লিটনের চোখে ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন
প্রথম দিনের প্রথম সেশনটা ভালো কাটেনি টাইগাররা। ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলে স্বাগতিকরা। পরের দুই সেশনে আর কোনো উইকেট হারায়নি। লিটন-মুশফিক জুটিতে ২৫৩ রান নিয়ে প্রথম দিন শেষ হয় টাইগারদের।
কিন্তু দুরন্ত বোলিংয়ে পাকিস্তান নিজেদের করে নেয় দ্বিতীয় দিনের শুরুটা। প্রথম সেশনেই বাকি ৬ উইকেট খুইয়ে ৩৩০ রানে গুটিয়ে যায় লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা।
পরের দুই সেশনে আবিদ আলী ৯৩* ও আব্দুল্লাহ শফিক ৫২* তুলে নেন। দিন শেষে বিনা উইকেটে ১৪৫ রান পেয়ে লড়াইয়ে এগিয়ে যায় অতিথিরা।
আজকের খেলা শেষে সংবাদ সম্মেলনে লিটন দাস মেনেই নিলেন, প্রতিপক্ষ পাকিস্তানই এগিয়ে। সঙ্গে নিজেদের সামনে ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগও দেখছেন। তবে সেই কাজ খুবই কাজ।
লিটন বলেন, ‘প্রথম দিন যেটা ছিল, আমাদের মধ্যাহ্ন বিরতির আগে যখন ৪ উইকেট পড়ে যায় হয়তো সবাই ধারণা করছিল বাংলাদেশ অল্পতে অলআউট হয়ে যাবে। ওখান থেকে আমি আর মুশফিক ভাই অনেক ভালো জুটি গড়ে খেলায় ফিরেছি। আমরা যখন দিন শেষ করেছি, আমাদের ইচ্ছা ছিল একটা ভালো সংগ্রহের দিকে নিয়ে যাব কাল (আজ)। কিন্তু এটাই ক্রিকেট। যেটা আগের দিন হয় সেটা পরের দিন হয় না।’
খেলায় ঘুরে দাঁড়িয়ে এখনো নিজেদের ভালো করার সম্ভাবনা দেখছেন লিটন, ‘পাকিস্তান ভালো অবস্থায় আছে কারণ কোনো উইকেট হারায়নি। এই বোর্ডে যদি ২-৩ উইকেট থাকতো, এই রানে বা এর থেকে বেশি ১৬০ রানে ৩ উইকেট থাকতো তাহলে স্কোর দেখতেও ভালো লাগত। তাহলে মনে হতো দুই দিকেই খেলা থাকত। আমার মনে হয় আমরা যদি কাল সকালে দ্রুত ২-৩ উইকেট নিতে পারি তাহলে সিমিলার জায়গায় চলে আসবে। এখন পর্যন্ত খেলা দুই পক্ষেই আছে।’
বাংলাদেশ এখনো ১৮৫ রানে এগিয়ে। কিন্তু বাস্তবে এগিয়ে পাকিস্তানই। তবে ম্যাচের ফল নিয়ে চিন্তা করছে না টাইগাররা। লিটনের বলেন, ‘এখন ফলের দিকে চিন্তা করা যাচ্ছে না। আমি আগেও বললাম আমি ও মুশফিক ভাই যদি আরেকটু ভালো ব্যাটিং করতাম তাহলে ৪০০-৪৫০ রান থাকত। তাহলে ভিন্ন দৃশ্য থাকতো। আবার বোলিংয়ে ২-৩ উইকেট নিতে পারতাম তাহলে চিত্র ভিন্ন হতে পারত। তবে এখনও খেলা দুই পক্ষে আছে। সংখ্যায় দেখলে রান রেট কিন্তু খুব একটা বাড়ছে না। উইকেটে কুইক রান করা কঠিন। ওদিক থেকে ধরলে খেলা দুই পক্ষে আছে। কালকের দিনের উপর অনেক কিছু নির্ভর করবে।’