বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ড ম্যাচে বৃষ্টির জয় 

  • স্পোর্টস ডেস্ক বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

শেষ পর্যন্ত জয় হলো বৃষ্টির। শঙ্কায় হলো সত্যি। ইনিংসের ১১ ওভারের পর নামা বৃষ্টি শেষ খেলা পুনরায় শুরু হওয়ার শেষ মুহূর্তেও না থামলে পরিত্যক্ত হয় কিউই সফরের বাংলাদেশের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচটি।  

স্থানীয় সময় রাত ১০টা ২৮ মিনিটে শুরু হতো খেলা। তবে বৃষ্টির তীব্র মাত্রা বিবেচনায় এর প্রায় ৩০ মিনিট আগে ৯টা ৫৫ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় দুপুর ২টা ৫৫ মিনিট) আসে পরিত্যক্তের ঘোষণা।

বিজ্ঞাপন

মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে বৃষ্টির শঙ্কা ছিল দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচের আগে থেকেই। যদিও সেই শঙ্কা উড়িয়ে নির্ধারিত সময়েই মাঠে গড়িয়েছিল ম্যাচ। নিউজিল্যান্ডকে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়ে শুরুটাও পেয়ে গিয়েছিল নাজমুল শান্তর দল। স্বপ্ন দেখা শুরু করেছিল কিউইদের অল্পতে আটকে সিরিজ জয়েরও। তবে শেষ পর্যন্ত তা শেষ করা গেল না। ম্যাচের ১১ ওভার শেষে শুরু হওয়া সেই বৃষ্টি শেষ পর্যন্ত গিলে খেল ম্যাচটাকে। বাতিল করা হল ম্যাচ।

এদিন চোটের কারণে মাঠে নামতে পারেননি লিটন দাস। তার জায়গায় উইকেটের পেছনে দাঁড়িয়েছিলেন রনি তালুকদার। আর বদলি হিসেবে মাঠে নেমেছিলেন শামিম হোসেন। সুযোগ পেয়েছিলেন নিজেকে প্রমাণ করার। অবশ্য আগের ম্যাচে হারলেও নিউজিল্যান্ড তাদের স্কোয়াডে কোনো বদল আনেনি।

বল হাতে এদিনও দুর্দান্ত শুরু এনে দিয়েছিলেন শরিফুল। নিজের প্রথম ওভারেই ব্রেক থ্রু এনে দেন শরিফুল। দলীয় ৯ রানে ফিন অ্যালেনকে সাজঘরের পথ ধরান এই পেসার। সেই ধাক্কা কাটেয় বিপদজনক হয়ে উঠছিলেন টিম সেইফার্ট। বাংলাদেশি বোলারদের মাথা ব্যথার কারণ হয়ে উঠছিলেন এই ব্যাটার। তবে তাকে ফেরান তানজিম সাকিব। ২৩ বলে ৪৩ রান করে ফেরেন তিনি। ৭.২ ওভারে তখন নিউজিল্যান্ডের সংগ্রহ ৫৮ রান।

সেইফার্ট ফেরার পর কিউইদের রানে লাগামটানে বাংলাদেশ। নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে চেপে ধরে উইকেটে থাকা ড্যারিল মিচেল ও গ্লেন ফিলিপস। মাঝে ৯.২ ওভারে বৃষ্টি হয় খানিকটা। তবে তাতে ম্যাচ বন্ধ করতে হয়নি। কিছুক্ষণ পরেই থেমে যায় সেই বৃষ্টি। বাংলাদেশও অব্যাহত রাখে কিউই ব্যাটারদের ওপর চাপ। সেই চাপ ক্রমেই বাড়িয়ে তুলছিলেন রিশাদ হোসেন। ৩ ওভার হাত ঘুরিয়ে মাত্র ১০ রান খরচ করেছেন এই লেগ স্পিনার। তবে শেষ পর্যন্ত দিনটা মনে রাখার মতো হলো না তার।

১১ ওভারে ৭২ রানে থাকা অবস্থায় দ্বিতীয় দফায় বৃষ্টি শুরু হলে তা সময়ের সঙ্গে ভারি হতে থাকে। শেষ হতে থাকে ম্যাচ মাঠে গড়ানোর সম্ভাবনা। তবুও লম্বা সময় অপেক্ষা করা হয়েছিল। তবে শেষ পর্যন্ত সেই বৃষ্টি আর না থামলে পণ্ড হয় ম্যাচ। আগামী ৩১ ডিসেম্বর তিন ম্যাচ সিরিজের শেষ ম্যাচটি মাঠে গড়াবে এই একই ভেন্যুতে। সেই ম্যাচে হারলেও অবশ্য সিরিজ হারতে হচ্ছে না বাংলাদেশকে।