সাকিব আল হাসান এবং তামিম ইকবাল - বাংলাদেশ ক্রিকেটের সবচেয়ে আলোচিত দুই তারকা। একসময় তাদের বন্ধুত্ব নিয়ে গল্প হতো, এখন শিরোনাম হয় দুজনের বৈরিতা। ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপের আগে সে বৈরিতা পৌঁছে চূড়ান্ত পর্যায়ে। বেসরকারি একটি চ্যানেলকে দেয়া সাক্ষাৎকারে সরাসরি তামিমের চাঁছাছোলা সমালোচনা করেন সাকিব।
এবার দেশের ক্রিকেটের দুই পোস্টারবয়ের দেখা হচ্ছে বিপিএলে। আজ শনিবার (২০ জানুয়ারি) মিরপুরের হোম অব ক্রিকেটে মুখোমুখি হবে তামিম ইকবালের ফরচুন বরিশাল এবং সাকিব আল হাসানের রংপুর রাইডার্সের। বরিশালের নেতৃত্ব দিচ্ছেন তামিম, তবে সাকিব রংপুরের অধিনায়ক নন। রংপুরের নেতৃত্ব রয়েছেন উইকেটকিপার-ব্যাটার নুরুল হাসান সোহান। সাকিব রংপুরের নেতৃত্ব দিলে অবশ্য টসেই দেখা হয়ে যেত সাকিব-তামিমের।
টসে দেখা না হোক, তবে মাঠের ক্রিকেটে তো দুজনের মুখোমুখি হওয়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেয়া যায় না। তামিমকে যদি সাকিব বোলিং করেন বা সাকিবকে দ্রুত আউট করতে তামিমের পরিকল্পনা সাজানোর বিষয়গুলো নিশ্চিতভাবেই দর্শকদের মাঝে বাড়তি রোমাঞ্চ ছড়াবে।
এবারের বিপিএলে তুলনামূলক শক্তিশালী দল গড়ার চেষ্টা করেছে রংপুর এবং বরিশাল। এছাড়া দুই দলে দেশের ক্রিকেটের দুই মহাতারকার উপস্থিতি তাদের ভালো করার অনুপ্রেরণা দেবে। গত আসরে শেষ চারে জায়গা করে নিয়েছিল দুই দলই। তবে বরিশাল এবং রংপুর যথাক্রমে এলিমিনেটর ও কোয়ালিফায়ার টু-থেকে বাদ পড়ে যায়।
এবার দুই দলের চোখই শিরোপার দিকে। টুর্নামেন্ট শুরুর আগেই রংপুরের লক্ষ্যের কথা জানান সাকিব। বলেন, বরাবরই চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্য দল গড়ে রংপুর। এবারও তাদের লক্ষ্য শিরোপা। বরিশালের লক্ষ্যও অভিন্ন। তামিম ইকবালের ভাষায়, ‘আমাদের সবার লক্ষ্য একটাই। যেহেতু খেলছি, চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্যই খেলব।’
দুপুর দেড়টায় মিরপুরের হোম অব ক্রিকেটে মুখোমুখি হবে রংপুর এবং বরিশাল। দিনের অন্য ম্যাচে সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় মাঠে নামবে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স এবং খুলনা টাইগার্স। আসরের উদ্বোধনী দিনে মাশরাফির সিলেট স্ট্রাইকার্সকে হারিয়ে শুরুটা দুর্দান্ত হয়েছে চট্টগ্রামের।
সাতক্ষীরার দেবহাটায় শহীদ আসিফের নামে স্টেডিয়াম তৈরি করা হবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া।
শুক্রবার (১১ অক্টোবর) রাত ৯টায় সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে তিনি এ কথা বলেন।
আসিফ মাহমুদ বলেন, বিগত সরকারের সময় ক্রীড়া ক্ষেত্রে রাজনীতিকরণ করা হয়েছে। ক্রীড়া সংশ্লিষ্টরা নিজ নিজ জেলায় ক্রীড়া ক্ষেত্রে কিছু কিছু উন্নয়ন করলেও সামগ্রিকভাবে দেশের ক্রীড়া ক্ষেত্রে উন্নয়ন করা হয়নি।
ক্রীড়া উপদেষ্টা আরো বলেন, নতুন স্টেডিয়াম তৈরি করার চেয়ে পুরাতন স্টেডিয়ামের সংস্কার ও রক্ষণাবেক্ষণ জরুরি।
জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় পুলিশ সুপার মো. মনিরুল ইসলামসহ জেলার দফতরের প্রধানগণ, গণমাধ্যম কর্মী, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) আমেজ শুরু হয়ে গেল! আগামী ১৪ অক্টোবর প্লেয়ার্স ড্রাফট। যদিও ড্রাফটের আগেই অনেকেই দল পেয়ে গেছেন। সব ঠিক থাকলে ২৭ ডিসেম্বর শুরু বিপিএলের মাঠের লড়াই। একদিন আগেই বাংলাদেশি নিবন্ধনকৃত ১৮৮ ক্রিকেটারের তালিকা ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোকে দিয়েছে বিসিবি।
বিপিএল ড্রাফট তালিকায় থাকা ক্রিকেটারদের এবার ৬ ক্যাটাগরিতে ভাগ করা হয়েছে। রিটেইন ও ডিরেক্ট সাইনিংয়ের সুযোগও থাকছে। যার মাধ্যমে ড্রাফটের আগে সর্বোচ্চ তিনজন দেশি তারকাকে নিতে পারবে দলগুলো।
ড্রাফটে ‘এ’ ক্যাটাগরির ক্রিকেটাররা ৬০ লাখ, ‘বি’ ৪০ লাখ, ‘সি’ ২৫ লাখ, ‘ডি’ ২০ লাখ, ‘ই’ ১৫ এবং ‘এফ’ ক্যাটারগরিতে থাকা ক্রিকেটাররা ১০ লাখ টাকা পাবেন।
চলুন দেখে নেই কে কোন ক্যাটাগরিতে-
এ’ ক্যাটাগরি
সাকিব আল হাসান, লিটন দাস, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম, শরিফুল ইসলাম, মেহেদী হাসান মিরাজ, রিশাদ হোসেন, মুস্তাফিজুর রহমান, নাজমুল হোসেন শান্ত, তাসকিন আহমেদ ও তাওহীদ হৃদয়।
‘বি’ ক্যাটাগরি
আফিফ হোসেন ধ্রুব, এনামুল হক বিজয়, হাসান মাহমুদ, জাকের আলী অনিক, মাশরাফি বিন মুর্তজা, শামীম হোসেন পাটোয়ারী, নুরুল হাসান সোহান, শেখ মেহেদী, তানভীর ইসলাম, তানজিদ হাসান তামিম, তানজিম হাসান সাকিব
‘সি’ ক্যাটাগরি
আবু হায়দার রনি, ইবাদত হোসেন চৌধুরি, ইমরুল কায়েস, মাহমুদুল হাসান জয়, আল আমিন হোসেন, মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধ, জাকির হাসান, মোহাম্মদ মিঠুন, সাইফ হাসান, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, মুমিনুল হক, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, নাহিদ রানা, নাহিদুল ইসলাম, নাইম শেখ, নাসুম আহমেদ, রাকিবুল হাসান জুনিয়র, রনি তালুকদার, সৌম্য সরকার, খালেদ আহমেদ, তাইজুল ইসলাম, ইয়াসির আলী রাব্বি
‘ডি’ ক্যাটাগরি
আবু জায়েদ রাহি, আকবর আলী, আলিস আল ইসলাম, আরাফাত সানি, আরিফুল হক, ফজলে মাহমুদ রাব্বি, হাবিবুর রহমান সোহান, ইরফান শুক্কুর, কামরুল ইসলাম রাব্বি, মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন, জিসান আলম, সৈকত আলী, মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরি, নাঈম হাসান, নাজমুল ইসলাম অপু, নিহাদ উজ জামান, রেজাউর রহমান রাজা, রিপন মণ্ডল, রবিউল হক, রুবেল হোসেন, সাদমান ইসলাম, শফিকুল ইসলাম, সোহাগ গাজী, শহিদুল ইসলাম, শুভাগত হোম, সুমন খান, সানজামুল ইসলাম এবং জিয়াউর রহমান।
এছাড়া ‘ই’তে ৫১ ও ‘এফ’ ক্যাটাগরিতে রয়েছেন ৬৩ জন ক্রিকেটার।
হতাশার ভারত সফরের শেষ দিকে আছে বাংলাদেশ। আর বাকি একটা ম্যাচ। এই ম্যাচের আগ পর্যন্ত একটা ম্যাচেও জিততে পারেনি দল। তবে দলের ফিল্ডিং কোচ নিক পোথাস নজর দিচ্ছেন ইতিবাচক দিকে।
