শেষ ওভারের নাটকীয়তায় বরিশালকে হারাল কুমিল্লা

  • স্পোর্টস ডেস্ক বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি:সংগৃহীত

ছবি:সংগৃহীত

ফরচুন বরিশালের দেওয়া ১৬২ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের। ৫৬ রানে তিন উইকেট হারানোর পর দলের হাল ধরেন ইমরুল কায়েস। একটা সময় ফিফটি তুলে দলকে জয়ের স্বপ্ন দেখাচ্ছিলেন অভিজ্ঞ এই ব্যাটার। তবে ৫২ রানে তিনি ফিরলে ওখানেই ম্যাচটা হেরে যেতে বসে কুমিল্লা। তবে আজ সেটা হতে দেননি জাকের আলি ও খুশদিল শাহ। খুশদিল ৭ বলে ১৪ রান করে লক্ষ্যটা আরেকটু কাছে আনার পর দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন ম্যাথিও ফ্রড। কুমিল্লা ম্যাচ জিতে এক বল হতে রেখে। 
 
এদিন লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে লিটন দাস। ১৮ বলে ১৩ রান করে ফিরতে হয়েছে কুমিল্লার অধিনায়ককে। তিনি ফিরলে মাঠে নেমেই ফিরে যান তাওহীদ হৃদয়। শুরু পেলেও ইনিংস টানতে পারেননি মোহাম্মদ রিজওয়ান। এই পাকিস্তানি ব্যাট্যার ফিরেন ১৮ রান করে। এরপর দায়িত্ব নেন ইমরুল। দলকে পথ দেখান। সেই পথে হেঁটেই পরে জয় তুলেছে দলটির বাকি ব্যাট্যাররা।  

এর আগে, আগের ম্যাচে ১৮৭ রানের বড় টার্গেট ‍দিয়েও ম্যাচ জিততে পারেনি ফরচুন বরিশাল। এ ম্যাচে অবশ্য টার্গেটটা ততো বড় হয়নি। তবে ঠিকই কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে ১৬২ রানের চ্যালেঞ্জিং টার্গেট দিয়েছে তামিম ইকবালের দল। ব্যাট হাতে এদিনও বরিশালকে নেতৃত্ব দিয়েছেন সৌম্য সরকার ও মুশফিকুর রহিম। তবে তাদের সেই টার্গেট টপকে ম্যাচে জয় তুলেছে কুমিল্লা।

আগের ম্যাচে ৬৮ রানে অপরাজিত মুশফিক এদিনও ব্যাট হাতে দলের সেরা ব্যাটার। শুরুতে ব্যাট করতে নেমে অবশ্য এদিন সুবিধা করতে পারেনি বরিশালের ব্যাটাররা। শূন্য রানে সাজঘরে ফিরতে হয় মেহেদী মিরাজকে। প্রীতম কুমারও ছিলেন না রানে। তামিম শুরু পেলেও টানতে পারেননি খুব একটা। থামতে হয়েছে ১৯ রানে।
পরে মুশফিকের সঙ্গে জুটি দলকে এগিয়ে নেন সৌম্য সরকার। ৩১ বলে ৪২ রান করে সৌম্য ফেরার পর দ্রুতই ফিরতে হয়েছে শোয়েব মালিক ও মাহমুদউল্লাহকে। বড় রানের ভিত গড়ার পর খানিকটা হোচট খায় বরিশাল। তবে দলকে টেনেছেন মুশফিক।

ইনিংসের শেষ ওভার পর্যন্ত ব্যাট করেছেন। দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন রান তোলায়। তবে মুস্তাফিজের বলে ৪৪ বলে ৬২ রান করে থামতে হয়েছে তাকে। তবে সাজঘরে ফেরার আগে দলকে শক্ত অবস্থানে রেখে গেছেন তিনি। ৯ উইকেট খরচায় বরিশালের ইনিংস থেমেছে ১৬১ রানে।