সবশেষ সিরিজে ইতিহাসই গড়েছিল নিউজিল্যান্ড। ভারতকে তাদেরই মাটিতে ৩-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ করেছিল দলটা। তখনই বিষয়টা মাথায় এসেছিল। এবার নিউজিল্যান্ড কিংবদন্তি টিম সাউদি অবসরের ঘোষণা দিয়েই দিলেন।
তবে সেটা কখন, তা নিয়ে একটা ধোঁয়াশা আছে। আসছে মাসে ইংল্যান্ড আতিথ্য নেবে নিউজিল্যান্ডের। ঘরের মাটিতে ওই সিরিজ দিয়েই বিদায় বলতে চান সাউদি।
ভারতকে তাদেরই মাটিতে হারিয়ে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে যাওয়ার দারুণ সম্ভাবনা তৈরি করেছে। আগামী বছরের মাঝামাঝিতে অনুষ্ঠেয় ওই ফাইনালে যদি খেলার যোগ্যতা অর্জন করে কিউইরা, তবে সে ম্যাচে খেলতে চান সাউদি। তা না হলে ঘরের মাঠে ইংল্যান্ড সিরিজই হয়ে থাকবে তার শেষ টেস্ট ম্যাচ।
শেষ এক বছরে একটা বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে খেলেছে নিউজিল্যান্ড। এরপর চলতি বছর ভারতের মাটিতে ওই ইতিহাস। তাতে চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে খেলার আশাও জেগে উঠেছে। সব মিলিয়ে এখনই বিদায় বলার উপযুক্ত সময় বলে মনে হয়েছে তার।
তিনি বলেন, ‘শেষ ১২ মাস আমাদের জন্য বেশ রোমাঞ্চকর ছিল। এটার শেষ পর্যায়ে আছি আমরা। সামনে তাকালে আমাদের জন্য দারুণ এক প্রতিপক্ষের বিপক্ষে বড় একটা সিরিজ অপেক্ষা করছে, যাদের বিপক্ষে আমি অনেক বছর আগে আমার যাত্রা শুরু করেছিলাম। তো এখনই মনে হচ্ছে সেরা সময়।’
নিউজিল্যান্ডের হয়ে তিন ফরম্যাটে ৭৭০ উইকেট শিকার করেছেন তিনি। টেস্টে ৩০০, ওয়ানডেতে ২০০ আর টি-টোয়েন্টিতে ১০০ উইকেটের ট্রেবল তিনি ছাড়া কেবল ড্যানিয়েল ভেট্টোরিরই আছে ক্রিকেট ইতিহাসে। নিউজিল্যান্ডের টেস্ট ইতিহাসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী বোলার তিনি। ব্যাটিংয়েও কম যাননি তিনি। ৯৩টি ছক্কা হাঁকিয়েছেন তিনি, টেস্ট ইতিহাসের ষষ্ঠ সর্বোচ্চ ছক্কা তার নামের পাশে।
এবার সে অধ্যায়টা শেষ করার সময় চলে এসেছে, জানালেন তিনি। নিউজিল্যান্ড ফাইনালে খেললে সেখানেই খেলবেন শেষ ম্যাচটা। পয়েন্ট তালিকার চারে আছে কিউইরা। অনেকগুলো যদি কিন্তু মিলে গেলে নিউজিল্যান্ড চলে যাবে ফাইনালে।
বিদায়ের ঘোষণা দিয়ে কাছের মানুষজনকে ধন্যবাদ জানাতেও ভোলেননি সাউদি। বললেন, ‘পরিবার, বন্ধু, কোচ, ভক্ত এবং খেলার সঙ্গে জড়িত যারা ক্যারিয়ারজুড়ে আমাকে সহায়তা করেছেন, সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।’