উইন্ডিজ বোর্ডকে আবেগে না ভাসার আহ্বান বিশপের

  • স্পোর্টস ডেস্ক বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

অস্ট্রেলিয়ায় একটা টেস্ট জয় পেতে ২৭ বছর অপেক্ষা করতে হয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে। যে জয়ের নায়ক শামার জোসেফ। অথচ একদিন আগেও পায়ের চোটের কারণে মাঠেই নামার কথায় ছিল না তার। সেই তিনি ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় টেস্টে চোট নিয়ে মাঠে নেমে ঘুচিয়ে দিয়েছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের ২৭ বছরের আক্ষেপ। যা আবেগ আপ্লুত করেছে কমেন্ট্রি বক্সে থাকা দেশটির কিংবদন্তি ক্রিকেটার ব্রায়ান লারাকে।

জস হ্যাজেলউডের স্টাম্প উপরে ফেলার পর জয়ের আনন্দে যখন ছুটছেন শামার। পুরো ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল তখন তার পেছনে। যেন এই দৌড় তিনি থামাবেন না কিছুতেই। কমেন্ট্রি বক্সে তখন লারা। অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে শেষবার টেস্ট জয়ের ম্যাচে মাঠে ছিলেন তিনি। করেছিলেন সেঞ্চুরিও। আর তার এতোবছর পর ফের আরেকটি জয়। আবেগ ছুঁয়ে গিয়েছিল তাকে। আনন্দে কণ্ঠ জড়িয়ে আসছিল লারার। কথা বলতে পারছিলেন না। চোখের কোণে কেবলই দেখা গিয়েছে আনন্দ ধারা। দেশটির আরেক সাবেক ক্রিকেটার কার্ল হোপারেরও একই অবস্থা। আবেগ নিয়ন্ত্রণ করতে পারেননি তিনি। চোখ দিয়ে বেয়ে পড়েছে আনন্দ অশ্রু।

বিজ্ঞাপন

অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৮ রানের এই জয়টি আবেগে ভাসিয়েছে দেশটির প্রায় সব কিংবদন্তি ক্রিকেটার ও ভক্তদের। সেই দলে আছেন ইয়ান বিশপও। এরপরও আবেগ নিয়ন্ত্রণ করে দেশের ক্রিকেটের হাল ধরতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ডকে দায়িত্ব নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। মনে করিয়ে দিয়েছেন আবেগে না ভেসে কি করতে হবে এখন।

বিশপ বলেন, ‘বোর্ড, গায়ানা সরকার ও সহযোগী সংস্থাগুলির জন্য এই মুহূর্তে গুরুত্বপূর্ণ হল শামার জোসেফ এবং ১ বা ২ জন ফাস্ট বোলারকে ক্যারিবিয়ানে রাখা। তারা কতটা ক্রিকেট খেলবে তা নিয়ন্ত্রণ করার জন্য ক্ষতিপূরণ হিসেবে তহবিল বরাদ্দ করার উপায় খুঁজে বের করা। মনে রাখতে হবে তাদের গতিই সবকিছু। তাদের আবেগে ভেসে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া যাবে না।’

টেস্ট ক্রিকেট খেলে সেই অর্থে পারিশ্রমিক পান না ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিকেটাররা। যার ফল স্বরূপ দলটির তারকা ক্রিকেটারদের পাওয়া যায় না টেস্ট ক্রিকেটের দলে। বরং সহজ ও অল্প সময়ে অধিক টাকা উপার্জনের লক্ষ্যে ফ্র্যাঞ্চাজি ক্রিকেটে সময় দেন তারা। যার প্রভাবও পড়ছে দেশটির ক্রিকেটে। সবশেষ টি-টোয়েন্টি ও ওয়ানডে বিশ্বকাপের মূল পর্বে জায়গা হয়নি দলটির। এসব থেকে কিভাবে বেরিয়ে এসে নিজেদের ক্রিকেট ঐতিহ্য টিকিয়ে রাখা যায় সেই সম্পর্কের নিজের অভিমত জানিয়েছেন বিশপ।

বলেন, ‘আমাদের নিজেদের ক্রিকেট নিশ্চিত করতে হবে। একইসঙ্গে আমরা খেলোয়াড়দের একটি আরামদায়ক জীবনযাপন করতে দেব। এটা অনেকটা এমন হতে পারে, আমরা বছরে মাত্র দুই-তিনটি লিগ খেলব এবং তারপরে নিজেদেরকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের জন্য উপলব্ধ করব। এতে খেলোয়াড়রা অন্তত বুঝতে পারবে এটাই তাদের ক্যারিয়ারের প্রধান লক্ষ্য। কারণ তাদের ব্যক্তিগত অর্থ উপার্জন থেকে দূরে রেখে কাজ হবে না। কেননা, আপনি কতদিন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলবেন? তাই একটা সমঝোতা হওয়া দরকার।’