এখনো টাইগারদের জয়ের সুযোগ দেখছেন কোচ ডমিঙ্গো

  • স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

টাইগার ক্রিকেটাররা

টাইগার ক্রিকেটাররা

চট্টগ্রাম টেস্টের লাগাম টেনে ধরেছে পাকিস্তান। জয়ের জন্য পঞ্চম ও শেষদিনে অতিথিদের দরকার মাত্র ৯৩ রান। হাতে রয়ে গেছে পুরো ১০ উইকেট। উদ্বোধনী জুটিতে ১০৯ রানের পার্টনারশিপ গড়ে ক্রিজে টিকে আছেন দুই ওপেনার আবিদ আলি (৫৬* ব্যাটিং) ও আব্দুল্লাহ শফিক (৫৩* ব্যাটিং)। কিন্তু তারপরও টাইগারদের জয়ের সম্ভাবনা দেখছেন প্রধান কোচ রাসেল ডমিঙ্গো।

চতুর্থ দিনের খেলা শেষে সংবাদ সম্মেলনে ডমিঙ্গো শোনালেন সেই আশার বাণী, ‘প্রথম সেশনে উইকেট পড়ছে। যেভাবে ছেলেরা লড়াই করছে তাতে আমি গর্বিত। পাকিস্তান ম্যাচে এগিয়ে আছে। তাদের ৯৩ রান প্রয়োজন, আমাদের জিততে হলে বিশেষ কিছু করতে হবে। টেস্ট ক্রিকেটে যেকোনো কিছুই সম্ভব। আমাদের জয়ের সুযোগ আছে এটা বিশ্বাস করেই কাল মাঠে নামতে হবে। প্রথম আধা ঘণ্টায় এক-দুটি উইকেট তুলে নিতে পারলে যেকোনো কিছুই সম্ভব।’

বিজ্ঞাপন

চতুর্থ দিন ৩৩ ওভার বল করেছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। কিন্তু প্রতিপক্ষ পাকিস্তানের কোনো উইকেট শিকার করতে পারেনি তাইজুল ইসলামরা। স্বাভাবিকভাবে চাপে রয়েছে বাংলাদেশ। সেই হতাশাই ঝরল প্রোটিয়া কোচ ডমিঙ্গোর কণ্ঠে, ‘প্রথম দুই দিন আমরা সত্যিই ভালো খেলেছি। তৃতীয় দিনের বেশিরভাগ অংশও ভালো ছিল। কিন্তু শেষ সেশনে ভালো করতে পারিনি। এটা আমাদের অনেক চাপে ফেলে দিয়েছে। এমন পারফরম্যান্স হতাশাজনক ছিল। এর আগপর্যন্ত আমরা ভালো ক্রিকেটই খেলেছি। প্রথম ইনিংসে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ স্কোর দাঁড় করেছি। স্পিনার ও সিমাররা ভালো করে লিড এনে দিয়েছিল। তৃতীয় দিনের শেষ সেশনই আমাদের চাপে ফেলে দিয়েছে।’

টেস্টে দেশের ক্রিকেটাররা ভালো না করার জন্য ঘরোয়া ক্রিকেটের কাঠামোকেই দায়ী করেছেন কোচ ডমিঙ্গো, ‘শুধু এই টেস্টের কথা চিন্তা করলে আমি হতাশ নই। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দুটি টেস্টই আমাদের জেতা উচিৎ ছিল। আমরা জয়ের খুব কাছাকাছি যাচ্ছি। আমি দলের প্রচুর উন্নতি দেখতে পাচ্ছি। তবে সেটা লম্বা সময় ধরে রাখতে পারছে না। হয়তো এমন প্রতিযোগিতার চাপ ঘরোয়া ক্রিকেটে নেই। এসব চাপ সামলানোর ক্ষেত্রে আমাদের ঘাটতি আছে।’

বিজ্ঞাপন

লিটন দাসের প্রশংসায় পঞ্চমুখ কোচ, ‘গত ১৮ মাসে লিটনের গড় ৬০ এর মতো। আমাদের হয়ে দারুণ কিছু ইনিংস সে খেলেছে। ৬ বা ৭ নম্বরে তার জন্য ভালো একটি জায়গা আমরা খুঁজে পেয়েছি। লোয়ার অর্ডারে আত্মবিশ্বাসের সাথে সে ব্যাট করছে। আমরা জানি সে দারুণ একজন খেলোয়াড়। ছন্দ খুঁজে পেতে একটু সময় লেগেছে। গত বছরগুলোতে টেস্টে সে আমাদের বড় ইতিবাচক দিক। হয়তো আগামী বছরগুলোতে সে বাংলাদেশের হয়ে ৪ বা ৫ নম্বরে খেলতে পারে।’

দুই ওপেনার সাদমান ও সাইফ হাসানের ফারফরম্যান্সে হতাশ প্রোটিয়া ক্রিকেট গুরু ডমিঙ্গো বলেন, ‘এটা হতাশাজনক। এই উইকেটে তারা যেভাবে আউট হয়েছে তা দেখে আমরা খুশি নই। সাদমান তার সর্বশেষ টেস্টে শতক হাঁকিয়েছে, কিন্তু তা খেলেছে ৫-৬ মাস আগে। নতুন বলে আমরা চাপে পড়ে যাচ্ছি। আমরা একটি মানসম্পন্ন বোলিং আক্রমণের বিরুদ্ধে খেলছি।’