সৌম্যর ব্যাটের ঝড়ে ১৬৯, বাংলাদেশের ২৯১

  • স্পোর্টস ডেস্ক বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

রীতিমত তাণ্ডবই চালালেন বৈকি। সৌম্য সরকারের দলে ফেরাটায় যেন সমালোচনা। কেন এতো সুযোগ! আগের ম্যাচেই করেছিলেন জোড়া শূন্য। বল হাতে মলিনের পর ব্যাট হাতেও ০। গতকালের সংবাদ সম্মেলনে কোচ হাথুরুসিংহেও বলছিলেন, আসলে সৌম্যর সমস্যাটা কোথায় বুঝতে পারছি না! যেন সব কিছুর দাঁতভাঙা জবাব দিলেন সৌম্য। ইনিংসের লক্ষ্যটা যেন পুরো তার ওপর ভর করেই দাঁড়ালও। কিউইদের মাঠে এই বাঁহাতি ব্যাটারের রেকর্ড গড়া ১৬৯ রানের নান্দনিক ইনিংসে ভর করে বাংলাদেশের সংগ্রহ ২৯১ রান।

এই ম্যাচে একাদশে সৌম্য থাকবেন কি না তা নিয়েই উঠেছিল প্রশ্ন। সব ছাপিয়ে একাদশে সৌম্য। খেললেন দানবীয় ১৫০ পেরোনো ইনিংস। নিজের ক্যারিয়ার সেরা, কিউইদের বিপক্ষে বাংলাদেশি ব্যাটার হিসেবে সর্বোচ্চ এবং এশিয়ান ব্যাটার হিসেবে কিউইদের মাটিতে সর্বোচ্চ। সৌম্য ১৫১ বলে ১৬৯ রানের দুর্দান্ত এই ইনিংস সাজান ২২ চার ও ২টি ছক্কার মারে।

বিজ্ঞাপন

নেলসনে টসে জিতে আগে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় স্বাগতিকরা। যেখানে ব্যাট করতে শুরুতেই চাপে পড়ে বাংলাদেশ। প্রথম পাওয়ারপ্লে তেই সাজঘরে ফেরেন টপ-অর্ডারের তিন ব্যাটার। এনামুল ২, অধিনায়ক শান্ত ৬ ও লিটন ৬ রানে ফিরলে ৩ উইকেটে দলীয় সংগ্রহ তখন ৪৪। আগের ম্যাচে ফর্মে থাকা তাওহীদ হৃদয় (১২) ফেরেন দ্রুত। দলীয় ৮০ রানের মাথায় কাটা পড়েন রান আউটে।

তবে অন্য প্রান্ত আগলে থিতু হয়ে রানের চাকা সচল রাখেন আরেক ওপেনার সৌম্য। তাকে যোগ্য সঙ্গ দিতে থাকেন অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিম। পঞ্চম উইকেটে গড়ে ৯১ রানের সময় উপযোগী জুটি। ৫৭ বলে ৪৫ রান করে ডাফির বলে ফেরেন মুশফিক।

আরেক প্রান্তে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট পড়তে থাকলেও অন্য প্রান্ত থেকে একাই রানের চাকা সচল রাখেন সৌম্য। ১১৬ বলে পান সেই কাঙ্ক্ষিত সেঞ্চুরির দেখা। ২০১৫ সালে প্রথমটি এসছিল তার অভিষেকের পরের বছরে। ২০১৮ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পেয়েছিলেন দ্বিতীয়টি। সেখান থেকে পাঁচ বছর পর এলো তৃতীয়টি।

একের পর এক রেকর্ডও গড়তে থাকেন সৌম্য। দলীয় ইনিংস নিয়ে যান শেষ ওভারে। চার বল বাকি থাকতে ক্যারিয়ার সেরা ১৬৯ রান করে ফেরেন ও’রর্কের বলে। ৪৯ ওভার ৫ বলে সবকটি উইকেট হারিয়ে ২৯১ রান তোলে নাজমুল হোসেন শান্তর দল। কিউইদের হইয়ে তিনটি করে উইকেট নেন ও’রর্ক ও ডাফি।