প্রধানমন্ত্রী ভিআইপিদের চিকিৎসার দায়িত্ব নিচ্ছেন: রিজভী

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী তার দলের মন্ত্রী, এমপি, মেয়র, নেতা ও ভিআইপিদের চিকিৎসার দায়িত্ব নিচ্ছেন। করোনাভাইরাস সংক্রামণ মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রীর কাছে শুধুমাত্রই 'ভিআইপি লাইভস ম্যাটার'।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী তার দলের মন্ত্রী, এমপি, মেয়র, নেতা ও ভিআইপিদের চিকিৎসার দায়িত্ব নিচ্ছেন। তাদের জন্য দ্রুততার সাথে সিএমএইচ, এয়ার অ্যাম্বুলেন্স, হেলিকপ্টার, আইসিইউ, ভেন্টিলেটরসহ সব সুবিধা নিশ্চিত করছেন। কিন্তু দেশের সাধারণ মানুষগুলো চিকিৎসা না পেয়ে রাস্তাতেই মারা যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী তাদের কোনো খবর নিচ্ছেন না। কারণ জাতীয় নিশুতি রাতের নির্বাচনের প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা থাকতে দেশের সাধারণ মানুষের কোনো প্রয়োজন হয় না। তার (প্রধানমন্ত্রী) কাছে শুধুই 'ভিআইপি লাইভস ম্যাটার'। গরীব মানুষের জীবন উপেক্ষিত।

বিজ্ঞাপন

রোববার (১৪ জুন) রাজধানীর নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এই ভার্চুয়াল ব্রিফিংয়ে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এই মন্তব্য করেন।

করোনাভাইরাস সংক্রামণে আক্রান্তরা চিকিৎসা সেবা পাচ্ছে না অভিযোগ করে তিনি বলেন, ঢাকায় কোনো হাসপাতালেই আইসিইউ বেড খালি নেই, কোনো কোনো বেসরকারি হাসপাতালে করোনার ওয়ার্ড খুললেও আইসিইউ বেড ও চিকিৎসার জন্য গলাকাটা দাম নিচ্ছে। তিন মাসে করোনা উপসর্গ নিয়ে অসংখ্য মানুষের মৃত্যু হয়েছে-যাদের মধ্যে সিংহভাগ মানুষ হাসপাতালে চিকিৎসা পাননি। বেঁচে থাকাবস্থায় নমুনা পরীক্ষার মাধ্যমে নিশ্চিত হতে পারেননি তারা করোনা আক্রান্ত কিনা।

রিজভী বলেন, সরকারের অবহেলার কারণে বাংলাদেশে করোনা শনাক্তকরণও সঠিকভাবে হচ্ছে না। করোনা শনাক্তকরণ পরীক্ষা কিটও ত্রুটিপূর্ণ। জাপানে বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের চার্টার্ড ফ্লাইট চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে জাপান সরকার।

করোনাভাইরাসের নেগেটিভ সার্টিফিকেট নিয়েও চার বাংলাদেশির শরীরে করোনা সংক্রামণ ধরা পড়ায় এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে দেশটি। এদের হেলথ সার্টিফিকেটে বলা ছিলো, তারা করোনায় আক্রান্ত নন এবং ভ্রমণে তাদের নিষেধাজ্ঞা নেই। এভাবে করোনা টেস্ট নিয়ে যদি আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে এই ধরনের নেতিবাচক বার্তা যায় তাহলে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি চরম ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

প্রস্তাবিত বাজেটে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ব্যয় বৃদ্ধিতে উদ্বেগ প্রকাশ করে রিজভী বলেন, করোনাত্তোর অর্থনৈতিক মন্দাকে সামনে রেখে বিভিন্ন দেশে সরকারি ব্যয় সংকোচনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। বিভিন্ন দেশের প্রেসিডেন্ট-প্রধানমন্ত্রী নিজেদের ব্যয় কমিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করার চেষ্টা করেছেন। পক্ষান্তরে বাংলাদেশের অনির্বাচিত সরকার হাঁটছে উল্টো দিকে।

এই করোনাভাইরাস সংকটের মধ্যেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সরকারি অফিসের ব্যয় বাড়িয়েছেন ৯৫ কোটি টাকা। প্রস্তাবিত বাজেটে প্রধানমন্ত্রীর অফিসের খরচের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৩ হাজার ৮৩৮ কোটি টাকা। গত বছর ৩ হাজার ৭৪৩ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখার পর ব্যাপক সমালোচনা হলেও সরকার এতে কর্ণপাত করেনি বলে মন্তব্য করেন তিনি।