বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) নিয়ে বিতর্কের শেষ নেই। প্রতি আসরে সঙ্গী থাকে নানা বিতর্ক। আর ফ্রাঞ্চাইজি বদলে যাওয়ার ঘটনা তো আছেই। এবার রাজনৈতিক পালাবদলের পর নতুন চমক নিয়ে আসবে বিপিএল- এমনটাই জানালেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের পরিচালক নাজমুল আবেদীন ফাহিম। বলা হচ্ছে, প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনূসের পরিকল্পনা-নকশায় নতুন মাত্রা পাবে বিপিএল।
সবকিছু ঠিক থাকলে চলতি বছরের ৩০ ডিসেম্বর শুরু হবে বিপিএলের ১১তম আসর। হাতে সময় খুব একটা নেই। বিপিএল গর্ভনিং কাউন্সিলের দায়িত্বে আছেন বিসিবি প্রেসিডেন্ট ফারুক আহমেদ, টুর্নামেন্ট আর্কষনীয় করতে কাজ করে যাচ্ছেন তিনি।
এবারের সারাদেশে বিপিএলকে ছড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনাও রয়েছে বিসিবির। পুরো প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত আছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনুসসহ যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়াও। সংগতভাবেই জুলাই গণঅভ্যুথানের নানা বিষয় ফুটিয়ে তোলা হবে বিপিএলে।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস চলতি বছরের প্যারিস অলিম্পিকের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। সেই অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে বিপিএলকে দেশে ও দেশের বাইরে জনপ্রিয় করে তুলবে বিসিবি এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়।
এনিয়ে মিশন শুরু করে দিয়েছে বিসিবি। মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের ক্রিকেট বোর্ড কার্যালয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং সম্প্রচার স্বত্বাধিকারীদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে বোর্ডের।
আজ সোমবার মিরপুরে বিসিবি পরিচালক নাজমূল আবেদীন ফাহিম সাংবাদিকদের বলেছেন, প্রধান উপদেষ্টার অলিম্পিক অভিজ্ঞতরে ছাপ থাকবে এবারের বিপিএলে। ফাহিম বলছিলেন, ‘এ ধরনের ইভেন্টের সামাজিক বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের সঙ্গে মানুষকে কীভাবে আরও সম্পৃক্ত করতে হয়, মানুষকে উজ্জীবিত করে অন্যান্য সামাজিক কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত করা যায়, এ বিষয়গুলো আমাদের প্রধান উপদেষ্টার চেয়ে ভালো কেউ জানেন না।’
বিপিএলকে দেশের বাইরেও জনপ্রিয় করে তোলার একটা প্রচেষ্টা থাকবে এবার। ফাহিম বলেন, ‘এটাকে কী করে আন্তর্জাতিক মানের টুর্নামেন্টে পরিণত করা যায়, কীভাবে এটাকে ব্র্যান্ড হিসেবে তৈরি করা যায়, কীভাবে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দেওয়া যায়…বিশ্ব যেন দেখে বাংলাদেশের তরুণেরা কেমন, বাংলাদেশের সমাজটা কেমন, বাংলাদেশের খাওয়া কেমন, এ জিনিসটা যেন সবাই দেখে। শুধু বিপিএল নয়, বাংলাদেশও একটা ব্র্যান্ড হিসেবে পরিচিতি পাবে এই বিপিএলের পর।’
আগের বিপিএলগুলোতে হলিউডের তারকাদের দেখা গেছে। সালমান খান থেকে শুরু করে ক্যাটরিনা কাইফ এসেছিলেন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে। এবারের বিপিএলে থাকবে হলিউড কানেকশন। তেমন ইঙ্গিত দিলেন বিসিবি পরিচালক নাজমুল আবেদিন ফাহিম, ‘আমাদের প্রধান উপদেষ্টা যদি মাঠে আসেন, একটা বক্তব্য দেন, বিদেশ থেকে দারুণ নামকরা একজন ফুটবলার বা হলিউড থেকে একজন অভিনেতা বা অভিনেত্রী এখানে এসে সংযুক্ত হন, এটা নিশ্চয়ই সারা পৃথিবীর মিডিয়াতে আসবে। আমাদেরও সে চেষ্টা থাকবে।’
তিনি জানান একইভাবে বিপিএল সারা দেশে ছড়িয়ে দেওয়া হবে, ‘সামাজিক বিভিন্ন ব্যাপারে বিপিএলকে কাজে লাগানো হবে। আমরা শুধু খেলার মাঠেই বিপিএলকে দেখব না। সারা দেশে কোনো না কোনোভাবে বিপিএল ছড়িয়ে পড়বে।’
আসছে বিপিএলে নতুন করে থিম সং হচ্ছে। প্রথমবারের মতো এবার বিপিএলে থাকবে মাসকট। টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পাকিস্তানের বিখ্যাত সংগীতশিল্পী রাহাত ফাতেহ আলী খান থাকতে পারেন।