'করোনা মোকাবিলায় সরকারের ব্যর্থতার 'ষোলকলা' পূর্ণ'

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

করোনা মোকাবিলায়স রকারের ব্যর্থতার 'ষোলকলা' পূর্ণ উল্লেখ করে বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, এবার সবিনয়ে জানতে চাই, 'কাফনের কাপড়ের ডিলারশিপ কে পাবে'?

রোববার (১৪ জুন) এক বিবৃতিতে এ কথা বলেন তিনি।

বিজ্ঞাপন

বিবৃতিতে তিনি বলেন, করোনা মোকাবিলায় সরকার ব্যর্থতার 'ষোলকলা' পূর্ণ করে ফেলেছে। সারাদেশে শুরু হয়ে গেছে লাশের মিছিল। এখন হাসপাতালগুলোতে রোগীদের স্থান সংকুলান হচ্ছে না, তার উপর এই সেবামূলক প্রতিষ্ঠানগুলো নির্দিষ্ট কিছু ব্যক্তি গোষ্ঠী কিংবা সংস্থার জন্য এক প্রকার দখলে রাখা হয়েছে। করোনা উপসর্গে অসুস্থরা দিনরাত ঘুরেও পরীক্ষাটি পর্যন্ত করাতে পারছে না।

তিনি বলেন, মর্গের লাশের হিসেবের সংখ্যার সাথে মিলছে না সরকারি হিসেব। কবরস্থানে সারিবদ্ধ ভাবে খোঁড়া হচ্ছে গণকবর। সত্যিই এক ভয়ংকর পরিস্থিতি বিরাজ করছে চারপাশে। প্রতিটি সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালের আশেপাশে আইসিইউ'র জন্য স্বজনদের হাহাকার শোনা যায়। আইসিইউ বেডের অভাবে চোখের সামনে রোগীকে মরতে দেখার চিত্র এখন নিত্যদিনের সঙ্গী হয়ে গেছে।

মির্জা আব্বাস বলেন, হাসপাতালগুলোতেও চলছে এক প্রকার দখল রাখার প্রতিযোগিতা। কোনো কোনো হাসপাতাল ব্যবহার হচ্ছে শুধুমাত্র বিশেষ মানুষের জন্য। আবার কোনো কোনো হাসপাতাল ব্যবহার হচ্ছে বিশেষ সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য। আবার করোনা পরীক্ষা আমরা করাতে পারতাম মাত্র ৩০০ টাকায়, সেখানে এখন ৩০০০ থেকে ৫০০০ টাকায় করাতে হচ্ছে।

বিএনপির এই প্রবীণ নেতা বলেন, যদি চিকিৎসকদের যথাযথ প্রশিক্ষণ দিয়ে এবং সাশ্রয়ী মূল্যে এই করোনা পরীক্ষার ব্যবস্থা করা যেত তবে সাধারণ জনগণের কষ্ট অনেকটাই লাঘব হতো। রাজধানীতে শুধুমাত্র পাঁচটি জায়গায় এই করোনা পরীক্ষার জন্য নির্ধারিত করে দেওয়া হয়েছে। তবে কেনো আরো বেশি জায়গায় এ পরীক্ষা ব্যবস্থা করা গেল না? অতএব এখানে ধরেই নেয়া যায় এই মহামারীতেও কমিশন বাণিজ্যের কথা।

সরকারে উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, যদি সবকিছুতেই ব্যবসা আর মুনাফা খুঁজেন, তবে এবার দয়া করে জানিয়ে দিবেন, কাফনের কাপড়ের ডিলারশিপটা কাকে দিবেন। যাতে সেই প্রতিষ্ঠানের কাফনের কাপড় ছাড়া অন্য কোনো কাপড়ে দাফন করতে মানুষ না পারে। তাহলে এখান থেকেও একটা ভালো ব্যবসা হবে।