ইংল্যান্ডের হৃদয় ভেঙে ফাইনালে নিউজিল্যান্ড
পুরো সুপার টুয়েলভ জুড়ে দুর্দান্ত পারফর্ম করে ইংল্যান্ড। গ্রুপ ওয়ানের শ্রেষ্ঠত্ব নিয়ে পা রাখে সেমি-ফাইনালে। কিন্তু শেষ চারের লড়াইয়ে এসে খেই হারিয়ে ফেলল ক্যাপ্টেন ইয়ন মরগানের দল। বিদায় নিল টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকে।
ইংল্যান্ডকে ৫ উইকেটে হারিয়ে প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে নাম লিখেছে নিউজিল্যান্ড। কিউদের রোমাঞ্চকর জয়টা আসে ৬ হাতে রেখেই।
নিউজিল্যান্ডের ব্যাটিংয়ের শুরুটা ছিল যারপরনাই বাজে। দলীয় ১৩ রানের মাথায় নাই হয়ে যায় মার্টিন গাপটিল ও কেন উইলিয়ামসনের উইকেট। কিউদের আকাশে তখন ব্যাটিং বিপর্যয়ের ঘনঘটা।
দলের বিপদ কাটিয়ে উঠতে সঠিক সময়ে ব্যাটিং লাইন-আপের হাল ধরেন অন্য ওপেনার ড্যারিল মিচেল। তাকে সঙ্গ দিয়ে যান ডেভন কনওয়ে। ক্রিজে থিতু হয়ে দুজনে মিলে দলের ব্যাটিং বিপর্যয় কাটিয়ে উঠেন।
ব্যাট হাতে লড়াই করে গেলেও কনওয়ে ছিনিয়ে নিতে পারেনি ফিফটি। ৪৬ রান নিয়ে সাজঘরে ফেরেন। ৩৮ বলের ইনিংসটি সাজান তিনি ৫ বাউন্ডারি ও এক ছক্কায়। ততক্ষণে নিউজিল্যান্ড পৌঁছে যায় ৯৫ রানের স্কোরে।
কনওয়ে আউট হলেও ব্যাট হাতে লড়ে যান ম্যাচসেরা ড্যারিল মিচেল। দলকে ফাইনালে পৌঁছে দিয়ে তবেই মাঠ ছাড়েন। মিচেল ৪৭ বলে ৪ বাউন্ডারি ও ৪ ছক্কায় খেলেন ৭২* রানের হার না মানা দুর্বার এক ক্রিকেটীয় ইনিংস।
আর জেমস নিশামের ব্যাট থেকে আসে ২৭ রান। তাতেই ১৯ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৬৭ রানের জয়ের লক্ষ্য ছুঁয়ে ফেলে ব্লাক ক্যাপস শিবির।
ইংল্যান্ডের হয়ে দুটি করে উইকেট নেন ক্রিস ওকস ও লিয়াম লিভিংস্টোন। একটি উইকেট যায় আদিল রশিদের পকেটে।
প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালোই করেছিলেন দুই ওপেনার জস বাটলার ও জনি বেয়ারস্টো। তবে ক্রিজে খুব বেশিক্ষণ টিকতে পারেনি দুজনে। দলীয় ৩৭ রানে ভাঙে তাদের উদ্বোধনী জুটি।
ব্যক্তিগত ১৩ রান নিয়ে সাজঘরে ফিরে যান জনি বেয়ারস্টো। পরে অবশ্য উইকেটে থিতু হওয়ার চেষ্টা করেন জস বাটলার। তবে বড় কোনো ইনিংস খেলতে পারেননি। ২৯ রান করে ইশ সোধির এলবিডব্লিউর ফাঁদে পা দিয়ে আউট হন জস বাটলার। ইংল্যান্ডের স্কোর (৫৩) তখন ফিফটি ছাড়িয়ে গেছে।
তৃতীয় উইকেট জুটিতে ডেভিড মালান ও মঈন আলী গড়েন ৬৩ রানের জুটি। ফিফটি থেকে বঞ্চিত হন মালান। ৩০ বলে ৪ বাউন্ডারি ও এক ছক্কায় খেলেন ৪১ রানের দারুণ এক কার্যকরী ইনিংস।
ক্রিজের এক প্রান্ত আগলে রেখে ব্যাটিং ঝড় তুলেন মঈন আলী। মালান অর্ধশতক থেকে বঞ্চিত হলেও মঈন আলী ঠিকই ফিফটি তুলে নেন। ৩৭ বলে তিন বাউন্ডারি ও দুই ছক্কায় ৫১* রানে হার না মানা দাপুটে এক ইনিংস খেলেন মঈন। আর লিয়াম লিভিংস্টোনের ব্যাট থেকে আসে ১৭ রান।
সুবাদে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৬৬ রানের লড়াকু পুঁজি গড়ে ইংল্যান্ড।
নিউজিল্যান্ডের হয়ে একটি করে উইকেট নেন জেমস নিশাম, ইশ সোধি, অ্যাডাম মিলনে ও টিম সাউদি।
তার আগে আবুধাবির শেখ জায়েদ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় নিউজিল্যান্ড।