লিডের স্বাস্থ্য বাড়াচ্ছে বাংলাদেশ, সেঞ্চুরির পথে মমিনুল
চট্টগ্রাম টেস্টের প্রায় সবকিছুই এখন বাংলাদেশের ইচ্ছে অনুযায়ীই হচ্ছে। লিড ক্রমশ বড় করার ইচ্ছে নিয়ে চতুর্থদিন সকালে ব্যাটিংয়ে নেমেছিল বাংলাদেশ। লাঞ্চ বিরতিতে সেই লিড দাড়িয়েছে তিনশ’র ওপরে, ৩২০ রান।
৪ উইকেটে ১৪৯ রান নিয়ে চতুর্থদিনের লাঞ্চে যায় বাংলাদেশ। সেই সঙ্গে এই ম্যাচ জয়ের স্বপ্ন আরো উজ্জ্বল। চতুর্থ ইনিংসে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সামনে বড় লক্ষ্যমাত্রা দিতে চলেছে বাংলাদেশ।
চতুর্থদিন সকালের সেশনে মুশফিকুর রহিমের উইকেট হারালেও স্কোরবোর্ড সচল রাখেন অধিনায়ক মমিনুল হক ও লিটন দাস। এই দুজনে পঞ্চম উইকেট জুটিতে এখন পর্যন্ত যোগ করেছেন ৭৬ রান। মমিনুল খেলছেন অপরাজিত ৮৩ রানে। লিটন দাসের রান ৩৮।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের সঙ্গে মমিনুলের দারুণ একটা ব্যাটিং সখ্য আছে। ক্যারিয়ারের ৯টি টেস্ট সেঞ্চুরির ছয়টিই করেছেন মমিনুল এই ভেন্যুতে। এই মাঠে মমিুনলের হাফসেঞ্চুরি মানেই সেটা সেঞ্চুরিতে বড় হওয়া। শুধুমাত্র ২০১৯ সালে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম টেস্টে পাওয়া ৫২ রানের হাফসেঞ্চুরিকে তিন অংকে নিয়ে যেতে পারেননি মমিনুল। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে এই ম্যাচে এখন পর্যন্ত যেভাবে খেলছেন তাতে ক্যারিয়ারের দশম টেস্ট সেঞ্চুরির জন্য মমিনুলকে আপনি অভিনন্দন জানানোর জন্য প্রস্তুতি নিতেই পারেন!
চট্টগ্রামের চতুর্থদিনের উইকেটে স্পিনাররা ভাল টার্ন পাচ্ছেন। কিন্তু এই উইকেটে রান কিভাবে তুলতে হয়- সেটাও যে বেশ ভালই জানে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। এই সেশনে সবমিলিয়ে বাংলাদেশ তুলে ১০২ রান। হারায় শুধুমাত্র মুশফিক রহিমের উইকেট।
মুশফিকের এই আউটের সঙ্গে তামিমের আউটের একটা বেশ ভাল পাওয়া গেল। দুজনেই এলবিডব্লু হয়েছে। বোলারও সেই একই রাকিম কর্নওয়াল। দুজনেই রিভিউ নিয়েছিলেন। দুজনেই সেটা নষ্টও করেছেন!
অবশ্য মুশফিক তার আউটের বিরুদ্ধে যে রিভিউ নিয়েছিলেন রিভিউ’র জন্য সুনির্দিষ্ট পনের সেকেন্ড পার হওয়ার পর। তা সত্ত্বেও আম্পায়ার তার রিভিউ’র আবেদন গ্রহণ করেন। যা সুস্পষ্ট আম্পায়ারিং এর বিধি ভঙ্গ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর (চতুর্থদিন লাঞ্চ পর্যন্ত):
বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ৪৩০/১০ ও দ্বিতীয় ইনিংস: ১৪৯/৪।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১ম ইনিংস: ২৫৯/১০ (৯৬.১ ওভারে, ব্রাথওয়েট ৭৬, ব্ল্যাকউড ৬৮, মেয়ার্স ৪০, সিলভা ৪২, মিরাজ ৪/৫৮, তাইজুল ২/৪৮, নাঈম ইসলাম ২/৫৪, মুস্তাফিজুর ২/৪৬)।