ভারতে বড় বড় দলও গিয়ে খাবি খায়। অনেক বড় দলের জন্য এই মাটিকে মনে করা হয় চূড়ান্ত চ্যালেঞ্জ হিসেবে। সেটা আরও একবার মনে করিয়ে দিলেন পোথাস।
এরপর তিনি জানালেন সামনে থাকা চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির কথাও। তিনি বলেন, ‘ভারতে অনেক দলই এসে বাজে সফর কাটিয়ে যায়। আমাদেরকে যেদিকে নজর দিতে হবে তা হচ্ছে শিখতে পারছি কী না, সামনের দিকে তাকাতে হবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আসছে সামনে, টি-টোয়েন্টি আছে।’
ভারতের মাটি সব দলের জন্যই কঠিন। সেখানে সফর করতে পেরে নিজেদের ভাগ্যবানও ভাবছেন পোথাস। তার ভাষ্য, ‘আমরা সবসময়ই জিততে চাই, দুনিয়ার যেকোনো খেলাতেই এটি সবাই করে থাকে। তবে আমাদের বাস্তবিকভাবেও চিন্তা করতে হবে। আমরা কিছুটা ভাগ্যবানও যে ভারত সফরে আসতে পেরেছি। কারণ এখানে অনেক কিছু শেখা হয়েছে আমাদের। শিক্ষাটা সৎভাবে হতে হবে।’
সাফল্যের জন্য টানা শিখে যাওয়ার গুরুত্ব কেমন, তাও জানালেন পোথাস। তিনি বলেন, ‘আপনি চাইলে বিশ্বের সেরা কারও সাথে কথা বলে দেখতে পারেন, তারা আপনাকে বলবে যে, প্রতিদিনই শেখার দিন। যখন আপনি শেখা বন্ধ করে দেবেন, তখনই সমস্যা শুরু হবে। ফলে এটা কোনো সমস্যা নয় আমাদের। এমনকি ভারতের সূর্যকুমার যাদবও ম্যাচ শেষে বলেছিল সে অনেক কিছু শিখেছে, কীভাবে বোলারদের ব্যবহার করতে হবে। সবসময় আপনাকে শিখতে হবে।’
একটা সফরে যাচ্ছেন, ঠিক এই সময় যদি আপনার দলের অধিনায়ক চোটে পড়েন, এর চেয়ে বড় দুঃসংবাদ আর কীইবা হতে পারে? দক্ষিণ আফ্রিকা আজ শুনেছে ঠিক তেমন কিছুই। চোটের কারণে টেম্বা বাভুমা ছিটকে গেছেন অন্তত প্রথম টেস্ট থেকে।
আবুধাবিতে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে খেলছিলেন বাভুমা। সেখানেই তিনি ব্যথা পান কনুইয়ে। সেই চোটই এবার তাকে মিরপুর টেস্ট থেকে ছিটকে দিয়েছে।
তার বিদায়ের ফলে বাংলাদেশে টেস্ট খেলার অভিজ্ঞতা আছে এমন ক্রিকেটার আর রইল না দক্ষিণ আফ্রিকা শিবিরে। ২০১৫ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বাংলাদেশ সফরে খেলেছিলেন তিনি, এরপর থেকে দলটা আর আসেনি বাংলাদেশে।
তার বদলে দক্ষিণ আফ্রিকা তাদের স্কোয়াডে এনেছে ডেভাল্ড ব্রেভিসকে। তার এখনও অভিষেক হয়নি সাদা পোশাকে। এদিকে দলটাকে প্রথম টেস্টে নেতৃত্ব দেবেন এইডেন মার্করাম।
আগামী ২১ অক্টোবর সিরিজের প্রথম ম্যাচে মাঠে নামবে দুই দল। ম্যাচটা হবে মিরপুরে। এরপর আগামী ২৯ অক্টোবর চট্টগ্রামে শুরু হবে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট।
বাংলাদেশ সফরের দক্ষিণ আফ্রিকা দল
টেম্বা বাভুমা (অধিনায়ক), ডেভিড বেডিংহাম, ম্যাথু ব্রিটজকে, ডেভাল্ড ব্রেভিস, টনি ডি জর্জি, কেশব মহারাজ, এইডেন মার্করাম, উইয়ান মুল্ডার, সেনুরান মুথুসামি, লুঙ্গি এনগিডি, ডেন প্যাটারসন, ডেন পিট, কাগিসো রাবাদা, ট্রিস্টান স্টাবস, রায়ান রিকেলটন, কাইল ভেরেইনা।