বাজে ব্যাটিংয়ে হারল টাইগাররা
দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে জয় ছিনিয়ে নিয়েছে জিম্বাবুয়ে। টাইগারদের ২৩ রানে হারিয়ে সিরিজে সমতায় ফিরল স্বাগতিকরা। তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে এখন ১-১ এ সমতা। এ জয়ের সুবাদে সিরিজ জয়ের আশা বাঁচিয়ে রাখল জিম্বাবুয়ে। লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১৯.৫ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে টাইগারদের ইনিংস গুটিয়ে যায় ১৪৩ রানে।
লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ব্যাটিংয়ের শুরুটা মোটেই ভালো হয়নি বাংলাদেশের। ব্যাট হাতে বিপদে পড়ে যায় ক্যাপ্টেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দল। তিন রানের ব্যবধানে টাইগাররা হারিয়ে ফেলে দুই ওপেনার মোহাম্মদ নাঈম শেখ (৫) ও সৌম্য সরকারকে (৮)। দুজনে মিলে যোগ দেন মাত্র ১৩ রান। অথচ প্রথম টি-টোয়েন্টি জয়ের কারিগর ছিলেন এই দুই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যানই। ১০১ রানের পার্টনারশিপ গড়ে দলের অনায়াস জয়ের ভিত গড়ে দিয়েছিলেন দুজনে।
নাঈম-সৌম্যের পর সাজঘরে ফিরেন সাকিব আল হাসান। ওয়েলিংটন মাসাকাদজার বলে সিকান্দার রাজার হাতে ক্যাচ তুলে দেওয়ার আগে সাকিব আল হাসান দলীয় স্কোরে যোগ করেন মাত্র ১২ রান। তার পরে ১৫ রান এনে দেন মেহেদী হাসান।
অভিষিক্ত শামীম হোসেন সপ্তম উইকেটে বাংলাদেশকে জয়ের স্বপ্ন দেখাতে জুটি গড়েন আফিফ হোসেনের সঙ্গে। কিন্তু দুজনে খুব বেশি দূর যেতে পারেননি। আশা জাগিয়ে তারা গড়েন ৪১ রানের পার্টনারশিপ।
শামীম ২৯ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে সাজঘরের পথ ধরেন। তারপর ২৪ রান নিয়ে ক্রিজ থেকে বিদায় নেন আফিফ হোসেন। দুজনের বিদায়ে বাংলাদেশের হারটা প্রায় নিশ্চিত হয়ে যায়। জিম্বাবুয়ের বোলারদের বিরুদ্ধে ব্যাট হাতে প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনও। কিন্তু কোনো লাভ হয়নি। ১৯ রানের বেশি তুলতে পারেননি এ তরুণ অলরাউন্ডার। বাকিরা কেবল হারের ব্যবধানটাই কমিয়েছেন।
জিম্বাবুয়ের হয়ে ওয়েলিংটন মাসাকাদজা ও লুক জঙ্গে তিনটি করে উইকেট শিকার করেন। ব্লেসিং মুজারাবানি ও তেন্দাই চাতারা নেন দুটি করে উইকেট।
দুরন্ত ব্যাটিং করে যাচ্ছিলেন ওয়েসলি মাধেভেরে। ফিফটি হাঁকিয়ে জিম্বাবুয়ের এ ওপেনার ছুটে যাচ্ছিলেন সেঞ্চুরির পথে। কিন্তু নাহ! জাদকুরী তিন অঙ্কের দেখা মিলল না। মাধেভেরে ফিরলেন ৭৩ রানের দাপুটে এক ইনিংস খেলে। ৫৭ বলে ৫ বাউন্ডারি ও ৩ ছক্কায় চমৎকার এই ইনিংসটি সাজান মাধেভেরে।
ম্যাচসেরা মাধেভেরের দুরন্ত ফিফটিতে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৬৬ রানের লড়াকু পুঁজি গড়ে জিম্বাবুয়ে। মাধেভেরের সঙ্গে দলীয় স্কোরে ৩৪* রান যোগ করে অপরাজিত থেকে যান রায়ান বার্ল। এছাড়া ডিওন মেয়ার্স ২৬ ও রেগিস চাকাভা ১৪ রান এনে দিলে দলীয় সংগ্রহটা বেড়ে যায়।
বাংলাদেশের হয়ে তিনটি উইকেট শিকার করেন শরিফুল ইসলাম। এজন্য তরুণ এ পেসার খরচ করেন ৩৩ রান। তার সঙ্গে একটি করে উইকেট নেন মেহেদী হাসান ও সাকিব আল হাসান।
হারারেতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তিন ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতেও টস ভাগ্য সহায় হয়নি ক্যাপ্টেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের। টস জিতে ব্যাটিং বেছে নেন জিম্বাবুয়ের ক্যাপ্টেন সিকান্দার রাজা। যে কারণে শুরুতে বল হাতে মাঠে নামে বাংলাদেশ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
জিম্বাবুয়ে: ১৬৬/৬, ২০ ওভার (মাধেভেরে ৭৩, চাকাভা ১৪, মায়ার্স ২৬, বার্ল ৩৪*; মেহেদি ১/১১, শরিফুল ৩/৩৩ ও সাকিব ১/৩২)।
বাংলাদেশ: ১৪৩/১০, ১৯.৫ ওভার (মেহেদি ১৫, সাকিব ১২, আফিফ ২৪, শামীম ২৯; চাতারা ২/২৪, মুজারাবানি ২/২১, জঙ্গে ৩/৩১, মাসাকাদজা ৩/২০)।
ফল: জিম্বাবুয়ে ২৩ রানে জয়ী।
সিরিজ: তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টিতে এখন ১-১ সমতা।
ম্যাচসেরা: ওয়েসলি মাধেভেরে।