ঈদের আগে শ্রমিকদের বেতন-বোনাস পরিশোধের দাবি রিজভীর

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী

কোরবানির ঈদের আগেই শ্রমিকদের বেতন-বোনাস পরিশোধ করার দাবি জানিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

বুধবার (২২ জুলাই) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ঈদের আগে সব কারখানায় কর্মরত শ্রমিক কর্মচারীদের বেতন-বোনাস পরিশোধ, রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলগুলো খুলে দেওয়া, সরকার ঘোষিত প্রণোদনার টাকা শ্রমিকদের প্রদান ও বিভিন্ন কলকারখানায় শ্রমিক ছাঁটাইয়ের প্রতিবাদে এ মানববন্ধনের আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল।

বিজ্ঞাপন

রিজভী বলেন, জুট করপোরেশনের ২৫টি জুট মিল বন্ধ। এখানে ২৬ হাজার শ্রমিক ঈদে তাদের বেতন নাই, তাদের টাকা নাই। ওই পরিবারের কেউ করোনায় আক্রান্ত হলে তাদের বাঁচার, খাওয়ার, চিকিৎসার কোনো অধিকার নাই। মধ্যপ্রাচ্য আমাদের শ্রমবাজার বিরাট। আজ কুয়েত আড়াই লাখ শ্রমিক অপেক্ষা করছে তাদের দেশে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। কোথায় যাচ্ছে এ দেশ?

বিএনপির এই নেতা বলেন, একটা মহামারিতে মধ্যবিত্ত-নিম্নবিত্ত সবাই আক্রান্ত। বিদ্যুতের ভৌতিক বিল আসে হাজার হাজার টাকা। কাঁচাবাজারে আধা কেজি, ১ কেজি সবজি কিনতে গেলে হাতে বৈদ্যুতিক শক লাগে। তাহলে শ্রমিকের কি অবস্থা! একেবারে নিম্ন আয়ের মানুষ, গরিব শ্রমিককে পিষে মারছে আওয়ামী লীগ। গ্রামের মানুষ সঞ্চয় ভেঙে খাচ্ছে। এই জন্যই আওয়ামী লীগ করোনার চেয়ে শক্তিশালী, যা তাদের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন।

তিনি বলেন, ভেন্টিলেটর কেনার দুর্নীতি থেকে শুরু করে মাস্ক, অক্সিজেন সব কিছুতেই শক্তিশালী আওয়ামী লীগ সরকার। মানুষের চিকিৎসা দিতে হবে সেই চিকিৎসায় মানুষকে রাস্তার মধ্যে ফেলে নিজেদের স্বার্থসিদ্ধি হাসিল করছে শক্তিশালী আওয়ামী লীগ সরকার।

সরকারি কেনাকাটায় দুর্নীতির প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, মাছ-সবজি কাটার একটি বই কিনতে লাগে ১০ হাজার টাকা। একটা চামচ ১ হাজার টাকা। একটা ল্যাপটপের দাম ধরেছে দুই লাখ টাকা যেটা ৪৭ হাজার টাকা হলে পাওয়া যায়। এইভাবে লুটপাট হচ্ছে, এই লুটপাটের টাকা কার? এটাতো আওয়ামী লীগের পৈতৃক সম্পত্তি না। এই টাকা দেওয়া হবে শ্রমিক-কৃষক সাধারণ মানুষের ভ্যাট-ট্যাক্সের টাকায়। এই টাকা দুর্নীতিবাজ সরকারি কর্মকর্তারা লুটে নিচ্ছে। লুটে নেওয়ার ক্ষেত্রে অত্যন্ত শক্তিশালী আওয়ামী লীগ।

তিনি বলেন, নিম্ন আয়ের মানুষের বাঁচাতে, খেটে খাওয়া মানুষদের বাঁচাতে, শ্রমিকদের বাঁচাতে সরকারকে এগিয়ে আসতে হয়। তা না হলে তারা বাঁচবে না। তাদের বাঁচানো সরকারের দায়িত্ব। সরকার কী ওই শোষকদের, সরকার কি ওই মহাজনের পক্ষে? কলকারখানা বাঁচানোর জন্য সরকারের কোনো উদ্যোগ নেই। আমি অবিলম্বে কোরবানির ঈদের আগেই শ্রমিকদের বেতন বোনাস পরিশোধ করার দাবি জানাচ্ছি।