উইন্ডিজকে উড়িয়ে দিল ইংল্যান্ড
টুর্নামেন্টের দুইবারের চ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইন্ডিজ। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বর্তমান চ্যাম্পিয়নও তারা। কিন্তু সেই রেকর্ড শিরোপাধারী দলের কাছ থেকে এমন অবিশ্বাস্য বাজে পারফরম্যান্স প্রত্যাশা করেনি কেউ।
কিন্তু বাস্তবে সেটাই ঘটেছে। ৫৫ রানে গুটিয়ে গেছে ক্যারিবিয়ানরা তাইতো ম্যাচটি খুব সহজেই জিতে নিয়েছে ইংল্যান্ড। ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৬ উইকেটে উড়িয়ে দিয়েছে সাবেক চ্যাম্পিয়নরা। ইংলিশরা ম্যাচ জিতল ৭০ বল হাতে রেখেই। দাপুটে এ জয়ে বিশ্বকাপ পুনরুদ্ধারের মিশন শুরু করল ইংল্যান্ড।
পুঁজি কম হলেও ছেড়ে কথা বলেনি ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দুরন্ত বোলিংয়ে চেপে ধরেছিল ইংলিশদের। ফেলে দিয়েছিল চার উইকে কিন্তু তাতে লাভ হয়নি। ওপেনার জস বাটলার ২৪* রানের হার না মানা ইনিংস খেলে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন।
তার আগে ওপেনার জেসন রয় করেন ১১ রান। তবে বাকি ব্যাটসম্যানদের কেউ দুই অঙ্কেও পৌঁছাতে পারেননি। দেখেশুনে ব্যাটিং করেও আউট হয়েছেন তারা সিঙ্গেল ডিজিটে। জস বাটলারকে সঙ্গ দিয়ে অপরাজিত থেকে যান ক্যাপ্টেন ইয়ন মরগান (৭*)। ৮.২ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে জয়ের লক্ষ্য ৫৬ রানের স্কোর ছুঁয়ে ফেলে ইংল্যান্ড।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে আকিল হোসেন নেন দুটি উইকেট। আরেকটি উইকেট নেন রবি রামপল।
তার আগে দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে শুরুতে ব্যাটিংয়ে নেমে ইংল্যান্ডের সামনে দাঁড়াতেই পারেনি ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটসম্যানরা। মাত্র ৫৫ রানেই গুটিয়ে যায় ক্যারিবিয়ানরা।
আদিল রশিদ ও মঈন আলীদের বোলিং তোপে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে যায় উইন্ডিজ শিবির। ১৪.২ ওভারে ৫৫ রানের বেশি তুলতে পারেনি ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ১৩ রান করেন ক্রিস গেইল। আসা যাওয়ার মিছিলে যোগ দিয়ে বাকিরা কেউ দুই অঙ্কও স্পর্শ করতে পারেননি।
আদিল রশিদ একাই শিকার করেন ৪ উইকেট। দুটি করে উইকেট নেন মঈন আলী ও টাইমল মিলস। ১৭ রানে দুই উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা হন মঈন আলী।