আ.লীগ জিয়ার বিরুদ্ধে বিষোদগার করেছে: রিজভী

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী/ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী/ছবি: সংগৃহীত

যে ব্যক্তিটি নিজের জীবন ও পরিবার কোথায় আছে তা তোয়াক্কা না করে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়লেন, আওয়ামী লীগ তার বিরুদ্ধে বিষোদগার করেছে। এরা বলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সরকার, আসলে এরা হচ্ছে ক্যাসিনোর চেতনার সরকার, টাকা লুটপাটের সরকার, চাল-গম আত্মসাতের সরকার বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

শনিবার (৩০ মে) বিএনপির প্রতিষ্ঠা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৩৯তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে রাজধানীর কাফরুলের স্বাধীনতা চত্বর এলাকায় গরীবদের মধ্যে খাদ্য বিতরণকালে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, করোনাভাইরাসের প্রকোপে মানুষ রাস্তায় মারা যাচ্ছে, চিকিৎসা পাচ্ছে না, হাসপাতালে চিকিৎসা পাচ্ছে না। আবার আগামীকাল থেকে অফিস খুলে দেয়া হচ্ছে। সরকারের লোকেরা এতো বড় বড় কথা বলে, দুই মাস শ্রমজীবী রিকশাওয়ালাদের খাওয়ানোর সামর্থ্য আপনাদের নেই। তাহলে আপনারা ক্ষমতা ধরে রেখেছেন কেন? ক্ষমতা ধরে রেখেছেন মানুষকে কষ্ট দেয়ার জন্য, আরও বেশি অত্যাচার, নির্যাতন ও মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়ার জন্য।

বিজ্ঞাপন

বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, লকডাউন খুলে দিয়ে জনগণকে মৃত্যুকূপের দিকে, ভয়ংকর মৃত্যুগুহার দিকে ঠেলে দিয়েছে সরকার। এখন পর্যন্ত যতো মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছে তার শতকরা ৩০ ভাগ রোগীর চিকিৎসা দিতে পারছে না সরকার। হাসপাতালে শয্যা নেই, চিকিৎসা নেই, অক্সিজেন সিলিন্ডার নেই, ভেন্টিলেটর নেই।

রিজভী বলেন, জিয়াউর রহমান ১৯৭১ সালে কোন রাজনীতি করতেন না, তিনি সেনাবাহিনীর একজন মেজর ছিলেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্টের পর একটি ভিন্ন ধরনের অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে সিপাহী-জনতা তাকে ক্ষমতায় আসীন করেন। আমরা তারপরে দেখেছি-তিনি ক্ষমতায় এসেই বহুদলীয় গণতন্ত্র দিলেন। যারা গণতন্ত্রের কথা বলে ক্ষমতায় এসেছিলেন তারা গণতন্ত্রকে হত্যা করেছিল। খবরের কাগজ বন্ধ হয়ে গিয়েছিল, হাজার হাজার সাংবাদিক বেকার হয়ে গিয়েছিল। জিয়াউর রহমান সব সংবাদপত্র খুলে দিয়েছিলেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, যুবদলের সহ-সভাপতি রুহুল আমিন আকিল, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি’র সহ-সাধারণ সম্পাদক তারিকুল ইসলাম তেনজিং, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা রিয়াজ, শ্রমিক দল নেতা মতিনসহ ঢাকা মহানগর বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।