সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে দারুণ বোলিং করল বাংলাদেশ। টস হেরে বোলিংয়ে নেমে আফগানদের বেধে রেখেছে ২৩৫ রানে। তাতে নাজমুল হাসান শান্তর দলের সামনে চ্যালেঞ্জটা দাঁড়াল ২৩৬ রানের।
তাসকিন সফলতা পেয়েছেন ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে আক্রমণে এসে। তাকে একটু সামনে এগিয়ে খেলতে গিয়েছিলেন রহমানউল্লাহ গুরবাজ। তবে বলের খানিকটা মুভমেন্টে বিভ্রান্ত হতে হয় তাকে।
বল লাগে তার ব্যাটের বাইরের কানায়। সে বল ডান দিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে তালুবন্দি করেন উইকেটরক্ষক মুশফিকুর রহিম। ৭ রানে প্রথম উইকেট খুইয়ে বসে আফগানরা।
এরপর সেদিকউল্লাহ আতাল আর রহমত শাহ মিলে আফগানদের এগিয়ে নিচ্ছিলেন ভালোভাবেই। তবে তাতে বাধা দিলেন মুস্তাফিজ। ইনিংসের অষ্টম ওভারে আক্রমণে এসে তিনি ফেরালেন রহমত শাহকে। তিনিও গুরবাজের মতোই ক্যাচ দিয়েছেন উইকেটের পেছনে।
নিজের দ্বিতীয় ওভারেও সাফল্য পেয়েছেন মুস্তাফিজ। এলবিডব্লিউর শিকার বানিয়েছেন এমার্জিং এশিয়া কাপের সেরা খেলোয়াড় আতালকে। ৩৫ রানে ৩ উইকেট খুইয়ে বসে আফগানিস্তান।
মুস্তাফিজ সেখানেই থামেননি। এর এক বল পর আজমতউল্লাহ ওমরজাইকে ফেরান মুশফিকুর রহিমের ক্যাচ বানিয়ে। পাওয়ারপ্লেতে ৪ উইকেট খুইয়ে আফগানিস্তান পড়ে যায় বড় বিপদে।
সে বিপদ সামলানোর চেষ্টা করেছিলেন হাশমতউল্লাহ শহিদি আর গুলবাদিন নাইব। তবে শেষ জন তাসকিন আহমেদের শিকার বনে ফেরেন ২০তম ওভারের শেষ বলে।
৭১ রানে ৫ উইকেট খুইয়ে আফগানিস্তান রীতিমতো ধুঁকছিল। তবে সেখান থেকে দলটাকে রক্ষা করেছেন হাশমতউল্লাহ শহিদি আর মোহাম্মদ নবি। যদিও ৩ ওভারের ব্যবধানে ২ উইকেট তুলে নিয়ে বাংলাদেশ আবারও চাপে ফেলেছে দলটাকে।
২০ ওভারের ভেতর ৫ উইকেট খুইয়ে স্বাগতিকরা যখন কোণঠাসা হয়ে পড়েছিল, ঠিক তখনই দেয়াল তুলে দাঁড়ান শহিদি আর নবি। দুজন মিলে দলের রানের চাকাটা কখনও থমকে যেতে দেননি।
ষষ্ঠ উইকেটে দুজন মিলে যোগ করেছেন ১০৪ রান। এ রান তুলতে তারা ওভার খেলেছেন ২০.২ টি। রান তুলেছেন ওভারপ্রতি ৫এর চেয়ে কিছু বেশি করে।
এ জুটি আরও টিকে গেলে বাংলাদেশের বড় ক্ষতিই হয়ে যেত। তবে মুস্তাফিজুর রহমানের কল্যাণে তা হয়নি। সদ্য ফিফটি করা শহিদিকে বোল্ড করেন তিনি। আর তাতেই আফগান ইনিংসের সবচেয়ে বড় জুটিটা ভাঙে।
এর দুই ওভার বাদে শরিফুল ইসলাম আসেন দৃশ্যপটে। তার শর্ট বলে রশিদ খান ক্যাচ দেন শর্ট মিড উইকেটে দাঁড়ানো মুস্তাফিজুর রহমানকে। আর তাতেই আফগানিস্তান আবারও চাপে পড়ে যায় রীতিমতো। ১৮৯ রানে ৭ উইকেট খুইয়ে বসে দলটা।
এরপর মোহাম্মদ নবি একাই আফগানদের এগিয়ে নিচ্ছিলেন। তাসকিন আহমেদ তার স্পেলের শেষ ওভারে তাকে ফেরান। এর পরের বলে গজানফরকেও ফেরান তিনি। সে ওভারের শেষ বলে তার এলবিডব্লিউর আবেদনে সাড়া দিয়ে দিয়েছিলেন আম্পায়ার, তবে ফজলহক ফারুকি রিভিউ নিয়ে রক্ষা পান।
শেষ উইকেটে নাঙ্গেলিয়া খারোতি এরপর যোগ করেন ১৬ রান। শেষ ওভারে ফারুকি রান আউট হলে ২৩৫ রানে থামে আফগানদের ইনিংস।
সংক্ষিপ্ত স্কোর–
আফগানিস্তান ২৩৫/১০, ৪৯.৪ ওভার (নবি ৮৪, শহিদি ৫২, খারোতি ২৭*; তাসকিন ৪/৫৩, মুস্তাফিজুর রহমান ৪/৫৮, শরিফুল ১/৩২)