'করোনার মতো জনগণের শ্বাস চেপে ধরেছে সরকার'

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

করোনাভাইরাস যেমন মানুষের নিঃশ্বাস বন্ধ করে দেয় ঠিক তেমনিভাবে সরকারও জনগণের শ্বাস চেপে ধরেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

সোমবার (২২ জুন) নয়া পল্টনে বিএনপি'র কেন্দ্রীয় কার্যালয় ভিডিও কনফারেন্সে তিনি এসব কথা বলেন।

বিজ্ঞাপন

রিজভী বলেন, সরকার চলছে হুকুমবাদের মনোভাব ও বাধ্যকরণের নীতির বাস্তবায়নের মাধ্যমে। তাদের আর একটি প্রধান নীতি হচ্ছে জনগণকে বশ মানাতে বল প্রয়োগ করা। সরকারের অপরিণামদর্শী সিদ্ধান্তের কারণে গ্রামে গ্রামে নীরবে ছড়াচ্ছে করোনা ভাইরাস। ঢাকাসহ সারা বাংলাদেশই এখন কোভিড-১৯ ভাইরাসের দখলে। ঢাকার পরিস্থিতি ভয়াবহ ও বিপজ্জনক।

তিনি বলেন, করোনার মধ্যেও ফ্যাসিবাদের অবয়ব চূড়ান্ত রূপ ধারণ করেছে। এদের আমলে দেশের টাকা পাচার হয়েছে অত্যুগ্রমাত্রায়। এর সাথে ক্ষমতাসীনদের রুই-কাতলারা ওতপ্রোতভাবে জড়িত। এরা ক্ষমতা দখল করে বারো বছরের রাজত্বে অসংখ্য পাপুল, সম্রাট, খালেদ, শিকদার ভ্রাতৃদ্বয়ের জন্ম দিয়েছে। ক্যাসিনো থেকে শুরু করে মানব পাচারের মাধ্যমে হাজার হাজার কোটি টাকা তাদের পকেটে ঢুকেছে। রহস্যজনকভাবে দেশ থেকে উধাও হয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আটশো কোটি টাকাও।

বিএনপি'র সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, সরকার এতোটাই নির্বিবেক ও বেপরোয়া যে, হরিলুট হওয়া সরকারি অর্থের ঘাটতি পূরণে গরিব মানুষের শরীর থেকে রক্ত টেনে নিচ্ছে।

এই করোনাকালে আমরা বেশ কয়েকজন মানবিক বাড়িওয়ালা দেখেছি যারা ভাড়াটিয়াদের বাড়িভাড়া মওকুফ করে দিয়েছেন। আবার অনেক বাড়িওয়ালা ভাড়াটিয়াদের সাথে করছে নির্দয় আচরণ। ভাড়াটিয়ারা খুবই আতংকের মধ্যে আছে, কখন তাদেরকে বাসা থেকে বের করে দেয়। সরকার বিদ্যুৎ-গ্যাসের দাম বৃদ্ধিতে বাড়িওয়ালারাও ভাড়াটিয়াদের কাছ থেকে নানাভাবে মাশুল আদায় করছে অন্যায়ভাবে।

তিনি আরো বলেন, যারা ক্ষুদ্র ঋণ গ্রহীতা তাদের সুদ মওকুফের ঘোষণা দেয়া হলেও নির্দয়ভাবে সুদ আদায় করা হচ্ছে। এই সরকার দেউলিয়া হওয়া অর্থনীতি সচল রাখার জন্য স্বল্প আয়ের মানুষদের মাটির সাথে মিশিয়ে দিচ্ছে। বর্তমান দুর্নীতি-বান্ধব সরকার দেশের ভঙ্গুর অর্থনীতি, করোনার আঘাতে দেশের বেহাল দশা ও প্রায়-দুর্ভিক্ষাবস্থা ঠেকাতে ‘কোড অব সাইলেন্স’ প্রয়োগ করছে। এজন্য দমনমূলক আইনের যথেচ্ছ ব্যবহারের দ্বারা র‌্যাব-পুলিশ ও গোয়েন্দা মেশিনারি দিয়ে মানুষের মুখ বন্ধ রাখা হচ্ছে। অসহায় মানুষকে নীরবে সইতে হচ্ছে ক্ষুধা ও জুলুমের যন্ত্রণা।