লিটন-মুশফিকের ব্যাটে বড় সংগ্রহের পথে বাংলাদেশ
অবশেষে রান খরা কাটল লিটন দাসের। হাসল তার ব্যাট। অসাধারণ ব্যাটিং দৃঢ়তা দেখিয়ে চমৎকার এক সেঞ্চুরি হাঁকালেন লিটন দাস। পেলেন ক্যারিয়ারের প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি। তার সঙ্গে দাপুটে ব্যাটিং করে যাচ্ছেন মুশফিকুর রহিম। নির্ভরযোগ্য এ উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যানও রয়েছেন সেঞ্চুরি পথে।
লিটন-মুশফিকের ব্যাটিং ঝলকে বড় সংগ্রহের পথে এগিয়ে চলেছে বাংলাদেশ। প্রথম টেস্টের প্রথম দিন শেষে প্রথম ইনিংসে ৮৫ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ২৫৩ রানের পুঁজি গড়ে ফেলেছে টাইগাররা। আলোর স্বল্পতার কারণে অবশ্য খেলা কম হয়েছে ৫ ওভার। ৮৫ ওভার শেষে পর্যাপ্ত আলো না থাকায় শেষ দিকে বন্ধ হয়ে যায় ম্যাচ। পরে আর খেলা শুরু করা যায়নি। সেখানেই শেষ হয়ে যায় প্রথমদিনের খেলা।
১১৩* রান নিয়ে এখনো ব্যাটিং করে যাচ্ছেন লিটন। ২২৫ বলের দুরন্ত এ ইনিংসটি সাজান তিনি ১১ বাউন্ডারি ও এক ছক্কায়। ৮২* অপরাজিত থেকে তাকে সঙ্গ দিচ্ছেন মুশফিক। ১৯০ বল খরচ করে ১০ বাউন্ডারিতে নজরকাড়া এ ইনিংস খেলেন ‘মিস্টার ডিপেন্ডেবল’। পঞ্চম উইকেটে দুজনে মিলে গড়েছেন ২০৪* রানের চোখ ধাঁধানো অবিচ্ছিন্ন পার্টনারশিপ।
পাকিস্তানের হয়ে একটি করে উইকেট নেন শাহীন শাহ আফ্রিদি, হাসান আলী, ফাহিম আশরাফ ও সাজিদ খান।
তার আগে দলের প্রয়োজনে অধিনায়ক হিসেবে বড় ইনিংস খেলতে পারেননি মুমিনুল হক। মাত্র ৬ রান নিয়ে সাজিদ খানের বলে উইকেটের পিছনে মোহাম্মদ রিজওয়ানের গ্লাভসবন্দী হন। পরে সাজঘরে ফিরেন নাজমুল হোসেন শান্ত। ১৪ রান করে ফাহিম আশরাফের বলে সাজিত খানের হাতে ক্যাচবন্দী হন তিনি।
তার আগে ব্যাট হাতে ভালো শুরু করেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু শুরুর ছন্দটা ধরে রাখতে পারেনি টাইগাররা। ক্রিজ থেকে বিদায় নেন সাইফ হাসান। তাকে ফিরিয়ে দেন শাহীন শাহ আফ্রিদি। ১৪ রান করে আফ্রিদির বলে আবিদ আলীর হাতে ক্যাচ তুলে দেন এ টাইগার ওপেনার।
সাইফের পর আরেক ওপেনার সাদমান ইসলামও ফিরলেন। ১৪ রান করে হাসান আলীর এলবিডব্লিউ’র ফাঁদে পড়ে উইকেট হারান তিনি।
পাকিস্তান সিরিজে টস ভাগ্যটা দারুণ পয়া বাংলাদেশের জন্য। টি-টোয়েন্টি সিরিজের তিন ম্যাচেই টস জিতেছিল লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। সেই ধারাটা অব্যাহত থাকল চট্রগ্রাম টেস্টেও। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম টেস্টে টস জিতে ব্যাটিং বেছে নিয়েছে টাইগাররা।
এ ম্যাচ দিয়ে অভিষেক হচ্ছে বাংলাদেশের ইয়াসির আলী রাব্বির। আর পাকিস্তান দলে অভিষেক হলো আব্দুল্লাহ শফিকের। দুজনেই পেয়েছেন টেস্ট ক্যাপ।
চলতি বছর বাংলাদেশের সব টেস্ট সিরিজের দলেই ছিলেন ইয়াসির আলী রাব্বি। বদলি ফিল্ড আর হিসেবে ছয়টি ক্যাচও নিয়েছেন। এবার হচ্ছে তার আনুষ্ঠানিক টেস্ট অভিষেক।
বাংলাদেশ একাদশ: সাইফ হাসান, শাদমান ইসলাম, নাজমুল হোসেন শান্ত, মমিনুল হক (অধিনায়ক), মুশফিকুর রহিম, ইয়াসির আলী, লিটন দাস (উইকেটরক্ষক), মেহেদি হাসান মিরাজ, তাইজুল ইসলাম, আবু জায়েদ ও এবাদত হোসেন।
পাকিস্তান একাদশ: আবদুল্লাহ শফিক, আবিদ আলী, আজহার আলী, বাবর আজম (অধিনায়ক), ফাওয়াদ আলম, মোহাম্মদ রিজওয়ান (উইকেটরক্ষক), ফাহিম আশরাফ, নওমান আলী, হাসান আলী, শাহিন শাহ আফ্রিদি ও সাজিদ খান।