দারুণ বোলিং, পাকিস্তান ২৪/৪
শুরুতে দারুণ বোলিং শুরু করেছেন টাইগাররা। শুরুতেই ফেলে দিয়েছেন তারা পাকিস্তানের দুই ওপেনারকে। মোহাম্মদ রিজওয়ানকে বোল্ড করেছেন মুস্তাফিজুর রহমান। আর বাবর আজমের উইকেট উপড়ে দিয়েছেন তাসকিন আহমেদ।
হায়দার আলীকে শূন্য রানে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলে বিদায় করেছেন মেহেদী হাসান। আর শোয়েব মালিক শূন্য রানে রান আউটের শিকার হয়েছেন। ৬ ওভার শেষে ৪ উইকেট হারিয়ে পাকিস্তানের সংগ্রহ দাঁড়িয়েছে ২৪ রান।
পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে বড় পুঁজি গড়তে পারেনি বাংলাদেশ। এলোমেলো ব্যাটিংয়ে ১২৭ রানেই গুটিয়ে গেছে টাইগাররা।
ব্যাটিংয়ের শুরুটা মোটেই ভালো হয়নি টাইগারদের। ব্যাটিং বিপর্যয়ের মুখে শুরু হয়ে যায় ব্যাটসম্যানদের আসা যাওয়ার মিছিল। সেই বিপদ সামলে ব্যাটিং দৃঢ়তা দেখিয়ে যাচ্ছিলেন আফিফ হোসেন। দিয়ে যাচ্ছিলেন বড় সংগ্রহের আভাস। তবে দুই অঙ্কে পৌঁছালেও বড় ইনিংস খেলতে পারেননি তিনি। তরুণ এ অলরাউন্ডার ফিরে যান দলের বিপদের সময়ে ৩৬ রানের অসাধারণ এক ইনিংস খেলে। ৩৪ বলের ইনিংসটি সাজান তিনি ২ বাউন্ডারি ও ২ ছক্কায়।
মোহাম্মদ ওয়াসিম পান জোড়া উইকেট পান। সাইফ হাসানের পর সাজঘরে ফিরিয়ে দেন তিনি নাজমুল হাসান শান্তকে। তিনি ফেরার আগে দলীয় স্কোরে যোগ করেন মাত্র ৭ রান। পরে মোহাম্মদ নওয়াজ উপড়ে দেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের উইকেট। এ টাইগার ক্যাপ্টেন করেছেন মাত্র ৬ রান।
বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইন-আপে প্রথম আঘাতটা হানেন হাসান আলী। মোহাম্মদ রিজওয়ানের হাতে ক্যাচ বানিয়ে ক্রিজ থেকে বিদায় করে দেন তিনি ওপেনার মোহাম্মদ নাঈম শেখকে। পরে মোহাম্মদ ওয়াসিম ফিরিয়ে দিয়েছেন আরেক ওপেনার সাইফ হাসানকে। দুজনেই এক রান করে তুলেছেন।
আফিফ হোসেনের পর বাংলাদেশ ব্যাটিং লাইন-আপে হাল ধরেছিলেন নুরুল হাসান সোহান। ভালো ব্যাটিং করেও ২৮ রানের বেশি তুলতে পারেননি এ উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান। তার ২২ বলের ইনিংসটিতে ছিল ২ ছক্কা। তারপর দুই রান নিয়ে ফিরেছেন আমিনুল ইসলাম বিপ্লব। শেষ দিকে ২০ বলে ১ বাউন্ডারি ও ২ ছক্কায় ৩০* রানের হার না মানা এক ঝড়ো ইনিংস মেহেদী হাসান।
পাকিস্তানের হয়ে হাসান আলী তিনটি ও মোহাম্মদ ওয়াসিম দুটি উইকেট নেন। একটি করে উইকেট পান মোহাম্মদ নওয়াজ ও শাদাব খান।
তার আগে মিরপুরের শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস ভাগ্য সহায় হয়েছে টাইগারদের। তাই তো পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে টস জিতে ব্যাটিং বেছে নেন টাইগার ক্যাপ্টেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।