রাবাদার হ্যাটট্রিক, সেমিতে ইংল্যান্ডের সঙ্গী অস্ট্রেলিয়া
ক্যাগিসো রাবাদা নিজের প্রথম তিন ওভারে খরচ করলেন ৪৫ রান। কিন্তু শেষ ওভারে ম্যাচের সেই খরুচে বোলারটা সবাইকে তাক লাগিয়ে দিলেন। তিন রান দিয়ে করলেন হ্যাটট্রিক। টুর্নামেন্টের তৃতীয় হ্যাটট্রিক এটি। আর দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম বোলার হিসেবে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে প্রথম হ্যাটট্রিকম্যান বনে গেলেন রাবাদা।
ক্যাগিসো রাবাদার হ্যাটট্রিকে নিজেদের শেষ ম্যাচে ইংল্যান্ডকে ১০ রানে হারিয়ে দিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। তবে ম্যাচে হারলেও কোনো ক্ষতি হয়নি। ইংল্যান্ড আগেই পৌঁছে গেছে সেমি-ফাইনালে। শেষ চারে তাদের সঙ্গী হয়েছে অস্ট্রেলিয়া। আর জিতেও আসর থেকে বিদায় নিয়েছে প্রোটিয়ারা।
ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকা পাঁচ ম্যাচ খেলে সমান চার জয় ও এক হারে তিন দলের সংগ্রহ দাঁড়িয়েছে সমান ৮ পয়েন্ট। তবে রান রেটে এগিয়ে থেকে গ্রুপ ওয়ান চ্যাম্পিয়ন হিসেবে নকআউট পর্বে নাম লিখেছে ইংল্যান্ড (রানরেট ২.৪৬৪)।
গ্রুপ রানার-আপ হয়ে সেমি-ফাইনালের টিকিট পেয়েছে অস্ট্রেলিয়া (রানরেট ১.২১৬)। আর শেষ ম্যাচ জিতেও তৃতীয় হয়ে বিদায় নিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা (রানরেট ০.৭৩৯)।
১৯০ রানের জয়ের লক্ষ্য ছোঁয়াটা ছিল ইংল্যান্ডের জন্য চ্যালেঞ্জিং। দলীয় প্রচেষ্টায় সেটা ছোঁয়ার খুব কাছে চলে গিয়েছিল ক্যাপ্টেন ইয়ন মরগানের দল। কিন্তু কোনো লাভ হয়নি। ৮ উইকেট হারিয়ে ১৭৯ রানে গুটিয়ে যায় ইংলিশদের ইনিংস।
মঈন আলী ৩৭, ডেভিড মালান ৩৩, লিয়াম লিভিংস্টোন ২৮, জস বাটলার ২৬, জেসন রয় ২০ ও ইয়ন মরগান ১৭ রান করেন।
ক্যাগিসো রাবাদা নেন তিন উইকেট। দুটি করে উইকেট পান তাবরাইজ শামসি ও ডোয়াইন প্রিটোরিয়াস। একটি উইকেট যায় আনরিচ নর্টজের পকেটে।
রসি ফন ডার ডুসেনের হাতের ব্যাট যেন হয়ে উঠেছিল খোলা তলোয়ার। তা দিয়ে কচু কাটা করলেন ইংল্যান্ডের বোলারদের ছোড়া সব বল। বিস্ফোরক ব্যাটিংয়ে শতকের আভাস দিয়েও পাননি। ফেরেন ছয় রানের আক্ষেপ নিয়ে।
ফন ডার ডুসেনের সঙ্গে ধ্বংসাত্মক ব্যাটিংয়ে সামিল হন এইডেন মার্করামও। দুজনের ব্যাটিং দৃঢ়তায় নির্ধারিত ২০ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে প্রোটিয়ারা গড়ে ১৮৯ রানের চ্যালেঞ্জিং পুঁজি।
৬০ বলে ৫ বাউন্ডারিতে ও ৬ ছক্কায় ৯৪* রানের হার না মানা অপ্রতিরোধ্য এক ক্রিকেটীয় ইনিংস খেলেন ফন ডার ডুসেন।আর এইডেন মার্করামের ব্যাট থেকে আসে ৫২* রান। তার ২৫ বলের দুরন্ত ইনিংসটিতে ছিল ২ বাউন্ডারি ও ৪ ছক্কা।
ডুসেন-মার্করাম দুজনে মিলে তৃতীয় উইকেটে গড়েন ১০৩* রানের অবিচ্ছিন্ন পার্টনারশিপ। তার আগে কুইন্টন ডি কক দলীয় স্কোরে যোগ করেন ৩৪ রান।
ইংল্যান্ডের হয়ে একটি করে উইকেট নেন আদিল রশিদ ও মঈন আলী। শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ম্যাচের শুরুতে ফিল্ডিং বেছে নেয় ইংল্যান্ড।