ভয়ের সঙ্গে কষ্টও পেয়েছিলেন রাব্বি
জাতীয় দলে বারবার ডাক পাচ্ছিলেন। সেটা প্রায় আড়াই বছর ধরে। টেস্ট, ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি কোনো দলই বাদ পড়েনি। কিন্তু মাঠে নামার স্বপ্নটা যে পূরণ হচ্ছিল না তাদের। ইয়াসির আলী রাব্বি হাল ছাড়েনি। অপেক্ষায় ছিলেন অভিষেক ম্যাচ খেলার। সুযোগটা কাজে লাগানোর।
আজ বৃহস্পতিবার, ২ ডিসেম্বর বিসিবি’র পাঠানো এক ভিডিও বার্তায় রাব্বি নিজের সুযোগ কাজে লাগানোর প্রসঙ্গে বলেন, ‘এটা চ্যালঞ্জিং কারণ অনেকদিন ধরে দলের সঙ্গে থাকা হচ্ছিল কিন্তু ম্যাচ খেলা হচ্ছিল না। আমি আগেও বলেছি আমি যে জায়গায় ছিলাম ওটা স্বপ্নের মতো অনেকের কাছে। ওই জিনিসটা চিন্তা করে মোটিভেট করতাম, যে ইয়াসির তোমাকে কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। যখনই সুযোগ আসে সেটা যেন কাজে লাগাতে পারো। টিম মেট, কোচ, বন্ধুরা সবাই আমাকে মোটিভেট করতো যে ইয়াসির তুমি কষ্ট করছো, যখনই সুযোগ পাবা কাজে লাগাবা।’
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পা রাখলেন তিনি ক্রিকেটের সবচেয়ে সম্মানজনক সংস্করণ লাল বলের লড়াই দিয়ে। পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম টেস্টে অভিষেক হলেও দ্বিতীয় ইনিংসে ভালো ব্যাটিং করে যাচ্ছিলেন রাব্বি। তবে ঘটে অঘটন। শাহীন শাহ আফ্রিদির বাউন্সার আঘাত করে তার হেলমেটে। পরে আর খেলতে পারেননি।
খারাপ কিছু না ঘটলেও ভয় পেয়ে গিয়েছিলেন। সঙ্গে ব্যাটিং পারফরম্যান্সে দলকে সহায়তা করতে না পারার কষ্টও ভুগিয়ে যাচ্ছিল রাব্বিকে, ‘একটু ভয় পেয়েছিলাম। মাথায় বল লেগেছিল। সত্যি বলতে একটু ভয়ে ছিলাম। আবার কষ্টও পাচ্ছিলাম আমার ডেব্যু ম্যাচ। টিমকে ভালো জায়গায় নিয়ে যাচ্ছিলাম, কিন্তু শেষ করতে পারিনি। মিশ্র অনুভূতি আসলে ভয় ও কষ্টের।’
পরের টেস্টের চ্যালেঞ্জের দিকে তাকিয়ে এখন রাব্বি, ‘জানি না, উইকেট কেমন হবে। আমাদের যে জিনিসটা করতে হবে উইকেটের আচরণ দেখে ওভাবে করতে হবে। মূল ব্যাপারটি হচ্ছে, যে প্রক্রিয়া আছে, তা আমাদের ধরে রাখতে হবে। সবকিছু সিম্পল রেখে উইকেট যেরকম চায়, ওরকম ব্যাটিং করা।’
শনিবার, ৪ ডিসেম্বর থেকে মিরপুরের শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে গড়াবে পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট।