দ. আফ্রিকার ওপর ঝড় বইয়ে ভারতের একগাদা রেকর্ড
টি-টোয়েন্টিতে যেন নতুন বিপ্লবই নিয়ে আসছে ভারত। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আক্রমণই শেষ কথা যার। তারই সবশেষ শিকার হলো দক্ষিণ আফ্রিকা।
জোহানেসবার্গে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ২০ ওভারে ১ উইকেটে ২৮৩ রানের পাহাড় গড়ে ভারত। সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন তিলক ভার্মা ও সাঞ্জু স্যামসন। জবাবে ১৮.২ ওভারে ১৪৮ রান তুলতেই অলআউট হয় দক্ষিণ আফ্রিকা। ভারত পায় ১৩৫ রানের বিশাল এক জয়।
এই ম্যাচে একগাদা রেকর্ড গড়া হয়ে গেছে ভারতের। সেসব রেকর্ডগুলো এক নজরে দেখে নেওয়া যাক–
৩– বাংলাদেশ সিরিজের শেষ ম্যাচে সেঞ্চুরি করেছিলেন। এরপরও দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের প্রথম ম্যাচেও সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন সাঞ্জু স্যামসন। এবার গত রাতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে আবারও সেঞ্চুরি করে টি–টোয়েন্টির ইতিহাসে প্রথম ব্যাটার হিসেবে এক পঞ্জিকাবর্ষে ৩ সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়েন তিনি।
৯– ২০২৪ সালে টি–টোয়েন্টিতে এ নিয়ে নয় বার ২০০ ছুঁল ভারত। এক পঞ্জিকাবর্ষে এত বেশি ২০০র রেকর্ড আর কোনো দলেরই নেই।
৪– ভারত–দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজে সেঞ্চুরি হয়েছে ৪টা। এর আগে কোনো টি–টোয়েন্টি সিরিজে সর্বোচ্চ সেঞ্চুরির রেকর্ড ছিল ২টি।
২৮৩/১– জোহানেসবার্গে গত রাতে ভারতের করা ২৮৩/১ দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টি–টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ দলীয় রান। আগের সর্বোচ্চ ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের, ২৫৮/৫।
১– পূর্ণ সদস্যদের মধ্যকার ম্যাচে দুই ব্যাটারের সেঞ্চুরি গত রাতেই প্রথমবারের মতো দেখল টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট।
২১০*– সাঞ্জু স্যামসন–তিলক ভার্মার জুটি গত রাতে অবিচ্ছিন্ন ২১০ রানে। টি–টোয়েন্টিতে যেকোনো উইকেটে এটাই ভারতের সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড। আন্তর্জাতিক টি–টোয়েন্টিতেও দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড এটা।
৯২.৩০%– ভারত এ বছর ২৪টি টি–টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছে। জিতেছে তার ২২টিতেই। শতকরা ৯২.৩০% ম্যাচে জিতেছে দলটা। এক পঞ্জিকাবর্ষে কমপক্ষে ১০ ম্যাচ খেলে আইসিসির পূর্ণ সদস্য দেশগুলোর আর কারো এই জয়ের হারের রেকর্ড নেই।
১২– ভারতের স্পিনার বরুণ চক্রবর্তী এই সিরিজে ১২ উইকেট নিয়েছেন। চার বা এর চেয়ে কম ম্যাচের দ্বিপাক্ষিক টি–টোয়েন্টি সিরিজে এটাই কোনো বোলারের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারের নজির।