লিটন তাহলে কখন যাচ্ছেন এশিয়া কাপে?
জ্বর সেরে গেছে লিটন দাসের। এশিয়া কাপে এই জ্বরের কারণে দলের সঙ্গে যেতে পারেননি। বাংলাদেশ এখন টুর্নামেন্টের সুপার ফোরে। লিটনও জ্বর সমস্যা থেকে মুক্ত। তাই ওপেনার হিসেবে পরের ম্যাচগুলোতে তাকে খেলানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। তারই অংশ হিসেবে সুপার ফোরে লাহোরের পরের ম্যাচে তাকে একাদশে রাখার চিন্তা করা হচ্ছে। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে হবে সেই ম্যাচ। লিটনের এশিয়া কাপ তাই খানিকটা দেরিতে শুরু হচ্ছে।
লিটন কি সোমবার রাতেই লাহোরে যাচ্ছেন?
এই প্রশ্নের উত্তরে দুই নির্বাচকের কাছ থেকে উত্তর মিলল দু’রকম। প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু জানালেন- ‘উত্তরটা জানার জন্য আরেকটু অপেক্ষা করতে হবে। আমি এখনো ঠিক কনফার্ম না।’
আরেক নির্বাচক হাবিবুল বাশার সুমন জানালেন- ‘আমরা অনেক আগেই থেকে পরিকল্পনা করেছিলাম দল সুপার ফোরের নিশ্চয়তা পেলে লিটন দলে যোগ দেবেন। সেটা আগেরই সিদ্ধান্ত। তবে আজই লিটন যাচ্ছেন কিনা- তা আমার জানা নেই। প্রধান নির্বাচক এটা হয়তো জানাতে পারবেন। তবে আমি কিছুক্ষণ আগে এক সাংবাদিককের কাছে শুনলাম সোমবার রাতে তার লাহোর যাত্রার বিমানের টিকিট কাটা হয়েছে।’
লিটন দাস এশিয়া কাপে দলেই ছিলেন। কিন্তু দল যেদিন রওয়ানা হবে সেদিনই তিনি জ্বরে পড়েন। দলের সঙ্গে যেতে পারেননি। প্রথম ম্যাচে তাকে ছাড়াই একাদশ সাজাতে হয় বাংলাদেশকে। ৩১ আগস্ট পাল্লেকেল্লেতে সেই ম্যাচ বাংলাদেশ বাজেভাবে হেরে যায় শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে। লিটনের বদলি হিসেবে তড়িঘড়ি করে এনামুল হক বিজয়কে দলে উড়িয়ে আনা হয়। বিজয় অবশ্য সেই ম্যাচ খেলেনি। দ্বিতীয় ম্যাচে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে লাহোরেও বিজয় একাদশে সুযোগ পাননি। তবে বদলি ফিল্ডার হিসেবে নেমেছিলেন।
সুপার ফোরে বাংলাদেশ এখন তিনটি ম্যাচ খেলবে। সেই ম্যাচগুলোতে ওপেনিং পজিশনে লিটন দাসের সার্ভিস পেতে চায় দল। সেই পরিকল্পনার অংশ হিসেবেই লিটন দাসের দলের সঙ্গে যোগ দেওয়ার কথা। কিন্তু সেই তথ্য কেউ শতভাগ নিশ্চিত করছেন না। কেমন যেন একটা লুকোছাপা ব্যাপার যেন!
লিটনের বদলি হিসেবে যেহেতু ইতোমধ্যে একজন খেলোয়াড়কে অর্ন্তভুক্ত করেছে বাংলাদেশ দল। এখন লিটনকে আরেকবার এশিয়া কাপের দলে নিতে হলে এই টুর্নামেন্টের টেকনিক্যাল কমিটির কাছ থেকে আগে অনুমতি নেওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল (এসিসি) এর টেকনিক্যাল কমিটির কাছে সেই অনুমতি বিসিবি পেয়েছে কিনা- সেই প্রশ্নের উত্তর মেলেনি। নির্বাচক প্যানেল জানান, এই অনুমতি নেওয়ার বিষয় তো বিসিবির টিম অপারেশন্সের। চেষ্টাটা তারা করবে। নিশ্চয়ই তারা সেটা করছে।