আবিদ-শফিকের ব্যাটে দুরন্ত শুরু পাকিস্তানের

  • স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

আবিদ আলী

আবিদ আলী

প্রথম দিন ব্যাটিংটা ভালো হলেও দ্বিতীয় দিন ব্যাট-বল হাতে টাইগার ক্রিকেটাররা থেকে যান নিষ্প্রভ। ক্ষুরধার হীন বোলিংয়ে অতিথিদের ব্যাটিং লাইন-আপে আঘাতই করতে পারেননি স্বাগতিকরা। নির্বিষ বোলিংয়ের সুযোগটা কাজে লাগিয়ে ৫৭ ওভারে প্রথম টেস্টের দ্বিতীয় দিন শেষে প্রথম ইনিংসে কোনো উইকেট না হারিয়ে ১৪৫ রান সংগ্রহ করেছে পাকিস্তান।

১৮০ বলে ৯ বাউন্ডারি ও ২ ছক্কায় ৯৩* রানের দাপুটে এক ইনিংস খেলেন আবিদ। ১৬২ বলে ২ বাউন্ডারি ও ২ ছক্কায় ৫২* চমৎকার ইনিংস খেলে আবিদকে সঙ্গ দিয়ে যাচ্ছেন আব্দুল্লাহ শফিক। কিন্তু তারপরও পাকিস্তান এখনো ১৮৫ রানে পিছিয়ে।

বিজ্ঞাপন

সেঞ্চুরিয়ান লিটন দাস ও অর্ধ-শতক হাঁকানো মুশফিকুর রহিমের বিদায়ের পর ব্যাট হাতে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। শেষ পর্যন্ত অপরাজিতও রয়ে যান। কিন্তু তাকে সঙ্গ দেওয়ার মতো কেউ ছিল না। থাকবেই বা কি করে?

হাসান আলী একাই যে শিকার করেন পাঁচ উইকেট। যে কারণে পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে ১১৪.৪ ওভারে ৩৩০ রানে অল আউট হয়ে মধ্যাহ্নভোজ বিরতিতে গেছে বাংলাদেশ।

বিজ্ঞাপন

লিটন-মুশফিকের ব্যাটিং ঝলকে রানের পাহাড় গড়ার আভাস দিয়ে যাচ্ছিল টাইগাররা। কিন্তু দ্বিতীয় দিনে তাদের দুজনের দ্রুত বিদায়ে সে স্বপ্ন গুঁড়িয়ে যায়। তবে শেষ দিকে ৬৮ বলে ৬ বাউন্ডারিতে ৩৮* রানের হার না মানা দাপুটে এক ইনিংস খেলেন মিরাজ। 

মাঠের লড়াইয়ে ব্যাট হাতে দ্যুতি ছড়িয়ে যাচ্ছিলেন মুশফিকুর রহিম। পেয়েছিলেন টেস্ট ক্যারিয়ারের অষ্টম সেঞ্চুরির হাতছানি। কিন্তু দুর্ভাগ্য! কাছাকাছি গিয়েও সেঞ্চুরি ছোঁয়া হয়নি মুশফিকুর রহিমের। ৯ রানের আক্ষেপ নিয়ে ফিরলেন এ উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান।

নার্ভাস নাইনটিতে সাজঘরের পথ ধরেন সাবেক এ টাইগার ক্যাপ্টেন। স্নায়ুচাপ সামাল দিতে না পেরে ২২৫ বলে ১১ বাউন্ডারিতে ব্যক্তিগত ৯১ রান নিয়ে ফাহিম আশরাফের বলে মোহাম্মদ রিজওয়ানের গ্লাভসবন্দী হন মুশফিক।

সেঞ্চুরির সঙ্গে এক রানের জন্য বাংলাদেশের হয়ে তামিম ইকবালের টেস্টে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ডটা স্পর্শ করতে পারলেন না। রেকর্ডটা ভাঙতে দ্বিতীয় ইনিংসের দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে এখন মুশফিককে।

জাদুকরী তিন অঙ্ক ছুঁয়ে ব্যাটিং দৃঢ়তায় দেখিয়ে যাচ্ছিলেন লিটন দাস। লক্ষ্যটা ছিল দ্বিতীয় দিনে ব্যক্তিগত স্কোরটা আরও বাড়িয়ে নেয়া। কিন্তু সেটা আর হয়নি। সেঞ্চুরিয়ান লিটন দাসকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলে সাজঘরে ফিরিয়ে দেন হাসান আলী।

প্রথম দিন শেষে ১১৩ অপরাজিত ছিলেন লিটন। দ্বিতীয় দিনে এসে তার সঙ্গে মাত্র এক রান যোগ করতে পেরেছেন তিনি। ফলে ২৩৩ বলে ১১ বাউন্ডারি ও এক ছক্কায় ১১৪ রানের দারুণ এক ইনিংস নিয়ে উইকেট থেকে বিদায় নেন তারকা এ ব্যাটসম্যান।

বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইন-আপে দ্বিতীয় দিনের সকালে ফের আঘাত হানেন হাসান আলী। তিনি বিদায় করে দেন ইয়াসির আলী রাব্বিকে। অভিষিক্ত এ ক্রিকেটার ফেরার আগে করেছেন মাত্র ৪ রান।

১১ রানে তাইজুল ইসলামকে আউট করেন শাহীন শাহ আফ্রিদি। পাকিস্তানের হয়ে একাই পাঁচ উইকেট শিকার করেছেন হাসান আলী। দুটি উইকেট পান ফাহিম আশরাফ ও শাহীন শাহ আফ্রিদি। একটি উইকেট যায় সাজিদ খানের পকেটে। 

তার আগে ৪ উইকেটে ২৫৩ রান নিয়ে চট্টগ্রাম টেস্টের দ্বিতীয় দিনের খেলা শুরু করে টাইগাররা। প্রথম দিন শেষে ১১৩ রানে অপরাজিত ছিলেন লিটন দাস। আর মুশফিকুর রহিম তাকে সঙ্গ দিয়ে যাচ্ছিলেন ৮২ রান নিয়ে।