ব্যাটিং ব্যর্থতায় ১১০ রানেই থামল বাংলাদেশ

  • স্পোর্টস ডেস্ক বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

সিরিজ হারটা এড়িয়েছে দ্বিতীয় ম্যাচেই। বৃষ্টি বাধায় পরিত্যক্ত হওয়ায় সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ শেষে এগিয়ে ছিল শান্তরাই। বাংলাদেশের জন্য আজকের (রোববার) ম্যাচটি সিরিজ নির্ধারণী। জিতলেই গড়বে ইতিহাস, কিউইদের মাটিতে প্রথমবারের মতো সিরিজ জেতার। এদিকে নিউজিল্যান্ডের জন্য এটি সিরিজ বাঁচানোর ম্যাচ।

তবে সিরিজ জেতার স্বপ্নে প্রথম বাধা এলো ব্যাটিংয়ে। মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে আগে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই ব্যাটিং বিপর্যয়ের মুখে পড়ে নাজমুল হোসেন শান্তর। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট বিলিয়ে সাজঘরে ফেরেন সৌম্য-আফিফরা। এতে নির্ধারিত ১৯ ওভার ৩ বলে সবকটি উইকেট হারিয়ে স্রেফ ১১০ রান তুলেছে বাংলাদেশ।

বিজ্ঞাপন

ভাগ্যটা বদলানোর শুরু যেন টসে। আগের দুই ম্যাচ টস জয়ের পর এই ম্যাচে হারে বাংলাদেশ। এতে কিউইদের থেকে আগে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ পায় শান্ত-সৌম্যরা। সেখানেই শুরুতেই চাপে পড়ে সফরকারীরা। লিটন দাস এদিনও একাদশে না থাকায় রনি তালুকদারের সঙ্গে ওপেনিংয়ে নামেন সৌম্য সরকার। তবে সিরিজজুড়ে ছন্দে থাকলেও এদিন হলেন ব্যর্থ। ইনিংসের চতুর্থ বলে ফেরেন টিম সাউদির বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়ে। শুরুর সেই চাপ সামলে আরেক ওপেনার রনিকে নিয়ে এগোতে থাকেন অধিনায়ক শান্ত। তবে বেশিক্ষণ টিকলেন না তিনিও। দলীয় ৩১ রানের মাথায় ফেরেন অ্যাডাম মিলনের বলে। শান্তর ব্যাট থেকেই আসে দলীয় সর্বোচ্চ ১৭ রান। কেননা এদিন কোনো ব্যাটারই পেরোতে পারেননি ২০ রানের গণ্ডি।

পরের ওভারে ফেরেন রনিও (১০)। দলীয় ৪১ রানের মাথাতেই তিন উইকেট হারিয়ে যখন ধুঁকছিল বাংলাদেশ, সেখানে আরও এক মাত্রা যোগ করে কিউই অধিনায়ক মিচেল স্যান্টনার। তার ঘূর্ণিতে মিছিল নামে ব্যাটারদের যাওয়া-আসায়। ৪ ওভার বলে কেবল ১৬ রান খরচে চার ব্যাটারকে সাজঘরের পথ দেখান স্যান্টনার। এতে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে শেষ পর্যন্ত ১১০ রানে থামে বাংলাদেশ। সাউদি, মিলনে ও বেন সিয়ার্স নেন দুটি করে উইকেট।