'অটোচয়েস'দের বিশ্রামে পাঠাতে চান সাকিব

  • বার্তা২৪ স্পোর্টস
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি- সংগৃহীত

ছবি- সংগৃহীত

ইংল্যান্ড সিরিজের পর বিশ্রামের মোড়কে জাতীয় দলের জায়গা হারান মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। তার পরিবর্তে স্কোয়াড তথা একাদশেই জায়গা শক্ত করেন তাওহীদ হৃদয়।অবশ্যই সেটা এই মিডল অর্ডারের পারফর্ম্যান্সের কারণেই। যে কারণে বেশ ভালোভাবেই কপাল পুড়েছে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের। অভিজ্ঞ এই ক্রিকেটারের ব্যাটিং অ্যাপ্রোচই তার বড় সমস্যার জায়গা। বাদ পড়াকে তাই স্বাভাবিকই মনে হয়েছে।

সাত নাম্বার পজিশনের জন্য শামীম পাটোয়ারী, আফিফ হোসেন, ইয়াসির রাব্বিদের বাজিয়ে দেখেছে টিম ম্যানেজমেন্ট। তবে প্রত্যাশা মেটাতে না পারায় মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে ফেরানোর জনদাবিও উঠেছিল। যদিও রিয়াদ সাতে ব্যাট করেছেন বছর কয়েক আগে৷ তবুও আফিফ-শামীমদের হতাশাজনক পারফর্ম্যান্সের কারণে সমালোচনার মুখে পড়তে হচ্ছে টিম ম্যানেজমেন্টকে।

বিজ্ঞাপন

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সুপার ফোরের ম্যাচশেষে ক্যাপ্টেন সাকিব আল হাসানও মনে করিয়ে দিলেন যারা ব্যর্থ হচ্ছেন তারা কেউই রিয়াদের পরিবর্তে দলে আসেননি। এই প্রসঙ্গে গণমাধ্যমকর্মীদের করা প্রশ্নের জবাবে সাকিব বলেন, "দেখেন, প্রথম শেষ তিন সিরিজে রিয়াদ ভাই ছিল না। তখন এসব কথা আপনারা বলেছেন কি না আমি জানি না। আমার কাছে মনে হয় প্রশ্নটা খুবই অপ্রাসঙ্গিক। দেখুন, আপনি একটা ভুল প্রশ্ন করলেন। রিয়াদ ভাইয়ের জায়গায় যখন কাউকে আনা হয়েছিলো দলে, সেটা ছিলো তাওহীদ হৃদয়।"

অবশ্য দলের লোয়ার মিডল অর্ডারের এই দৈন্যদশা কম দিনের নয়। তবে এজন্য নিউজিল্যান্ড সিরিজেও কিছু পরীক্ষানিরীক্ষা করতে চান অধিনায়ক। সুযোগ দেখছেন সবারই।

"নিউজিল্যান্ড সিরিজে তিনটি ম্যাচ আছে। সেখানে আমরা কিছু জিনিস দেখবো। সবারই সুযোগ আছে খেলার। তবে এশিয়া কাপে যারা খেলেছে, তাদের মধ্যে যারা বিশ্বকাপে নিশ্চিত যাবে, তাদের বিশ্রাম থাকতে হবে বলে আমি মনে করি। প্র্যাকটিস ম্যাচ, ট্রাভেলিং মিলিয়ে অনেক বড় সফর বিশ্বকাপে। কারও ইনজুরি হলে সমস্যা হবে। আমাদের হাতে ভালো বিকল্প নেই। সবার ফিট থাকাটা খুব জরুরি।"

সাকিবের কথায় স্পষ্ট 'অটোচয়েজ'দের রেস্ট দিয়ে তিনি বিকল্প বের করতে চান, ঘাটতির জায়গাগুলোতে তুলনামূলক ভালো বিকল্প বের করে আনতে চান। সেক্ষেত্রে রিয়াদও যদি আবার দলে ফেরেন সেটা অবাক করার কথা না। তবে এখানেও যদি রিয়াদকে ফেরানো না হয় সেক্ষেত্রে বুঝার বাকি থাকবে না যে বিশ্বকাপের বিমানেও রিয়াদের ওঠা হচ্ছে না।