টি-টোয়েন্টি সিরিজও জিতল বাংলাদেশ
তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে জিম্বাবুয়েকে ৫ উইকেটে হারিয়েছে বাংলাদেশ। দুর্বার এ জয়ে সিরিজ জিতল টাইগাররা ২-১ ব্যবধানে। তার আগে টেস্ট ও ওয়ানডে সিরিজের ট্রফি জিতে নিয়েছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। এ ম্যাচে ১৯.২ ওভারে জয়ের লক্ষ্য ১৯৪ রান ছুঁয়ে ফেলে বাংলাদেশ।
দুরন্ত ব্যাটিং দৃঢ়তা দেখিয়ে ফিফটি হাঁকিয়ে ব্যাট হাতে লড়ে যাচ্ছিলেন তারকা ওপেনার সৌম্য সরকার। ৬৮ রান ফিরেছেন তিনি।
তার আগে সাজঘরে ফিরেছেন সাকিব আল হাসান। দলীয় স্কোরে বিশ্বসেরা এ অলরাউন্ডার যোগ করেন ২৫ রান। পরে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ৩৪ রান এনে দেন। ৩১* রানের হার না মানা দাপুটে এক ইনিংস খেলে দলকে জিতিয়ে তবেই মাঠ ছাড়েন শামীম হোসেন পাটোয়ারি।
তার আগে টস জিতে শুরুতে ব্যাটিংয়ে নেমে জয়ের জন্য তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের সামনে ১৯৪ রানের চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য ছুঁড়ে দেয় জিম্বাবুয়ে। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৯৩ রান সংগ্রহ করে স্বাগতিকরা।
দুরন্ত ব্যাটিং করে যাচ্ছিলেন রেগিস চাকাভা। ছুটে যাচ্ছিলেন ফিফটির দিকে। কিন্তু পারলেন না। দুই রানের আক্ষেপ নিয়ে ফিরেন চাকাভা। ৪৮ করে সৌম্য সরকারের বলে শামীম হোসেনের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি।
চাকাভা মিস করলেও ফিফটি ছুঁয়েছেন ওয়েসলি মাধেভেরে। ৫৪ রান নিয়ে সাজঘরে ফিরেছেন তিনি। তার উইকেটটি নেন সাকিব আল হাসান।
ক্যাপ্টেন সিকান্দার রাজাকেও শূন্য রানে বোল্ড করেন সৌম্য। অন্য ওপেনার তাদিওয়ানাশে মারুমানি দলীয় স্কোরে যোগ করেন ২৭ রান। ২৩ রান এনে দেন ডিওন মেয়ার্স। আর ৩১* রানে অপরাজিত থেকে যান রায়ান বার্ল।
বাংলাদেশের হয়ে দুটি উইকেট শিকার করেন সৌম্য সরকার। একটি করে উইকেট নেন সাকিব আল হাসান, শরিফুল ইসলাম ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
জিম্বাবুয়ে: ১৯৩/৫, ২০ ওভার (মারুমানি ২৭, মাধেভেরে ৫৪, চাকাভা ৪৮, মায়ার্স ২৩, বার্ল ৩১*; শরিফুল ১/২৭, সাকিব ১/২৪ ও সৌম্য ২/১৯)।
বাংলাদেশ: ১৯৪/৫, ১৯.২ ওভার (সৌম্য ৬৮, সাকিব ২৫, মাহমুদউল্লাহ ৩৪, আফিফ ১৪, শামীম ৩১*; মুজারাবানি ২/২৭, জঙ্গে ২/৪২ ও মাসাকাদজা ১/৩৭)।
ফল: বাংলাদেশ ৫ উইকেটে জয়ী।
সিরিজ: তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ ২-১ ব্যবধানে জিতল বাংলাদেশ।
ম্যাচসেরা: সৌম্য সরকার।
সিরিজসেরা: সৌম্য সরকার।