ক্রিকেটে টেস্ট ম্যাচের এই সংখ্যাটার কারণেই টেস্ট ক্যারিয়ারটা সেই অর্থে সমৃদ্ধ হয়নি ল্যানিংয়ের। যা নিয়েই এবার আইসিসির ওপর ক্ষোভ ঝেড়েছেন ল্যানিং। সোজা জানিয়ে দিয়েছেন, হয় টেস্ট ম্যাচের সংখ্যা বাড়ান নয়তো এই সংস্করণটিই বাদ দিয়ে দিন।

বিজ্ঞাপন

ক্রিকেটে নারী-পুরুষের বৈষম্য দূর করতে নানা মুখি পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলা হলেও আধতে তা খুব বেশি ফলপ্রসূ হয়নি। যার প্রমাণ মিলে পুরুষ ও নারী দলের টেস্ট ম্যাচের সংখ্যা দিকে তাকালেও। ছেলেদের ক্রিকেটে প্রতিটি দলই যেখানে বছরে প্রায় ১০-২০টি টেস্ট খেলে। সেখানে মেয়েরা এক দশকে খেলার সুযোগ পায় মাত্র ১২ টেস্ট। ২০০৪ সালের পর তো নিউজিল্যান্ড, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও পাকিস্তানের মতো দলকে টেস্ট খেলতেও দেখা যায়নি। আর এই অবস্থায় টেস্ট ম্যাচের প্রস্তুতিটা নারী ক্রিকেটারদের জন্য বেশ কঠিনই বটে।

সম্প্রতি ভারতের বিপক্ষে তাদের মাটিতে দুই ম্যাচে টেস্ট সিরিজ ১-০ তে হেরেছে অস্ট্রেলিয়া নারী দল। যা নিয়ে অস্ট্রেলিয়ায় বেশ সমালোচিত হতে হচ্ছিল ক্রিকেটারদের। যার প্রেক্ষিতেই এবার ক্রিকেটারদের পাশে দাঁড়ালেন ল্যানিং। টেস্ট ম্যাচের প্রস্তুতি নিয়ে ল্যানিং বলেন, ‘টেস্ট ম্যাচের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া সত্যিই কঠিন। আমার ক্যারিয়ারে, আমরা প্রতি দুই বছরে একবার খেলার সুযোগ পেতাম। কীভাবে খেলতে হবে তা নির্ধারণ করতেই আমাদের দুই দিন সময় লেগে যেত। আর তখন দেখতাম টেস্ট শেষ।’

ল্যানিং আরও বলেন, ‘আপনি যদি সত্যিই চান খেলাটি আরও ভাল প্রতিযোগিতামূলক হোক এবং আরও দেশ খেলুক। তবে আমার মতে ম্যাচের সংখ্যা বাড়াতে হবে। অথবা আপনি অন্য পথে যান। সেটা হতে পারে আপনি মোটেও খেলবেনই না। আপনি শর্ট-ফরম্যাটের জিনিসগুলিতে কেবল ফোকাস করবেন।’