ঢাকা টেস্টে অভিষেক হচ্ছে জয়ের!
বাংলাদেশের ওপেনাররা যেন কিছু্তেই জ্বলে উঠতে পারছেন না। কাটছে না তাদের রান খরা। ক্রিকেটের কোনো সংস্করণেই যে সাফল্য পাচ্ছেন না ওপেনাররা। এমন দুর্দশার মাঝে দলে চলছে ওপেনার সংকট। তারওপর পাকিস্তানের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টে নেই সাইফ হাসান। টাইফয়েড জ্বর নিয়ে মাঠের বাইরে এখন তিনি। ইনজুরি নিয়ে তামিম ইকবাল তো আগে থেকেই মাঠের বাইরে। তাহলে ঢাকা টেস্টে সাদমান ইসলামের সঙ্গে বাংলাদেশের ইনিংস উদ্বোধন করবেন কে?
পাকিস্তানের বিপক্ষে দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টের আগে আজ শুক্রবার, ৩ ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে লাল-সবুজের জার্সিধারীদের অধিনায়ক মুমিনুল হক জানান, ওপেনিংয়ে দেখা যেতে পারে ডানহাতি-বাঁহাতি কম্বিনেশন, ‘দেখেন ওপেনিং কম্বিনেশন ডান-বাম হতে পারে, হয়তো বাম হাতি দুইজনও হতে পারে, আসলে ডান বাম হওয়ারই চান্স বেশি।’ ডানহাতি-বাঁহাতি কম্বিনেশন হলে নিশ্চিত ডাক পাচ্ছেন না নাঈম শেখ। এক্ষেত্রে বাঁহাতি সাদমান ইসলামের উদ্বোধনী পার্টনার হিসেবে অভিষেক হয়ে যেতে পারে মাহমুদুল হাসান জয়ের।
কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে, এভাবে জুনিয়র ক্রিকেটারদের পরীক্ষা ফেলে তাদের ক্যারিয়ারকেই কেন ঝুঁকিতে ফেলা হচ্ছে? উত্তরে মুমিনুলের ব্যাখ্যা, ‘আমার মনে হয় না। আপনারা যদি শেষ দেখেন এখানে কিন্তু জুনিয়র কাউকে আনা হয়নি এক্সপেরিমেন্টের জন্য। আপনি দেখেন, তামিম ভাই নাই তার জায়গা একটা ওপেনার দরকার ছিল। তো জয় আসছে, তারপর নাঈম এসেছে। সাকিব ভাই ছিল না, রাব্বি খেলল প্রথম ম্যাচ। রিয়াদ ভাই তো রিটায়ার্ড করল, তো এরকম জায়গায় নতুন কাউকে তো নিতে হবে। আমাদের তো অনেক বেশি খেলোয়াড়ও নাই। যারা নাই তাদের জায়গা খেলছে।’
চট্টগ্রাম টেস্টে সাকিব আল হাসানের অভাবটা ভালো করেই টের পেয়েছে টাইগাররা। চোট কাটিয়ে দলে জায়গা করে নিয়েছেন বিশ্বসেরা এ অলরাউন্ডার। তাই দুশ্চিন্তাও কমে গেছে অনেকটা। সাকিব থাকায় শেষ টেস্টে স্বাগতিক দলের কম্বিনেশন কেমন হবে? মুমিনুল বলেন, ‘সাকিব ভাই ঢুকলে তো একটু সহজ হয়, তা সবারই জানা। আর উনাকে দেখলাম, উনি ভালোই আছেন। অনুশীলন করেছেন, ভালোই লাগছে দেখে। আর টিম কম্বিনেশন হবে সাত ব্যাটসম্যান আর চার বোলারের। এ রকমই চিন্তা করেছি।’