‘মুখ বন্ধ করতে ডিজিটাল আইনে মামলার হিড়িক’

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী

মানুষের মুখ বন্ধ করতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলার হিড়িক চলছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

তিনি বলেছেন, ‘নিপীড়নমূলক এই মামলা দেশের ইতিহাসের সব রেকর্ড ভঙ্গ করছে। কোভিড-১৯ নিয়ে সরকারের ব্যর্থতার সমালোচনা করায় গত তিন মাসে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, চিকিৎসক, স্কুলের শিক্ষার্থী, নারীসহ প্রায় ২০০ জনকে আটক করা হয়েছে। এর মধ্যে ভালুকার একজন ১০ম শ্রেণির কিশোর শিক্ষার্থীও রয়েছে।’

বিজ্ঞাপন

বুধবার (৮ জুলাই) নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘মানিকগঞ্জের বিএনপি নেতার কন্যা মাহমুদা পলিকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের আজ কয়েক মাস ধরে কারাগারে আটক রাখা হয়েছে। দমননীতির উত্থান প্রবল থেকে প্রবলতর হচ্ছে। সর্বত্রই দারিদ্র্য, দুর্দশা, ক্ষুধা, বিনা চিকিৎসা ও অসাম্যের করুন কাহিনী। দেশবাসীর কোনো স্বাধীনতা নেই, তাদের নাগরিক স্বাধীনতা কেড়ে নিয়েছে রাষ্ট্রশক্তির অপব্যবহারের মাধ্যমে।’

তিনি আরও বলেন, ‘জনগণের উপর ক্রুদ্ধ সরকার যেন প্রতিশোধ নিচ্ছে। এক আতঙ্কময় সময়ের মধ্যে আমাদের জীবনযাপন। অসহিষ্ণুতা ও নিপীড়নের প্রশ্নে আওয়ামী লীগ অদ্বিতীয় স্বৈরাচার, বিদ্বেষ ও উগ্রতা দিয়ে তারা ভিন্নমতকে দমন করতে চায়। তাদের প্রণীত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মতোই সকল কালাকানুন, বিদ্বেষ ও সংকীর্ণতারই বহিঃপ্রকাশ।’

বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেন, ‘আওয়ামী লীগের নিজস্ব একটা পরিমার্গ আছে, সেটি হলো বহুদলীয় গণতন্ত্রকে সহ্য না করা। তাদের ঐতিহ্যই হচ্ছে ছলেবলে কৌশলে ক্ষমতায় এসে গণতন্ত্রের আলোকে কেড়ে নিয়ে নিজেদের দলীয় শাসনকে রাষ্ট্রশক্তি দিয়ে প্রতিষ্ঠা করা। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রয়োগ করতে গিয়ে মানুষের কাছে নানা ষড়যন্ত্রতত্ত্ব উপস্থাপন করে তারা।’

রিজভী বলেন, ‘রাষ্ট্রের মালিকানা এখন আর জনগণের কাছে নেই তা পুলিশের কাছে চলে গেছে বলেই বর্তমান ভয়াল দুর্যোগে সরকার বর্বর অহমিকায় ভুগছে। আর জনগণ বিপত্তির শিকার হচ্ছে। মানুষ কষ্ট-ক্লান্তির অনুভূতি নিয়ে দিন কাটাচ্ছে।’