আফগানিস্তানকে হারিয়ে এশিয়া কাপের শেষ চারে বাংলাদেশ
বাঁচা-মরার ম্যাচে চূড়ান্ত ক্রিকেটীয় নৈপুণ্য দেখিয়ে এশিয়া কাপের শেষ চারের টিকিট নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ। লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে আফগানিস্তানকে ৮৯ রানে হারিয়ে এশিয়া কাপের পরের পর্বে পা রেখেছে টাইগাররা।
বাংলাদেশের সামনে এই ম্যাচে আফগানদের শুধু হারানোই নয়, বড় ব্যবধানে ধরাশায়ী করার চ্যালেঞ্জ ছিল। মিরাজ-শান্তদের অসাধারণ ব্যাটিংয়ের পর তাসকিন-শরিফুলদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে সে মিশনে সাফল্য পেয়েছে বাংলাদেশ।
লাহোরে এদিন টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। ওপেনার নাঈম শেখ এবং ক্যারিয়ারে মাত্র দ্বিতীয়বারের মতো ইনিংসে ওপেন করতে নামা মেহেদী হাসান মিরাজের ব্যাটে উড়ন্ত শুরু পায় বাংলাদেশ। ১০ম এবং ১১তম ওভারের ৪ বলের ব্যবধানে দুই উইকেট হারিয়ে কিছুটা চাপে পড়লেও তৃতীয় উইকেটে মিরাজ-শান্তর ১৯৪ রানের জুটিতে সে ধাক্কা সামাল দেয় বাংলাদেশ।
মিরাজ (১১২) এবং শান্ত (১০৪) দুজনই ওয়ানডে ক্যারিয়ারে নিজেদের দ্বিতীয় শতকের দেখা পেলে বড় স্কোরের ভিত পেয়ে যায় বাংলাদেশ। তারা ফিরে গেলে শেষ দিকে তাতে ফিনিশিং টাচ দেন দুই অভিজ্ঞ ক্রিকেটার মুশফিক (১৫ বলে ২৫) এবং সাকিব (১৮ বলে ৩২*)। সম্মিলিত প্রচেষ্টায় নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৫ উইকেটে ৩৩৪ রান করে টাইগাররা।
৩৩৫ রান তাড়া করতে নেমে শুরুতেই হোঁচট খায় আফগানরা। দ্বিতীয় ওভারেই রহমানউল্লাহ গুরবাজকে তুলে নেনে শরিফুল ইসলাম। বিপজ্জনক হয়ে উঠতে থাকা রহমত শাহ্ এবং ইব্রাহিম জাদরানের ৭৮ রানের জুটি ভাঙেন তাসকিন। ইনিংসের ১৮তম ওভারে তার বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন রহমত (৩৩)। এরপর আফগানিস্তানের সর্বোচ্চ স্কোরার ইব্রাহিমকে ব্যক্তিগত ৭৫ রানে উইকেটের পেছনে ক্যাচ বানিয়ে ফেরান হাসান মাহমুদ।
এরপর আফগান অধিনায়ক হাশমতউল্লাহ শাহিদি (৫১) এবং রশিদ খান (২৪) প্রতিরোধের কিছুটা চেষ্টা করলেও তা যথেষ্ট ছিল না। বাংলাদেশের পেস আক্রমণের সামনে শেষ পর্যন্ত মুখ থুবড়ে পড়ে আফগান ব্যাটিং লাইনআপ। ৪৪.৩ ওভারে ২৪৫ রানেই গুটিয়ে যায় তারা।
বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নিয়েছেন পেসার তাসকিন আহমেদ, ৩ উইকেট পেয়েছেন অন্য পেসার শরিফুল ইসলাম।