টেস্ট থেকে অবসরের ঘোষণা মাহমুদউল্লাহর
টেস্ট থেকে অবসর নিয়েছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ আগেই- সেই জিম্বাবুয়ে সফরে হারারে টেস্টে ১৫০* রানের হার না মানা দুর্বার এক ক্রিকেটীয় ইনিংস খেলে। সতীর্থদের কাছ থেকে গার্ড অব অনারও নিয়ে রেখেছেন। তবে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেননি। অবশেষে সেই আনুষ্ঠানিকতা সারলেন টাইগারদের এই টি-টোয়েন্টি ক্যাপ্টেন। লাল বলের ক্রিকেটকে আনুষ্ঠানিকভাবে না বলে দিলেন তারকা এ অলরাউন্ডার।
ক্রিকেটের দীর্ঘতম সংস্করণকে আনুষ্ঠানিক বিদায় জানিয়ে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ বুধবার, ২৪ নভেম্বর রিয়াদ জানান, ‘আমি অনেকদিন ধরেই খেলেছি এমন একটা ফরম্যাটকে বিদায় বলা সহজ নয়। আমি সবসময়ই সর্বোচ্চ জায়গায় পৌঁছাতে চেয়েছি। আমার বিশ্বাস টেস্ট ক্যারিয়ার শেষ করার এটাই সঠিক সময়।’
বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন, সতীর্থ ও সাপোর্ট স্টাফদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন মাহমুদউল্লাহ, ‘আমি কৃতজ্ঞতা জানাতে চাই বিসিবি সভাপতির প্রতি যিনি আমি টেস্ট দলে ফেরার পর সমর্থন দিয়েছেন। আমার সতীর্থ ও সাপোর্ট স্টাফদেরও ধন্যবাদ জানাতে চাই আমাকে উৎসাহ দেওয়ার জন্য ও আমার সামর্থ্যে বিশ্বাস করায়।'
টেস্ট ক্রিকেটকে গুডবাই বললেও টি-টোয়েন্টি ও ওয়ানডে ক্রিকেটে ঠিকই খেলে যাবেন তারকা ক্রিকেটার রিয়াদ, ‘আমি টেস্ট থেকে অবসর নিলেও ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টিতে নিজের সেরাটা দেওয়ার জন্য চেষ্টা করব সাদা বলের ক্রিকেটে।’
টেস্টে মাহমুদউল্লাহর অভিষেক হয় ২০০৯ সালের জুলাইয়ে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে কিংসটাউনে। বাংলাদেশের সাদা জার্সি গায়ে জড়িয়ে খেলেন ৫০টি টেস্ট। বর্ণাঢ্য টেস্ট ক্যারিয়ারে পাঁচটি শতকের সঙ্গে ছিনিয়ে নিয়েছেন ১৬টি অর্ধ-শতক। ৩৩.৪৯ গড়ে তার ব্যাট থেকে এসেছে ২৯১৪ রান। চলতি বছরের জুলাইয়ে জিম্বাবুয়ে সফরে বিদায়ী টেস্ট খেলেন মাহমুদউল্লাহ। সেই ম্যাচে খেলেন ক্যারিয়ার সেরা ১৫০* চমৎকার এক ইনিংস।
টেস্টে বল হাতেও বেশ সরব উপস্থিতি ছিল মাহমুদউল্লাহর। অফ-স্পিন জাদুতে ৪৫.৫৩ গড়ে শিকার করেন তিনি ৪৩টি উইকেট। তার ক্যারিয়ার সেরা বোলিং ফিগার ৫/৫১। টেস্টে এটাই তার পাঁচ উইকেট শিকারের একমাত্র কীর্তি।