নিউজিল্যান্ডের কাছে আবারও হারল পাকিস্তান 

  • স্পোর্টস ডেস্ক বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

১৯৫ রানের লক্ষ্যটা বিশালের কাতারেই। সেখানে আবার শুরুর ১০ রানেই দুই ওপেনার সাজঘরে। তবে বাবর আজম ও ফখর জামানের ব্যাটে চড়ে বেশ ভালোভাবেই এগোচ্ছিল পাকিস্তান। তবে ফিফটি তুলে নিয়ে দলীয় ৯৭ রানের মাথায় ফখর ফিরলে থেমে যায় রানের গতি। পরে বাবরের ৬৬ রান বাদে বাকি ব্যাটার কেবলই কমিয়েছেন ব্যবধান। মিলনে-সোদি বোলিং নৈপুণ্যে শেষ পর্যন্ত ১৭৩ রানে থামে সফরকারীরা। এতে ২১ রানের জয়ে পাঁচ ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজে ২-০ তে এগিয়ে কেন উইলিয়ামসনের দল।

হ্যামিলটনে এদিনও টসে জিতে আগে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন পাকিস্তান অধিনায়ক শাহিন শাহ আফ্রিদি। সেখানে ব্যাট করতে নেমে ফিন অ্যালেনের ৭৪ এবং উইলিয়ামসনের ২৬ রানের ভরে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৯৪ রান তোলে কিউইরা। 

বিজ্ঞাপন

এতে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় পাকিস্তান। দলীয় ১০ রানের ভেতর সাজঘরে ফেরেন সাইম আইয়ুব (১) ও মোহাম্মদ রিজওয়ান (৭)। পরে শুরু সেই চাপ সামলে এগোতে থাকেন বাবর ও ফখর। বাউন্ডারির ফুলঝুরি ফুটিয়ে ২৫ বলে ৩ চার ও ৫ ছক্কায় ফিফটি তুলে নেন ফখর। তবে পরক্ষণেই আউট হন এই বাঁহাতি ব্যাটার। এতে ভাঙে তৃতীয় উইকেটে তাদের ৮৭ রানের জুটি। 

এরপর বাবর আজম থিতু হলেও রানের গতি কমে যায় অনেকটাই। একপ্রান্ত থেকে লড়াই চালিয়ে যাওয়া এই ডানহাতি ব্যাটার থামে ৪৩ বলে ৬৬ রান করে। বাকি ব্যাটাররা স্রেফ যাওয়া-আসার মধ্যে থাকলেও দলের নতুন তারকা আমের জামাল খেলেন ১৩ বলে ২২ রানের ক্যামিও ইনিংস। ১৯ ওভার ৩ বলে সবকটি উইকেট হারিয়ে পাকিস্তান থামে ১৭৩ থামে। অ্যাডাম মিলনে নেন চারটি উইকেট। এছাড়া টিম সাউদি, বেন সিয়ারস ও ইশ সোদি নেন দুটি করে উইকেট। 

এর আগে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই রীতিমত তাণ্ডব চালান দুই ওপেনার ডেভন কনওয়ে ও ফিন অ্যালেন। আগের ম্যাচে শূন্য হাতে ফিরলেও এদিন শুরু থেকে ছন্দে এগোতে থাকেন কনওয়ে। তব ইনিংস বড় করতে হন ব্যর্থ। দলীয় ৫৯ রানের মাথায় উঠতি পেসার আমের জামালের বলে ফেরেন এই বাঁহাতি ব্যাটার (২০)। এরপর আগের ম্যাচের পুনরাবৃত্তি ঘটিয়ে চাপ সামাল দেন উইলিয়ামসন ও অ্যালেন। রানের গতি সচল রেখেই থাকেন এগোতে। তবে দলীয় ১১১ রানের মাথায় চোটের কারণে মাঠ ছাড়তে বাধ্য হন কিউই অধিনায়ক। এর আগে ব্যাট হাতে ১৫ বলে করেন ২৬ রান। 

এরপর তাণ্ডব চালানো অ্যালেনও ফেরেন ৪১ বলে ব্যক্তিগত ৭৪ রান। এতে শেষে জেতেন ম্যাচ সেরার পুরস্কার। একাদশে ফিরে ১৩ বলে ২৫ রান করে মিচেল সান্টনার ফেরার পর বাকি ব্যাটাররা ছিলেন যাওয়া-আসার মাঝেই। শেষ দুই ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে স্কোরবোর্ডে স্রেফ ১২ রান যোগ করে কিউইরা, সেখানে ১৯তম ওভারে তিন উইকেট নেন হারিস। এছাড়াও ২টি উইকেট নেন আব্বাস আফ্রিদি।