মুস্তাফিজের পায়ে চুমু দিয়ে আটক হলেন ভক্ত
বাংলাদেশ-পাকিস্তান সিরিজ চলছে জৈব সুরক্ষা-বলয়ে। সেই সুরক্ষিত বলয় ভেঙে মাঠে প্রবেশ করে এক ক্রিকেট ভক্ত। পাকিস্তানের ব্যাটিংয়ের সময় নর্দান গ্যালারির লোহার সীমানা প্রাচীর টপকে হঠাৎই মাঠে ঢুকে পড়েন এক দর্শক। মাঠে ঢুকে মুস্তাফিজুর রহমানের পায়ে চুমু খান।
পাকিস্তানের বিপক্ষে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে নিরাপত্তাকর্মীরা শত চেষ্টা করেও ওই দর্শককে ধরতে পারেননি। তার পাশ কাটিয়ে দৌড়ে মাঠে প্রবেশ করেন। পরে বেয়াড়া ওই দর্শককে মাঠ থেকে বের করে নিয়ে যান নিরাপত্তাকর্মীরা। করোনা প্রটোকলের কারণে মাঠ থেকে বের করে নেওয়া হয় মুস্তাফিজকেও।
মিরপুরের শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এমনটা এর আগেও ঘটেছে। নতুন করে সেই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটনায় মাঠের নিরাপত্তা নিয়েই উঠেছে প্রশ্ন। তবে জৈব সুরক্ষা-বলয় ভাঙলেও এ নিয়ে মোটেই দুশ্চিন্তায় নেই বিসিবি। বোর্ডের প্রধান চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরী বলেন, ‘দর্শক প্রবেশের ঘটনা অনাকাঙ্ক্ষিত। তবে খুব বেশি শঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। দর্শক যারা মাঠে প্রবেশ করেছেন, সবারই টিকা ডাবল জোজ নেওয়া আছে। সেটি তো পরীক্ষা করেই ভেতরে ঢোকানো হচ্ছে। তবুও মুস্তাফিজ যেহেতু সংস্পর্শে গেছে, তাকে মাঠ থেকে তুলে নেওয়া হয়েছে নিরাপত্তার কথা ভেবে।’
মুস্তাফিজের ওই পাগল ভক্তের পরিচয় জানা গেছে। রাসেল নামের ওই ভক্তের বাড়ি কুমিল্লা শহরে। থাকেন ঢাকার আদাবরে। তার বাবার নাম জাকির হোসেন। ঢাকার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা করেন তিনি।
আটক করে মিরপুর মডেল থানায় নেওয়া হয়েছে ওই মুস্তাফিজ ভক্তকে। এখন আইন অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মিরপুর জোনের টহল পরিদর্শক মোহাম্মদ মাহফুজুল হক বকশি বলেন, ‘আইনগতভাবে যেটি ঘটার সেটিই ঘটবে। আমরা প্রথম যে কাজটি করেছি, ঘটনা ঘটার পরেই আমরা তাকে হেফাজতে নিয়ে নিয়েছি। আমাদের ডিসি স্যার ছিলেন, উনি সঙ্গে করেই থানায় নিয়ে গেছেন।’