ঝাপসা চোখে বিশ্বকাপ কাটিয়েছিলেন সাকিব 

  • স্পোর্টস ডেস্ক বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

 

আট ম্যাচে ৬০৬ রান ও ১১ উইকেট। ২০১৯ বিশ্বকাপে ব্যাটে-বলে সাকিব আল হাসান যা করে দেখিয়েছেন তা মনে রাখতে বাধ্য আপনিও। তা ছাপিয়ে ২০২৩ বিশ্বকাপও সবাই ভুলতে পারবে না নানান কারণে এবং সাকিব নিজেও। মাঠের বাইরের আলোচনা-সমালোচনার পর মাঠের পারফর্মও ছিল না এই বিশ্বসেরা অলরাইন্ডারের পক্ষে। 

বিজ্ঞাপন

আগের বিশ্বকাপেই এমন দুর্দান্ত, পরেরটাই তার হয়েছিল তা কী? এমন প্রশ্ন অনেকেরই। এক মাসেরও বেশি সময় পর এমন ধোঁয়াশার গেরো কিছুটা হয়তো খুলল। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে সাকিব জানালেন বিশ্বকাপে তার এমন পারফর্মের পেছনের কারণ। 

২০২৩ বিশ্বকাপের পুরোটা সময় চোখের সমস্যায় ভুগেছেন সাকিব। মানসিক চাপ থেকেই হয়েছে এমনটা। এবং তা নিয়েই খেলছেন সাত ম্যাচ। 

নিজেদের নয় ম্যাচে সাতটিতে খেলেছিলেন সাকিব, দুই ম্যাচ ডাগআউটে বসে কাটিয়েছিলেন চোটের কারণে। সেখানে ২৬ এর কিছুটা বেশি ব্যাটিং গড়ে করেছেন ১৮৬ রান। ব্যাট হাতে এমন দুর্দশা কাটাতে বিশ্বকাপ মাঝেই ফিরেছিলেন ঢাকায়, কোচ নাজমুল আবেদিন ফাহিমের পরামর্শ নিতে। মূলত শর্ট বলতে খেলতে সমস্যা হচ্ছিল তার। তবে ফিরে গিয়েই সেই শর্ট বলেই বিলিয়েছেন নিজের উইকেট। এতদিন পর সাকিব জানালেন সেই চোখের সমস্যার কারণেই হয়েছে এমন। 

চিকিৎসা বিজ্ঞানের মতে, চোখ হচ্ছে মস্তিষ্কের বর্ধিত একটা অংশ। যখন মস্তিষ্কে চাপ পড়ে, তখন চোখ আর তার ভাসকুলার সিস্টেমেও তার প্রভাবটা পড়ে ভালোভাবে। স্ট্রেস হরমোন যখন মস্তিষ্ক থেকে বেরোয়, তখন তা সরাসরি দৃষ্টিশক্তিতে প্রভাব ফেলে। দীর্ঘমেয়াদি চাপ উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি বাড়ায়, রক্তনালী সরু হয়ে আসে, তাতে রেটিনায় রক্ত চলাচলে বাঁধাপ্রাপ্ত হয়। চিকিৎসা শাস্ত্রে এর নাম হাইপারটেনসিভ রেটিনোপ্যাথি। এর ফলে ডাবল ভিশন কিংবা চোখে ঝাপসা দেখার মতো সমস্যা তৈরি হতে পারে। সাকিব বিশ্বকাপের সময় পড়েছেন এই সমস্যাতেই। 

ক্রিকবাজকে দেওয়া সেই সাক্ষাৎকারে সাকিব বলেন, ‘বিষয়টা কেবল একটা-দুটো ম্যাচে হয়নি। পুরো বিশ্বকাপেই আমার এ সমস্যাটা হচ্ছিল। (ব্যাটিংয়ের সমস্যার কারণ এটা) হতেই পারে। বলের মুখোমুখি হওয়াতে আমার বেশ সমস্যা হচ্ছিল।’

‘বিষয়টা হচ্ছে, যখন আমি ডাক্তারের কাছে গিয়েছি আমার কর্নিয়াতে পানি থাকার সমস্যা নিয়ে, তারা আমাকে ড্রপ দিয়েছিল, বলেছিল আমি যেন আমার ওপর থাকা চাপটা কমাই। আমি ঠিক জানি না চোখের সমস্যার কারণ সেটাই ছিল কি না। তবে আমেরিকায় যখন আবার পরীক্ষা করালাম, তখন কোনো সমস্যাই ছিল না। আমি ডাক্তারকে বলেছিলাম, বিশ্বকাপ নেই তো চাপও নেই।’

তবে মানসিক চাপের কারণে মূল কারণ সেভাবে খোলাসা করে কিছু বলেননি সাকিব। তবে অধিনায়কত্ব এবং একের পর এক হারের চাপ থেকেই যে এসেছে তার সিংহভাগ, তা অনেকটা নিশ্চিত করে বলাই যায়!