ভারতকে অল্পেই বেঁধে রাখল বাংলাদেশের যুবারা 

  • স্পোর্টস ডেস্ক বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

এর আগে অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের কেবল এক আসরেই ফাইনালে উঠেছিল বাংলাদেশ। ২০১৯ সালের সেই ফাইনালে ভারতের কাছে হেরে শিরোপার স্বপ্ন অধরা থেকে যায় যুবাদের। এবার সেই ভারতকে হারিয়েই ফাইনালে ওঠার হাতছানি। এশিয়া কাপের ১০ম আসরের দ্বিতীয় সেমিতে বোলাররা তাদের কাজ বেশ ভালোভাবেই সামলিয়েছেন। মারুফ-বর্শনের পেস তোপে ১৮৮ রানেই থামল ভারতের যুবারা। 

৬১ রানেই ৬ উইকেট হারিয়ে বসে ভারত। শঙ্কা জাগে শতরান পেরোনোর আগেই গুটিয়ে যাওয়ার। তবে মুশির-মুরুগানের ফিফটি পেরোনো ইনিংসে শেষ পর্যন্ত লড়াই করার মতো সংগ্রহ পেয়েছে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। 

বিজ্ঞাপন

আইসিসি একাডেমি মাঠ ২-এ আগে টসে জিতে ভারতকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় বাংলাদেশ। সেখানে শুরুতে চাপে পড়ে উদয় শাহারানের দল। ১৩ রানের মাথায় টপ-অর্ডারের তিন উইকেট হারিয়ে বসে তারা। যেটির কারিগর বাঁহাতি পেসার মারুফ মৃধা। 

ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই ওপেনার আদর্শ সিংকে (২) লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলেন মারুফ। ভারতকে সেই চাপ সামলে উঠার সময়ই দিলেন না এই বাঁহাতি পেসার। নিজের পরের ওভারেই আরেক ওপেনার আরশিন কুলকারনিকেও (১) দেখালেন সাজঘরের রাস্তা। 

সেখান থেকে কিছুটা ধীরগতিতে এগোনোর সিদ্ধান্ত নেন ভারত অধিনায়ক উদয়। তবে ফের একই জুজু। সেই মারুফের বলেই রানের খাতা না খুলেই ফিরেলেন তিনি। এরপর প্রথম পাওয়ারপ্লেতে আর কোনো উইকেট না হারলেও ১২তম ওভারে রোহানাত বর্ষনের বলে ফেরেন শচীন দাস (১৬)। 

কিছুটা থিতু হবার ইঙ্গিত দিলেও ১৬তম ওভারে ফেরেন প্রিয়াংশু মলিয়া (১৯)। একই ওভারে দলীয় ৬১ রানের মাথায় রান আউটে কাটা পড়েন আবনীশ। 

এরপর শুরুর এই ব্যাটিং সামলানোর দায়িত্ব নেন মুশির খান ও মুরুগান অভিষেক। দলকে খাদের কিনারা থেকে টেনে নিয়ে যেতে থাকেন চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্যের দিকে। শেষ পর্যন্ত মুশিরের ৫০ ও মুরুগানের ৬২ রানের ভরে ৪২ ওভার ৪ বলে ১৮৮ রানের সংগ্রহ পায় ভারত। 

সর্বোচ্চ চার উইকেট নেন মারুফ, দুটি করে উইকেট নেন বর্ষণ ও জীবন।