সিরিজে সমতায় ফেরা হলো না টাইগারদের

  • স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

টাইগার ক্রিকেটাররা

টাইগার ক্রিকেটাররা

শুরুতে চলল বাজে ব্যাটিংয়ের মহড়া। তাতে পুঁজিটা আটকে গেল অল্পতে। শেষে চলল নখদস্তহীন বোলিং আক্রমণ। টাইগারদের নির্বিষ সেই বোলিংয়ে পাকিস্তানের ব্যাটসম্যানদের এক বিন্দুও সরাতে পারল না জয়ের পথ থেকে। ১১ বল হাতে রেখেই সাফল্যের মালা গলায় পড়ল অতিথিরা।

দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে আরও বড় জয় পেল পাকিস্তান। টাইগারদের রীতিমতো উড়িয়ে দিয়েছে ৮ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে। সুবাদে সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচ জিতে তিন ম্যাচের সিরিজ ২-০ ব্যবধানে নিশ্চিত করল বাবর আজমের দল।

বিজ্ঞাপন

লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দলীয় ১২ রানে হোঁচট খায় পাকিস্তান। প্রথম টি-টোয়েন্টিতে পাকিস্তানের ব্যাটিং লাইন-আপে প্রথম আঘাত হেনেছিলেন মুস্তাফিজুর রহমান। এবার দ্বিতীয় ম্যাচেও বোলিং আক্রমণের দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিলেন মুস্তাফিজুর রহমান। তৃতীয় ওভারেই ক্রিজ থেকে বিদায় করে দেন তিনি ওপেনার বাবর আজমকে। পাকিস্তানের ক্যাপ্টেন করেন মাত্র এক রান।

এই উইকেটটি নিয়ে পাকিস্তান শিবিরে যা একটু ধাক্কা দিতে পেরেছিল বাংলাদেশ। সাফল্য বলতে এতটুকুই পরে এই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারেনি। একে একে আট জন বোলার হাতে নিয়েও প্রতিপক্ষকে চাপে ফেলতে পারেননি। ছড়াতে পারেননি কোনো ধরনের ভীতি। বলতে গেলে ম্যাচ জয়ের কোনো সম্ভাবনাই তৈরি করতে পারেননি স্বাগতিকরা।

বিজ্ঞাপন

পরে আর পিছনে তাকাতে হয়নি সফরকারীদের। দ্বিতীয় উইকেটে ওপেনার মোহাম্মদ রিজওয়ানের সঙ্গে ৮৫ রানের দাপুটে এক পার্টনারশিপ গড়েন ফখর জামান। শেষ দিকে ওপেনার মোহাম্মদ রিজওয়ানকে ফেরান অবশ্য আমিনুল ইসলাম বিপ্লব। কিন্তু তার আগেই জয়ের ভিত গড়ে ফেলেছে অতিথিরা।

রিজওয়ান ৪৫ বলে ৪ বাউন্ডারিতে ৩৯ রানে সাজঘরে ফিরলেও ব্যাটিং দৃঢ়তা দেখিয়ে যান ম্যাচসেরা ফখর জামান। ব্যাট হাতে দ্যুতি ছড়িয়ে এ টপ-অর্ডার ব্যাটসম্যান পেয়ে যান দুরন্ত এক ফিফটির দেখা। ৫১ বলের ৫৭* রানের হার না মানা চমৎকার ক্রিকেটীয় ইনিংসটি সাজান ২ বাউন্ডারি ও ৩ ছক্কায়। ১৮.১ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে জয়ের লক্ষ্য ১০৯ রানের স্কোর ছুঁয়ে ফেলে বাবর আজমের দল। বাংলাদেশের হয়ে একটি করে উইকেট নেন মুস্তাফিজুর রহমান ও আমিনুল ইসলাম।

প্রথম টি-টোয়েন্টিতে অন্তত ১২৭ রানের স্কোর গড়তে পেরেছিল টাইগার। তবে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ভালো ব্যাটিংয়ের আভাসও মিলেছিল। কিন্তু এবার হয়েছে আরও ছন্নছাড়া ব্যাটিং। যারপরনাই এলোমেলো ব্যাটিংয়ে ফের ব্যর্থতার গল্প লিখে পাকিস্তানের বিপক্ষে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১০৮ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ।

দাপুটে ব্যাটিং করে যাচ্ছিলেন নাজমুল হাসান শান্ত। তবে ফিফটি ছুঁতে পারেননি এ টপ-অর্ডার ব্যাটসম্যান। ব্যক্তিগত ৪০ রানে তাকে ফিরিয়ে দেন শাদাব খান।

প্রথম ম্যাচের মতো দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতেও দুরন্ত ব্যাটিং করে যাচ্ছিলেন আফিফ হোসেন। তবে ব্যক্তিগত স্কোরটা টেনে বড় করতে পারেননি তরুণ এ অলরাউন্ডার। ২০ রান করে শাদাব খানের বলে উইকেটের পিছনে মোহাম্মদ রিজওয়ানের হাতে কাচ তুলে দিয়ে ফেরেন তিনি। পরে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে বিদায় করে দেন হারিস রউফ। তার আগে টাইগার ক্যাপ্টেনের ব্যাট থেকে আসে ১২ রান।

তার আগে প্রথম ওভারেই বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইন-আপে আঘাত করেন শাহীন শাহ আফ্রিদি। ভেঙে দেন টাইগারদের ওপেনিং জুটি। তারকা এ পেনার শূন্য রানে ফিরিয়ে দেনন ওপেনার সাইফ হাসানকে। ক্যারিয়ারের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে সাইফ তুলে ছিলেন মাত্র এক রান। দ্বিতীয় ম্যাচে সেটাও পারলেন না।

অন্য ওপেনার নাঈম শেখও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। তাকে ফিরিয়ে দেন মোহাম্মদ ওয়াসিম। ফেরার আগে আট বল খেলে মাত্র ২ রান করেন নাঈম। পাকিস্তানের হয়ে দুটি করে উইকেট শিকার করেন শাহীন শাহ আফ্রিদি ও শাদাব খান। একটি করে উইকেট নেন মোহাম্মদ ওয়াসিম, হারিস রউফ ও মোহাম্মদ নওয়াজ।

মিরপুরের শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রথম টি-টোয়েন্টির মতো দ্বিতীয় ম্যাচেও টস জিতেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। পাকিস্তানের বিপক্ষে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতেও টস জিতে ব্যাটিং বেছে নেয় বাংলাদেশ। অতিথি পাকিস্তানকে বোলিংয়ে পাঠায় টাইগাররা।

বাংলাদেশের একাদশে কোনো পরিবর্তন আসেনি। অপরিবর্তিত দল নিয়েই মাঠে নামে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। তবে পাকিস্তানের একাদশে একটি বদল এসেছে। একাদশ থেকে ছিটকে যান হাসান আলী। তার পরিবর্তে দলে জায়গা করে নিয়েছেন শাহীন শাহ আফ্রিদি।