শরিফুলের হ্যাটট্রিকে বিপিএল শুরু

  • স্পোর্টস ডেস্ক বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স বিপিএলের দশ আসরের উদ্বোধনী ম্যাচে মাঠে নেমেছিল দুর্দান্ত ঢাকার বিপক্ষে। টসে হেরে শুরুতে ব্যাটিং করতে নেমে অবশ্য ভালেই শুরু পেয়েছিল কুমিল্লা। ২৩ রানে দলীয় অধিনায়ক লিটন দাসের উইকেট হারালেও লম্বা সময় উইকেটে ছিলেন ইমরুল কায়েস ও তাওহীদ হৃদয়। দু’জনে রানও পেয়েছেন বেশ। তবে স্ট্রাইকরেটটা ঠিক আশাব্যঞ্জক ছিল না তাদের। দু’জনের কারও স্ট্রাইকরেটও যায়নি ১২০ এর ওপর। যার দায়টাও চুকাতে হয়েছে কুমিল্লাকে। লম্বা সময় ব্যাট করলেও দেড়শর আগেই থেমেছে কুমিল্লার ইনিংস। শেষ ওভারে চলতি বিপিএলের প্রথম হ্যাটট্রিকের দেখা পেয়েছেন শরিফুল ইসলাম।

এদিন ফিল্ডিংয়ে নেমে দ্রুতই সাফল্য পেয়েছে ঢাকা। চতুরঙ্গ ডি সিলভার বলে ১৬ বলে মাত্র ১৩ রান করে সাজঘরের পথ ধরতে হয় লিটনকে। এরপর অবশ্য ইমরুলের সঙ্গে জুটি গড়ে রানের চাকা সচল রাখছিলেন তাওহীদ। তবে দু’জনের কাউকেই ব্যাট হাতে আগ্রাসী মনে হয়নি। ইমরুল ব্যাট করেছেন ম্যাচের ১৯ তম ওভার পর্যন্ত। রান করেছেন ৫৬ বলে ৬৬। ইনিংসে ছিল ২টি ছয় ও ৬টি চারের মার। আরেক ব্যাটার তাওহিদ ৪১ বলে করেন ৪৭ রান।

বিজ্ঞাপন

পর্যাপ্ত উইকেট থাকার পরও তাদের এমন ব্যাটিংয়েই স্কোরবোর্ডে বড় ভিত পায়নি কুমিল্লা। তাওহিদ আউট হওয়ার পর উইকেটে এসে তাণ্ডব চালানোর চেষ্টা করেছিলেন খুশদিল শাহ। ৫ বলে ২ ছক্কায় ১৩ রান করেন তিনি। তবে বাকি ব্যাটাদের রানের খাতা খুলতে দেননি শরিফুল। ইনিংসের শেষ ওভারের শেষ তিন বলে ফেরান তিন ব্যাটারকে। তুলে নেন চলতি বিপিএলের প্রথম হ্যাটট্রিক। তার হ্যাটট্রিকে কুমিল্লার ইনিংস থেমেছে ৬ উইকেট খরচায় ১৪৩ রানে। যেখানে তাসকিনের শিকার ২ উইকেট। শরিফুলের শিকার ৩ উইকেট।

সপ্তম বোলার হিসেবে বিপিএলে হ্যাটট্রিকের দেখা পেলেন শরিফুল। এর আগে সবশেষ ২০২২ সালে অভিষেক ম্যাচেই হ্যাটট্রিকের দেখা পান মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী। বাংলাদেশের আরেক পেসার আল-আমিন হোসাইন পেয়েছিলেন হ্যাটট্রিকের দেখা। হ্যাটট্রিকের দেখা পাওয়া বাকিরা বিদেশি ক্রিকেটার।